ধানমন্ডি ৩২ ভাংচুর: ‘নির্মম পরিণতি’ বলে সোহেল তাজের কড়া সমালোচনা
রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫, ১০:৪২ এএম
সোহেল তাজের ফেসবুক থেকে
বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ গত ৭ ফেব্রুয়ারি তার ফেসবুক পেজে এক বিস্ফোরক পোস্ট দিয়ে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকারের নীতির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তিনি ১৫ বছর ধরে চলা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, দুর্নীতি এবং ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, “কি নির্মম পরিণতি—১৫ বছরের হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোট অধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, লাখ লাখ কোটি টাকা অর্থ পাচার এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যা করে আত্মউপলব্ধি, আত্মসমালোচনা, অনুশোচনা না করে, ক্ষমা না চেয়ে আবার বিদেশে বসে এখন আন্দোলনের ডাক দিলে আর কি পরিণতি হতে পারে?”
[33473]
তিনি তার পোস্টে সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, দুর্নীতি এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী চোরদের সমর্থনকারী মানুষদের ‘ব্রেন ওয়াশড নব্য কাওয়া বডিলীগ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এছাড়া, সোহেল তাজ আরো বলেন, “নীতি আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নেই—আমি আপনাদের চিনি।” তিনি উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগের ব্রেন ওয়াশড নষ্ট পচা নীতি/আদর্শ বিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থকদের বলবো, অনতিবিলম্বে আমার এই ফেসবুক পেইজটি আনফলো করুন।”
সোহেল তাজ তার অনুসারীদের উদ্দেশে আরো বলেন, “নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মউপলব্ধি, আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করুন।”
[33479]
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: সোহেল তাজের এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তার সাহসী অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন, আবার কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সমালোচকরা এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করছেন।
সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে। ২০০৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তবে তিনি দ্রুত পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে সরে যান। বর্তমানে তিনি নানা সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইস্যুতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন, যা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।
