সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গাছের সাথে হাত বেঁধে একজন নারীকে পেটানোর ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। একই সাথে পোস্টগুলোর শিরোনামে ঘটনাটিকে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের ঘটনা দাবি করা হয়েছে। যা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং, ভারতের উত্তর প্রদেশের ২০১৮ সালের ভিডিওকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রির্ভাস ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম Hindustan Times এর ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ২২ মার্চ Woman publicly flogged by husband on panchayat’s orders for eloping শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে ব্যবহৃত ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওটির নারী, তার পোশাক ও নির্যাতনকারীর মিল রয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, উক্ত ঘটনাটি ২০১৮ সালের ১০ মার্চ ভারতের উত্তর প্রদেশের বুলান্দশহর জেলার লৌঙ্গা গ্রামে ঘটে। নির্যাতনের শিকার নারী ধর্মেন্দ্র লোধি নামের তার এক প্রতিবেশী পুরুষের সাথে পালিয়ে গেলে পরবর্তীতে তাদেরকে বুঝিয়ে গ্রামবাসীরা ফিরিয়ে আনেন। এ ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দেশে শাস্তিস্বরূপ ওই নারীর স্বামী তাকে গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করেন বলে প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়।
পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আরেক ভারতীয় গণমাধ্যম NDTV এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের ২৪ মার্চ Woman Beaten, Men Watch: Are We A Nation Of Bystanders? শীর্ষক শিরোনামে একই ঘটনায় প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদনটি থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে মহিলাকে নির্যাতনের ভিডিওটিও দেখতে পাওয়া যায়।
সুতরাং, ভারতের উত্তর প্রদেশে নারী নির্যাতনের ভিডিওকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক চিত্র দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।
আপনার মতামত লিখুন :