রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ০১:০২ পিএম

টাঙ্গাইলে ছাত্রদলের চাঁদাবাজির শিকার আইটি উদ্যোক্তা!

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ০১:০২ পিএম

টাঙ্গাইলে ছাত্রদলের চাঁদাবাজির শিকার আইটি উদ্যোক্তা!

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল সদরে এক যুবক (আইটি উদ্যোক্তা) হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ফ্রিল্যান্সিং করা সেই যুবকের নাম তন্ময় শিকদার পারভেজ। সোমবার দিবাগত রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি। যেখানে তিনি অভিযোগ করে জানান, ছাত্রদলের কয়েকজন সদস্য তার গাড়ি ও দুই ধাপে ৯৭ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় টাঙ্গাইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

তন্ময় শিকদার পারভেজের সেই স্ট্যাটাস হুবুহু তুলে ধরা হলো-

এই দেশে মানুষ বসবাস করবে কেমনে?

জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ আনুমানিক ৭.৩০ এর দিকে টাংগাইল সদর থানার সাত্তার শপিং মলের দিকের আসার সময় একটা ছেলে আমার গাড়ি সহ দাড় করায়। বলে বাসা কই? গাড়ি কার! আমি বলি যে, গাড়ি টা আমি কিনছি আমার ছোট ভাই প্রয়াস দের থেকে। 
এরপর ঐ ছেলে আরো কয়েকজন কে ফোন দেয়। প্রায় ৭-৮ জন ছেলে সাথে সাথেই চলে আসে। এবং হুট করে বলতে থাকে, এই গাড়ি আওয়ামীলিগ ছাত্রলিগ এর। 
যারা এসেছিল আমি কাউরেই চিনি নাহ। শুধু একজন কে চিনতাম, কাউসার রহমান লিমন (জেলা ছাত্রদলের জুগ্ন আআহবায়ক)। তারপর সে আমার গাড়ি নিয়া আনসার কেম্পের সামনে চলে যায়!!  
এরপর আমি সাথে সাথেই MH Proyas  কে ফোন দিলে প্রয়াস আংকেল কে পাঠায়। আংকেল আসলেও সেখানে অনেকেই আংকেল রে অনেক অপমান করে। 
সেখানে উপস্থিত ছিল, লিমন, লিখন, মিম,  রিফাত সহ আরো অনেকেই যাদের কাউরেই আমি চিনতাম নাহ। শুধু লিমন কে চিনতাম স্কুলে পড়া অবস্থায়! 
এরপর লিমন এরা বলতে থাকে যে টাংগাইল ছাত্রলিগ সভাপতি নাকি তার থেকে জুন মাসে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিছে। এরপর সে এই টাকা দাবি করে বসে। 
জিনিস টা সিনিয়র নেতা জেলা বিএনপি এর সভাপতি শাহিন,  জেলা বিএনপি সেক্রেটারি ফরহাদ ইকবাল এছাড়া শপন, বাবু ভাই সহ সবাই কেই জানানো হয়।
লিমন, সে আমার গাড়ি থানায় নিয়া যায় এবং এরপর আমার থেকে প্রথমদিন ৪৭ হাজার টাকা জা আমি বেংকে দেই। এই টাকা আমি দিয়েছি মিম সাহেব এর বউএর একাউন্টে। নিচে ছবির প্রমান দিচ্ছি। 
এবং ৩০ তারিখ আবার আমার থেকে ৫০ হাজার টাকা কেশ নেয়, জা আমি আমার এক বন্ধুর থেকে দাড় করে এনে নেই। এভাবে মোট ৯৭ হাজার টাকা চাদা নেয়।
এমনকি আমি তাদের কে বলেছিলাম আমি একজন এতিম, আমার খুবই কস্টের কাজ করার টাকা। এরজন্য আমাকে তারা গায়ে হাত দেয় এবং কয়েকজন আমার মরা মা কেও বকাবকি করেছে।
তারা শুধু আমাকে বলে, আমি ফিলান্সার, আমি কোটিকোটি টাকা কামাই করি এই-সেই। 
এই জন্যই দেশের পরিবর্তন?  
জিনিস টার সমাধান কেউ দেয়নি। সিনিয়র নেতারাও এদের পক্ষই নিয়েছে।৷ এমনকি টাংগাইল সদর থানার কয়েকজন অফিসার এর সাথে মিলে এই লিমন এবং তার বাহীনি টাংগাইল থেকে নিয়মিত চাদা তুলতাছে এখন
জাস্ট দলের নাম ভাংগিয়ে খেয়ে।
এদের কি বিচার করার মত দেশে এখনও কেউ নাই? 
দেশে ভাইরাল নাহ হলে কোন বিচার হয় নাহ। আমার কোন পরিবার নেই, রাজনৈতিক বেকাপ নেই। আমি চাই এর সুসঠ বিচার হোক।
বি:দ্র: আমার কোন যদি ক্ষতি হয় তাহলে এরাই আমার ক্ষতি করবে। কেননা আমার কারো সাথে কোন শত্রুতাও নাই।
আমি মনে প্রানে ট্রাস্ট করি, আমার বন্ধু বান্ধব, কলিক সহ সবাই যদি একটু আওয়াজ তুলেন তাহলে আমি এর বিচার পাবো!!
আমি অলরেডি টাংগাইল থানার ওসি বরাবর একটা কম্পলেইন দিছিলাম যদি আমি ভাল ভাবে লিখতে পারিনি, তবে সরাসরি এইখানে লিখে দিলাম,

