হঠাৎ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি, নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক রাফে সালমান রিফাত।
আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন তিনি। পোষ্টে বলেন,
হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণেই মিশরের মোহাম্মদ মুরসি, তিউনিশিয়ার রশিদ ঘানুশি, তুরস্কের এরবাকানের মত বাংলাদেশেও জামায়াতে ইসলামীকে হয় ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না কিংবা ক্ষমতায় আসলেও স্যাবোটাজ ঘটিয়ে পতন ঘটানো হবে উল্লেখ করেছেন।
ওই পোস্টে রিফাত আরও বলেন, ঘনঘোর ফ্যাসিবাদে ছাত্রশিবিরের একজন কর্মী ও পরবর্তীতে নেতা হিসাবে আমি দেখেছি যে, ইসলামের নাম নিয়ে যে কেউই ক্ষমতায় আসতে চাক না কেন, তাকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না দেশি-বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তিগুলো। এটা শুধু জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তা নয়, অন্য যে কারও জন্যই প্রযোজ্য বলে
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়াকেও ইসলামিস্ট আখ্যায়িত করে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র হয়েছে, দীর্ঘদিন বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়েছে।
রাফে সালমান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমতায় আসার জন্য প্রয়োজনীয় জনসমর্থন ও যোগ্যতা আছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণেই মিশরের মোহাম্মদ মুরসি, তিউনিশিয়ার রশিদ ঘানুশি, তুরস্কের এরবাকানের মত বাংলাদেশেও জামায়াতে ইসলামীকে হয় ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না কিংবা ক্ষমতায় আসলেও স্যাবোটাজ ঘটিয়ে পতন ঘটানো হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের এই সংগঠক আরও বলেন, দেশি-বিদেশি ইসলামোফোবিক চক্রান্তের বিরুদ্ধেই আমার দেড় দশকের রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হয়েছে। সামনেও তাই থাকবে। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি হিসেবে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আগামীর বাংলাদেশে ইসলামিস্ট ট্যাগ দিয়ে যোগ্যতা সত্ত্বেও কাউকে কোথাও থেকে বঞ্চিত করা বা স্যাবোটাজ ঘটিয়ে পদচ্যুত করা আমি মেনে নেবো না। এস্টাবলিশমেন্ট এবং ডিপ স্টেটের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের তাহযিব-তমুদ্দুনের পরাজয় কোনোদিনই মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি বলছেন, আমরা এমন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই, যে বাংলাদেশে জনগণের ভোটে জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোন ‘ইসলামি’ দল ক্ষমতায় যেতে চাইলে যেন কোন দেশি-বিদেশি চক্রান্ত জনগণের ম্যান্ডেটকে ভূলুণ্ঠিত করতে না পারে। নারায়ে তাকবির ধ্বনিতে আগ্রাসী প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে এদেশের মাটিকে হেফাজত করতে যাওয়া কৃষকরাই আমার আপনজন। স্রেফ দেশি-বিদেশি এলিটদের পছন্দ না জন্য তাদের অপছন্দের দলকে ক্ষমতায় আসতে না দেওয়ার যে অপসংস্কৃতি, আমরা ইনশাল্লাহ এটার পতন ঘটাবো।
সবশেষে এই ছাত্রনেতা বলেন, আশা করি আপনারা আমার সেন্সটা ধরতে পেরেছেন। এরপরও আমার কথায় যাদের অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার উচিত ছিল বিষয়টা ব্যাখ্যা করে স্পষ্ট করা।