প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য সামাজিক মধ্যমকেই বেছে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। ভারতে বসে বসে যেনো তার আর কোন কাজ নেই দেশকে কিভাবে অস্থিতিশীল করা যায়, ড. ইউনূস সরকারকে কিভাবে ব্যর্থ প্রমাণ করা যায় সেই কূটচালেই ব্যস্ত ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানো হাসিনা। তার দোসররা ফেসবুকে ভিত্তিহীন বানোয়াট মিথ্যা সব খবর পোষ্ট করে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
সম্প্রতি সর্বসম্মুখে পোশাক খুলে ধর্ষণের প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় এক তরুণীকে। তার দাবি ধর্ষিত হয়েছেন তিনি। দেশে তো বিচার আইন সবই রয়েছে এরপরও কেন নগ্ন হয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে তার? এটি নিয়ে মায়া কান্নার চেয়ে হাস্যরসেই ফেটে পড়েছে নিটিজেনরা। এটিও যে স্বৈরাচার হাসিনার একটা ষড়যন্ত্র তাও বোঝার বাকি নেই নেটিজেনদের।
সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ এ মোহাম্মদ আনামুল হক নামের একজন লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগ যখন সেঞ্চুরি করছিল ধর্ষণ করে তখন কি এভাবে বোনটি প্রতিবাদ করেছিল? প্রতিটি ধর্ষণের বিচার আমি মৃত্যুদণ্ড চাই, তবে এভাবে নগ্ন ভাবে প্রতিবাদ জানানোর জন্য আমি ধিক্কার জানাই।’
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এখন দায়িত্ব নিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নয়া সিদ্ধান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে। যেখানে আবার ছেলেদের চেয়ে মেয়ে‘র সংখ্যাটাই বেশি। অধিকাংশ ছাত্রলীগ নেত্রীদের ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরলেই দেখা যায় ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম প্রোপাগান্ডা। এসবের নেই কোন অস্তিত্ব, মনগড়া বানোয়াট সব কাহিনী বানিয়ে ফেসবুকে দিব্যি পোষ্ট করে চলেছেন একের পর এক।
তবে, জনসাধারণ যে তাদের এসব গ্রহণ করে নিয়েছে এমনটি নয়। তাদের কমেন্ট বক্স ঘাটলে বোঝা যায় কতটা ঘৃণা জন্মেছে আমজনতার মনে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ আর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতি। শবনম শাহীন নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ফেসবুক চালানো নিষিদ্ধ করা উচিৎ। এদের মিথ্যা প্রোপাগান্ডার জালাতনে ফেসবুকেই আর ঢুকতে ইচ্ছে করে না।’
ফারুক আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, ‘এবার একটু থামেন আপারা, আপনাদের বড় আপা তো পালাইছে। আপনারা কেন শুধু শুধু ফেসবুকের পরিবেশটা নষ্ট করতেছেন?’ শুধু ছাত্রলীগ নয়, এর সাথে যুবলীগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও রয়েছে। ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মন্ত্রীদের ফেসবুকে আইডি। সেখানে আবার দেখা যাচ্ছে ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের মিথ্যা বানোয়াট প্রোপাগান্ডা।
এর মধ্যে রয়েছে দেশজুড়ে সৃষ্টি হওয়া ডাকাতি আর গুলি চালানোর ঘটনা, তার সাথে আওয়ামী লীগ যুক্ত করেছে ধর্ষণের বানানো সব কাহিনী। দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে যখন এমন কোন খবর নেই, তখন আওয়ামী লীগের দোসররা এসব ঠিকই বানিয়ে নিয়েছে নিজেদের মত করে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলেও ঘটেছে এমন সব ডাকাতির ঘটনা, ধর্ষণের ঘটনাতো ছিলো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়।
কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে হাইলাইট করা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। যার পিছনের কারিগর ফ্যাসিস্ট হাসিনা। বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের সব ধরণের চেষ্টাই করে যাচ্ছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও এর দোসররা।