রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম

‘লজ্জাহীন নির্লজ্জ জাতি’বলে ফেসবুকে অভিনেত্রীর স্ট্যাটাস

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম

‘লজ্জাহীন নির্লজ্জ জাতি’বলে ফেসবুকে অভিনেত্রীর স্ট্যাটাস

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় নিজেদের ‘লজ্জাহীন নির্লজ্জ জাতি’বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমা মির্জা।

শুক্রবার (৭ মার্চ) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে ইব্রাহিম খলিল শাওন নামে এক জনের পোস্ট শেয়ার করে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তমা মির্জা  ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, চুপ থাকতে থাকতে বোবা হয়ে গেছি আমরা , সহ্য করতে করতে বিবেকহীন হয়ে গেছি আমরা, মেনে নিতে নিতে অমানুষ হয়ে গেছি আমরা , লজ্জাহীন নির্লজ্জ জাতি আমরা..

ইব্রাহিম খলিল শাওন লেখেন, বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল বাচ্চা মেয়েটা। ফিরতে রাত হয়ে যাবে বিধায় বড় বোন বলেছিল এর পরদিন বাড়িতে যেতে। বড় বোন কিছুক্ষণের জন্যে বাইরে গিয়েছিল।  মেয়েটা বোনের রুমে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে ছিল এককোনায়। দুলাভাইও ছিল রুমে। বড়বোন ভেবেছিল তার হাসবেন্ড যেহেতু আছে তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।
তারপর দুপুরের দিকে বড় বোন বাসায় এসে দেখে রুমে লাইট নিভানো, ঘুটঘুটে অন্ধকার। তড়িঘরি করে লাইট জ্বালিয়ে দেখে তার আদরের ছোট বোনটা এলোমেলোভাবে পড়ে আছে, চেহারাটা ফ্যাকাশে। বড় বোন বুঝতে পারেনা কি হয়েছে তার আদরের বোনটার সাথে। অনেকক্ষণ পর যখন বুঝতে পারে তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। 
বড় বোন শাশুড়িকে হাতজোড় করে তার বোনটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। কিন্তু শাশুড়ি নিষেধ করছিল ঘটনাটা যাতে জানাজানি না হয়,হলে না-কি মানসম্মানে কমতি পড়বে তাদের। তারপর বহু কষ্টে শাশুড়িকে রাজি করিয়ে বড় বোন তার ছোট বোনটাকে নিয়ে আসে মাগুড়া হাসপাতালে। কোনরকম দায়সারা ভাবে হাসপাতালে দিয়েই শাশুড়ি পালিয়ে যায় সেখান থেকে।

তিনি লেখেন, হাসপাতালে আনার পর বাচ্চা মেয়েটার অবস্থা আরও বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে। ব্যথায় কাতরাচ্ছিল শুধু। বাচ্চা মেয়ে বয়স আর কত হবে? সাত কিংবা আট। 


যৌনতার কিছুই বুঝে না, পুতুল নিয়ে খেলার বয়স তার। মেয়ের মা এবং বোনের সন্দেহ দুলাভাই সজীব এবং শ্বশুর হিটুর প্রতি। জোরালো সন্দেহ দুলাভাই সজীবের প্রতি যেহেতু তার রুমেই ছিল বাচ্চা মেয়েটা। এই বাচ্চা মেয়েটার কি দোষ ছিল? ওর তো ওড়না পড়ার বয়সও হয়নি। ওড়না পড়ার বয়স হলে নাহয় ওড়নার দোহাই দিয়ে দায়সারা যেত।  সমাজ কি এবারেও ধ* র্ষ কের পক্ষ নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে বরন করে নিবে? না-কি বাচ্চা মেয়েটার পক্ষ নিয়ে ধ* র্ষ কের কঠিন বিচার করতে সাহায্য করবে?

তিনি আরও লেখেন, মেয়ের মা এবং বোন মিলেই এখনও অসহায়ের মত পড়ে আছে হাসপাতালে। তাদেরকে সাহায্য করতে আসেনি কেউ, আসেনি কোন নারীবাদী সংগঠনও।
বাচ্চা মেয়েটার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। ব্যথায় একটু পর পর ককিয়ে উঠতেছে শুধু। বড় বোন একপাশে হাতে ধরে দাড়িয়ে আছে। মেয়েটার মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আশ্বাস দিচ্ছে - সব ঠিক হয়ে যাবে মা।

বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরবি/এসবি

Link copied!