ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড মাত্র তিন চারটা দিয়ে দেখুন, ধর্ষণ তো দূরের কথা, কোনো মায়ের দিকে চোখ তোলে তাকানোর সাহস পাবে না কোনো কুলাঙ্গার বলে মন্তব্য করেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক।
শনিবার (১৫ মার্চ) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্ট্যাটাসে চমক লিখেন, ২০১৮ সালে বরিশালের বানারিপাড়ায় মা-মেয়েকে একসাথে ধর্ষণ করে মাথা নেড়ি করে দেয় প্রভাবশালী তুফান, তুফানেরও একটা বিচার হয়েছে, তবে ফাঁসি হয়নি।
সংরক্ষিত এলাকা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে তনুকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করা হয়, কে বা কারা জড়িত তা কিন্তু গোয়েন্দা বাহিনী ভালো করেই জানে, কিন্তু তনুর ধর্ষণকারী কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দিনের বেলা যুবতি মেয়ের সামনে তার মাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করার পর প্রহার করা হয়, ১৭ কোটি মানুষ এর সাক্ষী,
ধর্ষক রুহুল আমীনের ফাঁসির দাবি উঠলেও ফাঁসি কিন্তু হয়নি।
তিনি লিখেন, ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসরঘর সাজিয়ে প্রতিরাতে একজন ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হতো, এভাবে একশ ধর্ষণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস করেছিল ক্ষমতাসীন দলের সোনার ছেলে "জসিমউদদীন মানিক"। এরও একটা বিচার হয়েছিল, তবে ফাঁসি হয়নি। দিবালোকে রামদা দিয়ে রাস্তায় প্রকাশ্যে খাদিজাকে কুপিয়ে তার মাথা কয়েকভাগ করে সিলেটের বদরুল, খাজিদার ভাগ্য ভালো মরতে মরতে বেঁচে গেছে। বদরুলেরও একটা বিচার হয়েছে, তবে খুব বেশি হয়নি। কিছুদিন আগে ঢাকার এক আবাসিক এলাকায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়, ধর্ষক আটক, তবে তারও কিন্তু ফাঁসি হবে না।
তিনি আরও লিখেন, গত কয়েক বছর আগে দেখলাম ৩ বছরের শিশুর যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় সেই ধর্ষকও গ্রেপ্তার হয়েছে, তবে ফাঁসি কিন্তু হয়নি। এভাবে আরও কত ধর্ষিত হচ্ছে মা বোনেরা তার হিসাব রাখে কে? ধর্ষকরা জেলে যায় ঠিকই কিন্তু ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে আবার বেরিয়ে আসে।
আমরা ধর্ষকের ফাঁসি চাই সবাই, কিন্তু দেশে কি সেই আইন আছে? প্রশ্ন করে অভিনেত্রী চমক লিখেন, ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড মাত্র তিন-চারটা দিয়ে দেখুন, ধর্ষণ তো দূরের কথা, কোনো মায়ের দিকে চোখ তোলে তাকানোর সাহস পাবে না কোনো কুলাঙ্গার।
ধর্ষণের সাজার বিষয়ে তিনি লিখেন, আমেরিকা: ধর্ষিতার বয়স ও ধর্ষণের মাত্রা দেখে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ।
রাশিয়া: ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড।
চীন: কোনো ট্রায়াল নেই, মেডিকেল পরীক্ষার পর মৃত্যুদণ্ড ।
পোল্যান্ড: হিংস্র বুনো শুয়োরের খাঁচায় ফেলে মৃত্যুদণ্ড ।
মধ্যপ্রাচ্য আরব দুনিয়া: শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত পাথর ছুড়ে মৃত্যু, ফাঁসি, হাত পা কাটা, যৌনাঙ্গ কেটে অতি দ্রুততার সাথে মৃত্যুদন্ড দেওয়া ।
তিনি আরও লিখেন, বাংলাদেশেও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই।
আপনার মতামত লিখুন :