ছাত্রদলের পতনের শুরু? যা বললেন এই সমন্বয়ক

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম

ছাত্রদলের পতনের শুরু? যা বললেন এই সমন্বয়ক

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক রিফাত রশিদ।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে ছাত্রদলের পতনের শুরু হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, কুয়েটে ছাত্রদল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ স্টাইলে যে নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট। ৬ মাস আগের ইতিহাসই তারা ভুলে গেছে। ছাত্রদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আরেকটা ছাত্রলীগ হয়ে ওঠার যে কার্যক্রম ছাত্রদল শুরু করলো, এইটা তাদের পতনের শুরু হিসেবে দেখার বিকল্প নাই।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে কুয়েটে এই ঘটনা ঘটে।  

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিবির সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম লিখেছেন, কুয়েটে সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সকল সন্ত্রাসীদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেওয়ার এখনই সময়।

সাদ্দামের পাশাপাশি ফেসবুকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদও। দুপুরে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, কুয়েটে ছাত্রদল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ স্টাইলে যে নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদল নিজেদের রাজনৈতিক কবর রচনার পথেই অগ্রসর হলো।

শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ সকালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া তারা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর জেরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন।

শিক্ষার্থীদের উপর  হামলার ঘটনায়  ১৮ জনকে দায়ী করে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল, ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করাসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!