আজ ধনী তো, কাল ফকির। এমনটাই চলছে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ক্ষেত্রে। অর্থ সংকটে কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। এমনকি, চিড়া-মুড়ি খাওয়ারও টাকা নেই তার কাছে। কারাগারে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে রুটি-কলা ভাগ করে খান বলে জানিয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
আদালতে কথা বললেই আইনজীবীরা রিমান্ড বাড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ করেন পলক। এসময় তিনি বলেন, জেলখানার জীবন মারাত্মক শিক্ষার জীবন। সবার কম করে হলেও, সাত দিন জেলে থাকা উচিত। যদি কখনো কারাগার থেকে বের হতে পারি, তখনও এই কথা বলব।
১৭ বছর সব ধরনের বেআইনি কাজ করে এখন সাধু সাজার নাটক করে পুলিশের উদ্দেশে পলক বলেন, আমি কোনো বেআইনি কথা বলছি না। এমনকি, সাংবাদিকদের উদ্দেশেও তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে লেখার সময় আপনারা একটু সদয় হবেন।
আদালতে তোলা হলে, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে সালাম দেন পলক। প্রথমে সাড়া না দিলেও, পরবর্তীতে পিপি তার সালামের উত্তর দেন। এরপর পলক বলেন, যাক এবার পিপি স্যারের মন নরম হয়েছে।
[34724]
বুধবার সকাল ১১টার দিকে আদালতে আনা হয় পলককে। বিচারক এজলাসে আসেন ১১টা ৬ মিনিটে। এর মধ্যেই সাংবাদিকদের শুনিয়ে বেশ কিছু কথা বলেন পলক। এর আগে অন্য কয়েদিদের সঙ্গে হেঁটে আসার সময়ও কথা বলেন তিনি।
শুনানি শেষে পলককে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নিয়ে পলককে আজ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আদালতে আনা হয় তাকে।