সৈয়দ জামিলের পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন ফারুকী

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম

সৈয়দ জামিলের পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন ফারুকী

ফাইল ছবি

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ। হঠাৎ তার পদত্যাগে সংস্কৃতি অঙ্গনে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে ‘মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্যোৎসব’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

পদত্যাগের কারণ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ঘটনায় সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়ায়। পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১ মার্চ) ফারুকী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।

তিনি লেখেন, ‘সৈয়দ জামিল আহমেদের কাজের একজন গুণমুগ্ধ আমি। সম্ভবত উনার কাজ নিয়ে বাংলাদেশে কোনো পত্রিকায় ছাপা হওয়া সবচেয়ে বিস্তারিত লেখাটা আমি লিখেছিলাম যায়যায় দিনের এন্টারটেইনমেন্ট ম্যাগাজিন মৌচাকে ঢিলের জন্য। এরপরেও বাংলা-ইংরেজি অনেক কাগজে লিখেছি। এখনও আমি তাকে বাংলাদেশের থিয়েটারের সবচেয়ে মেধাবী নির্দেশক মনে করি। কয়দিন আগেও জামিল আহমেদের সামনেই একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছি উনাকে দিয়ে তাদের দেশে একটা থিয়েটার প্রোডাকশন করাতে।’ 

‘কিন্তু ভালো শিল্পী হওয়া আর আমলাতন্ত্রকে কনফিডেন্সে নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো দুইটা দুইরকম আর্ট। দ্বিতীয় কাজটা করবার জন্য লাগে ধৈর্য এবং ম্যানেজারিয়াল ক্যাপাসিটি। কলিগদের বুলিং না করে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা দিয়ে অনেক কাজ আদায় করে নেয়া যায়। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে যে কম্পোজার লাগে, সেটার সাথে কোনো একটা থিয়েটার দলে নির্দেশনা দেয়ার টেম্পারামেন্ট এক না। আমার ফিল্ম ইউনিটে আমি যা করতে পারি, একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানে আমি তা করতে পারি না।’

জামিল আহমেদকে শ্রদ্ধার কথা জানিয়ে ফারুকী আরও লেখেন, ‘আমি জামিল ভাইয়ের নাটকীয় পদত্যাগ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম না, কারণ তাতে আমাকে এমন কিছু রেফারেন্স টানতে হবে যেটা তার জন্য অস্বস্তিকর হবে। আমি চাচ্ছিলাম না কারণ আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ফর রেকর্ডস আমাকে আসলে এগুলো বলতেই হবে। আজকে আমাদের অনেকগুলা কাজ আছে। এটা শেষ করে সময় পেলে লিখবো।

পরিশেষে তিনি বলেন, ‘আমি উনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি। উনার সৃজনশীল কাজে যেকোনোভাবে সহযোগিতা করতে পারলে মন্ত্রণালয় ধন্য হবে। আর আমি আমার দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার পরও তার কোনো সাহায্যে আসলে আনন্দিত হবো, যদিও আমাদের দুইজনের কাজের ক্ষেত্র আলাদা।’

আরবি/এসএমএ

Link copied!