‘বৈষম্যবিরোধী’ ও ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ের এখন আর অস্তিত্ব নেই—এমন মন্তব্য করেছেন সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তার এই মন্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে উমামা ফাতেমা লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশীদার সব শিক্ষার্থী নতুন রাজনৈতিক দল বা নতুন ছাত্রসংগঠনে যুক্ত হননি। অংশীদারদের আলোচনার বাইরে প্ল্যাটফর্ম বিলুপ্ত হবে না। তাই বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ রইল।’
এর আগে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী’ বা ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ের এখন আর অস্তিত্ব নেই।’ পরবর্তী সময়ে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকেও একই বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।
সেখানে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগের অবস্থানে নেই। সেখান থেকে একটি ছাত্রসংগঠন তৈরি হয়েছে, একটি রাজনৈতিক দলও গঠিত হয়েছে। তাই বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়ক পরিচয়টি এখন আর অস্তিত্ব রাখে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমাদের অনুরোধ, কেউ যদি এই পরিচয় ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
নাহিদ ইসলাম জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন। তার এক দফার আহ্বানেই জনগণ রাস্তায় নেমে আসে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
নতুন সরকার গঠিত হলে নাহিদ ইসলাম তাতে যোগ দেন। তবে ছাত্র-তরুণদের দল গঠনকে কেন্দ্র করে তিনি সরকার থেকে পদত্যাগ করেন এবং নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা ইতোমধ্যে নতুন ছাত্রসংগঠন গঠন করেছে।
এ কারণেই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা নাহিদ ইসলামের কাছে জানতে চান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিংবা প্ল্যাটফর্মটির সমন্বয়ক পরিচয় কি এখনো দেওয়া যাবে?
আপনার মতামত লিখুন :