সম্প্রতি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুক স্ট্যাটাসে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের হয়রানি বন্ধ করার কথা বলেন।
তার স্ট্যাটাসটি হুবহু রূপালী বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং তাদেরকে প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে।
কমেন্ট সেকশনে তিনি হাসনাত আব্দুল্লাহ`র স্ট্যাটাসটি তুলে ধরেন।
প্রতিদিন শত-শত রেমিট্যান্স যোদ্ধা আমাদেরকে ইনবক্সে তাঁদের দুঃখ কষ্টের কথা জানান। অসংখ্য ভাই নিচের মেসেজটি বারবার করে পাঠাচ্ছেন। প্রবাসীদের বিষয়গুলো দ্রুতসময়ে এড্রেস করুন।
[34002]
"প্রবাসীদের নিয়ে কয়েকটি এজেন্সির সিন্ডিকেট দ্বারা ভয়াবহ জালিয়াতি।
বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরছি:
সৌদি রুটে গ্রুপ টিকিটের দাম বেড়েছে:
আগে যেখানে গ্রুপ টিকিটের মূল্য ৩৫-৪০ হাজার টাকা ছিল, এখন সিন্ডিকেট করে প্রতিটি টিকিট ৮০-৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ফ্লাইট সংখ্যা হ্রাস:
আগে প্রতি সপ্তাহে ৯৮টি ফ্লাইট চলত, কিন্তু এখন তা কমিয়ে মাত্র ৪৪টি করা হয়েছে।
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি:
কিছু এজেন্সি আগাম বিনিয়োগ করে ৪-৫টি এজেন্সির মাধ্যমে গ্রুপ টিকিট কৃত্রিম সংকটে রেখেছে। দ্রুত এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া জরুরি।
ব্ল্যাঙ্ক সিট বুকিং দেখিয়ে সংকট আরও বৃদ্ধি:
ফ্লাইটগুলোতে খালি সিট থাকা সত্ত্বেও, ব্ল্যাঙ্ক সিট দেখিয়ে সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এয়ারপোর্টে যাত্রী হয়রানি:
বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রীদের হয়রানি করে তাদের ফ্লাইট মিস করানো হচ্ছে, এরপর অন্য যাত্রী কন্ট্রাক্টে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতি কন্ট্রাক্ট ১ থেকে ১.২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
ম্যানপাওয়ার ভিসা সংক্রান্ত দুর্নীতি:
ম্যানপাওয়ার ভিসা অ্যাটেস্টেডের নামে BMET বন্ধ রেখেছে, অথচ সৌদি-বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে কনসুলাররা জানান তারা এ বিষয়ে অবগত নন।
অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে:
কিছু এজেন্সি এবং BMET-এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা যোগসাজশে প্রতি ম্যানপাওয়ার ভিসার জন্য ১০-১৫ হাজার টাকা বেশি নিচ্ছে। এই চক্র প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
প্রবাসীদের স্বার্থে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।"