আওয়ামী লীগ সরকারের আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে সাজেদুল ইসলাম সুমনকে স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গুমের শিকার বন্ধুকে নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি।
উপদেষ্টা স্ট্যাটাসে লেখেন, এ রকমই কোনো একটা ঘরে হয়তো আমার বাল্যবন্ধু সাজেদুল ইসলাম সুমনকে আটকে রাখা হয়েছিল। এ রকমই কোনো একটা ঘরে অজানা আশংকায় সে কেঁপে কেঁপে উঠতেছিল। এইরকম একটা ঘরে বসেই হয়তো সে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে কাঁদতে কাঁদতে বলছিল, “আল্লাহ, তুমি আমারে এই বারের জন্য বাঁচাইয়া দাও। আমি আর রাজনীতি টাজনীতি করবো না। আমার সন্তানের জন্য আমারে বাঁচাইয়া দাও। আমার মায়ের জন্য আমারে বাঁচাইয়া দাও।”
তিনি লেখেন, এরকমই একেকটা ঘরে আমরা সতেরো কোটি মানুষ আটকা ছিলাম ষোলো বছর। আর গোপনে বলতাম, আল্লাহ এই ডাইনির হাত থেকে আমাদের বাঁচাইয়া দাও।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, সুমনের সাথে আমার শেষ কথা হয় উত্তরার এক হাসপাতালে লুকাইয়া থাকা অবস্থায়। ওর ভাগনে আবরারের একটা শ্যুট ছিলো আমার সাথে। স্পষ্ট মনে আছে ওর শেষ কথা, দোস্ত, আবরাররে তুই ইজি কইরা নিস। নাইলে অ্যাকটিং খারাপ করব। এমনই এক জালিমের শাসনে ছিলাম যে তোর জন্য, সুমন, একটা কথাও বলতে পারি নাই। পরে জানলাম মানুষরুপী জানোয়ার জিয়াউল আহসানের নির্দেশে তোরে ইনজেকশন দিয়ে মেরে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেয়।
তিনি আর লেখেন, যে বাবার ঘরে ফিরে সন্তানের সাথে ভাত খাওয়ার কথা ছিলো তাকে এই ডাইনির দল শীতলক্ষ্যার মাছেদের খাবারে পরিণত করে। এই হায়েনাদের হয়ে যখন কেউ কথা বলতে আসে, আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়। আমি আমার কমপোজার লুজ করি।
আপনার মতামত লিখুন :