দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে দেখা গেল শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াদেজ জয়ের। এরপর তাকে নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। তবে সবাই অবাক হয়েছে তার চেহারা দেখে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর জয় বিভিন্ন ভিডিও বার্তায় নানা কথা বলেছিলেন। একেক সময় একেক কথা বললেও গত বছরের ১১ আগস্টের পর তিনি ‘চুপ’ হয়ে যান। এরপর আর দেখা যায়নি তাকে।
এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তার একটি ছবি। তবে একই ছবির সঙ্গে নানা জনের বিভিন্ন মন্তব্য এসেছে। প্রবাসী সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ডক্টর কনক সরোয়ার রোববার (১৬ মার্চ) সকালে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জয়ের একটি ছবি পোস্ট করেন।
ছবিটি ক্যাপশন-সহ শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের অন্যতম সম্পদ লুণ্ঠনকারী পলাতক হাসিনার পুত্র এখন নিঃসঙ্গ। আওয়ামী লীগের জন্য ছোট হয়ে আসা পৃথিবীতে নিজের ভবিষ্যত নিয়েও তার চেহারায় উদ্বিগ্নতার ছাপ রয়েছে। মাত্র ২২১ দিন আগে যে জীবন ছিল, এখন তা একেবারে বদলে গেছে। গত সাত মাসে তার বয়স যেন এক ধাক্কায় সাত বছর বেড়ে গেছে।’
ছবিটি ওয়াশিংটন ডিসির ভার্জিনিয়ার ডালা শপিং সেন্টারের ভেতর বিকেলে তোলা বলে জানানো হয়।
কনক সরোয়ারের ছবিটি শেয়ার করার পর প্রবাসী সাংবাদিক নাজমুস সাকিব লিখেছেন, ‘জাতির ভাইগনা স্পটেড। সাড়ে হাজার খ্যাত সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, যিনি সজীব ওয়াজেদ জয় নামে অধিক পরিচিত।’
তিনি আরও জানান, জয় সর্বশেষ তার প্রেমিকার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে দেখা দিয়েছিলেন। বহুদিন পর তাকে আবারো পাবলিক প্লেসে দেখা গেল, এবার তাকে দেখা গেছে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি শপিং মলে।
ছবিটি দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ‘সবসময় ক্লিন শেভ থাকলেও এবার তার মুখে সাদা সাদা খোঁচা খোঁচা দাড়ি এবং কিছুটা বিধ্বস্ত মনে হয়েছে।’ সাকিবের পোস্টের সঙ্গে আরও একটি ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
ছবিটি পোস্ট করার সাথে সাথে এটি ফেসবুকের ট্রেন্ডিং ‘পপুলার নাউ’ ক্যাটাগরিতে চলে আসে। প্রচুর মানুষ বিভিন্ন গ্রুপে ছবিটি শেয়ার করছেন। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দেশের জনগণের অন্যতম সম্পদ লুণ্ঠনকারী পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনা পুত্র সাড়ে হাজার বিজ্ঞানী জয় এখন দারুণ নিঃসঙ্গ।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘অবৈধ ক্ষমতার বাহাদুরি, মাসিক কোটি টাকা বেতনের প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা পদধারীর আজগুবি তথ্য প্রদানকারী ডাকাতের রমরমা ইনকাম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তার চেহারায় সেই জৌলুস আর নেই।’
আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মাত্র আট মাসের ব্যবধানে লোকটাকে চিনতে পারছি না! আহ, কত দাম্ভিকতা, দাপট, হুংকার, ইজ্জত-সব কিছুই নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। এটা যেন শিক্ষা হয়ে দাঁড়াবে।’