"বরাবর টাংগাইল সদর ওসি, 
আমি তন্ময় সিকদার পারভেজ, বাসা: এলেংগা, থানা: কালিহাতি জেলা: টাংগাইল। আমি ২৬ তারিখ রাতে টাংগাইল এর আনসার কেম্প দিয়া শুশুর বাড়ি থেকে আসার সময় আমাকে একজন ছেলে দাড় করায়। আমি তাদের কে চিনি নাহ। আমার গাড়ি ছিল সাথে পাজেরু ১৯৯৩ মডেল এর। ঐ ছেলে আমাকে দাড় করানোর সাথে সাথে আরো কয়েকজন ছেলে আসে এর মদ্ধে একজনের নাম, লিমন, লিখন, রিফাত। এরা আমাকে বলে এই গাড়ি টি টাংগাইল জেলা ছাত্রলীগ এর তানজিল এর। এরা আমাকে বলে এই গাড়ি দিয়া নেশার বিজনেস করা হইছে। এবং তানজিল নাকি লিমন এর থেকেই  ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিছে। আমি জার কাছে থেকে গাড়ি টি নেই, তার নাম আসলাম। উনি গাড়ির বিজনেস করে। পরে উনি আসলে উনাকেও অনেক বকাবকি করে। পরে এই গাড়ি টাংগাইল সদর থানায় নিয়া যায় লিমন। এরপর লিমন ওরা আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমার থেকে টোটাল প্রথমে ৪৭ হাজার টাকা, হা আমি মিম নামে এক বেক্তি উনার বউয়ের একাউন্টে দেই। উনার বেংক আমি টাকা দেই। এরপর আবার আমাকে থেকে চেক নেয়। তারা টটাল ১ লাখ টাকা দাবি করে। আমার কাছে টাকা নাহ থাকায় আমি আমাদের স্কুলের বিন্দুবাসিনির লিমন ১৬ বেচ ওর থেকে ৫০ হাজার টাকা দার দেই এবং সেটা হাতে দেওয়া হয় এবং এই টাকা টা লিমন এর হাতে দেওয়া হয়। এভাবে টোটাল ৯৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
টাকা দেওয়ার সময় আমাকে আসিফ নামে একটা ছেলে একটা চড় ও মারছে এবং উনারা আমার মরা মাকে বকাও দিছে।
আমি চাই এইটার সুসঠ বিচার করা হোক।
এখানে পরে আমি কয়েকজনের নাম জানতে পারি জারা ঔ খানে ছিল।
লিমন, লিখন, রিফাত, মিম।  এদের সবার বাসায় টাংগাইল সদর থানা।
পরে টাকা নেওয়ার পর এরা থানা থেকে গাড়ি এনে আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। আমার গাড়ি যেদিন এরা নিয়ে গেছিল তখন কোন প্রশাশন এর লোক গাড়ি টা নেই নিম গাড়ি টা নিয়েছিল লিমন।
ধন্যবাদ
তন্ময়"
যদি দুনিয়াতে এদের বিচার নাহ হয়, আল্লাহ এদের বিচার ঠিকই করবে!! 

আরবি/এফআই

Link copied!