এক সময়ের মাঠ কাঁপানো ছাত্রনেতা সানাউল হক নীরু। তাঁর নাম শুনলেই কাঁপতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সংগঠক হিসেবে ছাত্রদলের ভেতরে জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামসুল আলম মিলনকে টিএসসি এলাকায় গুলি করে হত্যার অভিযোগে সর্বদলীয় ছাত্র সংগঠনের চাপের মুখে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয় তৎকালীন ছাত্রনেতা নীরু-অভিকে।
‘৮০-৯০’-এর দশকের রাজপথ কাঁপানো নীরু এরপর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে আচমকা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েন। আগের তাকে দেখা যায় না খুব একটা। ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দলের বাইরে থাকা সানাউল হক নীরু বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন এমন গুঞ্জন শোনা গেছে বহুবার।
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন এই নেতা। রূপালী বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তার সাম্প্রতিক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো। -
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ বিরোধী ও ভারতপন্থী দল। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরিওয়ালা ও জয় বাংলা শ্লোগানকে পূঁজি ও এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেশটাকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চায়। এদের বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি কিংবা নির্বাচন কোনটা করার অধিকার নেই।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের যে সকল নেতা, এমপি মন্ত্রী ও লেসপেন্সাররা পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যা করেছে, শাপলা চত্বরের হেফাজতের আলেম ওলামাদের রাতের আঁধারে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা ও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ভারতের নির্দেশে এদেশের ইসলামি নেতৃত্ব ও ৭ বারের নির্বাচিত এমপি বীর চট্রলার সূর্যসন্তান সাকা চৌধুরীর মতো দেশপ্রেমিক নেতৃত্বকে মিথ্যা স্বাক্ষী ও শাহাবাগে গণ জাগরণ মঞ্চ বানিয়ে তাদের নির্মম হত্যাকান্ডকে জায়েজ করতে চেয়েছে এবং গত পনের বছরের বিনাভোটের নির্বাচন, গুম, খুন ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দমন পীড়ন ও নির্মমভাবে হত্যা, আয়নাঘরে আঁটকে রেখে বছরের পর বছর নির্বাতন চালিয়েছে,এদের কোনদিব ক্ষমা নেই।
দেশের একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সমস্ত ব্যাংকিং সেক্টর ও শেয়ার মার্কেট লুন্ঠন করে যারা বিদেশে হাজার হাজার ও লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে, সবার আগে তাদের বিচার ও পরে সবকিছু ফয়সালা/স্বাব্যস্ত হবে আওয়ামী লীগ এদেশে নির্বাচন কিংবা রাজনীতি করতে পারবে কি না! সুতরাং আওয়ামী চেতনা নামধারী ভারতীয় এজেন্ট ও দালালদের আগে বিচার করতে হবে, পরে বাকী সবকিছুর ফয়সালা হবে। আমি জিয়ার সৈনিক বাংলাদেশ আমার অহংকার।