সম্প্রতি হাসনাত আব্দুল্লাহর ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে করা একটি স্ট্যাটাস ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। বিপরীত অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে বাকযুদ্ধ! কেউ বলছেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, হুটহাট ফেসবুক স্ট্যাটাস রাজনৈতিক অপরিপক্কতার পরিচয়।
এমতাবস্থায় এনসিপির নেতৃস্থানীয় ‘ভাই ব্রাদারদের’ উদ্দেশ্যে নিজেকে শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে দাবি করে পরামর্শ দিয়েছেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।
রোববার (২৩ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, রাজনীতি আর এক্টিভিজম দুইটা দুই জিনিস। ভাইরে তোমরা এখনও এই দুইটার ভেতরে পার্থক্য করতে পারছো না। তোমাদের পুরো রাজনীতিটারেই ফেইসবুক এক্টিভিজমের জায়গায় নিয়ে এসেছো, এতে করে ইন্সট্যান্ট কিছু শোরগোল করা গেলেও আখেরে কিন্তু বড় লস হয়ে যায়, ইনফ্যাক্ট অলরেডি অনেকগুলো সেক্টরে হয়ে গেছে।
তিনি আরও লেখেন, এখন কিন্তু আর ছাত্র হিসাবে কোন সফট কর্নার কেউ দেখাবে না, কারণ এনসিপি এখন পুরোদস্তুর রাজনৈতিক দল আর তোমরা হইলা ওই দলের নেতা। অতএব তোমাদেরকে এখন মাপা হবে রাজনীতির পাল্লাতেই। দলের সবাই নেতা হয়ে গেলেই কিন্তু সমস্যাটা শুরু হয়। অথচ একটা দলে নেতার চেয়ে কর্মী দরকার বেশি। দলের চেইন অব কমান্ড ঠিক করো। হুটহাট করে কোনকিছু করার আগে সবাইমিলে বসে আলাপ আলোচনা করে করো।
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ আরও লেখেন, আপাতত কয়েকজনের কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে, তোমাদের যারা অপছন্দ করে তাদের জন্য বাইরে থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে কিছুই করার দরকার হবে না, বরং তোমরা নিজেরা নিজেরাই কামড়াকামড়ি করতে করতে সবার চোখে বিভ্রান্তিকর এলিমেন্ট হয়ে যাবা! এখনও সময় আছে মাথা ঠাণ্ডা করে বসে নিজেদের সবার সাথে প্ল্যান করে রাজনীতি সাজাও, আর এক্টিভিজম ছাড়ো। আর অতি অবশ্যই অতিমাত্রায় তাত্ত্বিক কিছু পণ্ডিতের সঙ্গ ত্যাগ করো।