বর্তমানে সময়ের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি। সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে ভিডিও তৈরি করে আলোচনায় উঠেছেন এসেছেন। পাশাপাশি, লেখক হিসেবেও পরিচিতি তৈরি করেছেন। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় নিয়ে অনেকের আগ্রহ রয়েছে। এবার তার ফেসবুকে সে হিসাব জানালেন নিজেই।
সোমবার (২৪ মার্চ) ফেসবুকে এক দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস প্রতি মাসের আয় তুলে ধরেছেন কাফি।
তিনি লেখেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে আমি ফেসবুক থেকে ৩২ হাজার ৬৮ ডলার আয় করেছি, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ২৮০ টাকা। একদিন আগে আমি এর একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছিলাম।’
একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করে তিনি আরও লেখেন, ‘নিচের স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, গত ২১ মার্চ ফেসবুক আমাকে ৩২ হাজার ৬৮ ডলার পাঠিয়েছে। এটি শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসের ইনকাম। স্ক্রিনশট দেখলেই বুঝতে পারবেন যে এটি শুধুমাত্র এক মাসের আয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, আমি কেন এসব বলছি? ইনকাম করছি, ভালো কথা—কিন্তু এটা বলার প্রয়োজন কী? আসলে বলার কারণ আছে। আমি সম্প্রতি একটি জমি দেখাশোনা করেছি এবং ইনশাআল্লাহ সেটি ক্রয় করবো। যার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকার বেশি। পাশাপাশি, ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনাও করছি এবং দেশের বাইরে ভ্রমণের প্রস্তুতিও নিচ্ছি।’
প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যদি আমি এক মাসে ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারি, তাহলে জমি কিনতে, ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখতে বা দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে কোনো অসুবিধা থাকার কথা নয়, তাই তো?’
তার ভাষায়, ‘আমি চাইলে এই বিষয়টি গোপনও রাখতে পারতাম। তবে কেন প্রকাশ করলাম? কারণ, দুই দিন পর যখন আমি জমি কিনবো, তখন সেটি জানাজানি হবেই। তখন আমার হেটাররা নানা কথা বলবে, কিন্তু আমার ভালোবাসার অডিয়েন্স যুক্তি দিতে পারবে না। তারা বলবে, আমি উপরের লোকজনের সাথে পরিচিত, উপদেষ্টাদের ছোট ভাই, সমন্বয়কদের কাছের লোক—তাই এত ইনকাম করছি। কিন্তু এ প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার এক মাসের ইনকামেই স্পষ্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বলছেন, ফেসবুক ইনকাম কমিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে পরে আরও বিস্তারিত জানাবো। আমি মার্চ মাসে যে পেমেন্ট পেয়েছি, সেটি ফেব্রুয়ারি মাসের আয়। আর ফেব্রুয়ারিতে যে পেমেন্ট পেয়েছি, সেটি জানুয়ারির আয়।’
কাফি বলেন, ‘কিছু মানুষের মনে সন্দেহ থাকবেই। তারা ভাববে, এত টাকা ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব নয়! কিন্তু ভাইয়া, এটা সম্ভব এবং এর চেয়েও বেশি আয় করেছেন অনেক বাংলাদেশি কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তারা জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং ডিসেম্বরে বিশাল অঙ্কের অর্থ আয় করেছেন এবং এখনও আয় করছেন। যদি কেউ সন্দেহ করেন এবং সত্য জানতে চান, তাহলে ইসলামি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যদিও কোনো ব্যাংক ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ করে না, তবুও আমার ব্যাংক হিসাব ইসলামি ব্যাংকে রয়েছে। তারা সহজেই বলতে পারবে যে, এই টাকা সরকারি কোনো উৎস থেকে এসেছে কি না বা এটি ফেসবুক ইনকাম।’
আপনার মতামত লিখুন :