ঢাকা সোমবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৫

ক্ষমা চেয়েছেন ড্যাফোডিলের সেই শিক্ষিকা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৫, ১২:১৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষিকা তাহমিনা রহমান।

রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন  তিনি।

স্ট্যাটাসে তাহমিনা রহমান লিখেছেন, আমি সাম্প্রতিক ঘটনাটি নিয়ে কিছু বলতে চাই, যা ৭ এপ্রিল, ২০২৫-এ গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। প্রথমেই বলতে চাই, আমার কথার ভুল বোঝাবুঝির কারণে যে গভীর কষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন । আমি কখনোই ফিলিস্তিন ও গাজার মজলুম মুসলিমের  উপর নিকৃষ্ট ইসরায়েলের ঘৃণিত হত্যাযজ্ঞ সমর্থন করিনি, এখনো করি না, কখনোই করব না।

তিনি লিখেন, যে স্ক্রিনশটগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, তা আমার প্রকৃত মনোভাবকে প্রতিফলিত করে না। এখানে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, এবং আমার কথাগুলো ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। আমি নিঃসন্দেহে গাজা ও তার জনগণের পাশে আছি, তাদের ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার দাবিকে কঠোরভাবে ও গভীরভাবে সমর্থন করি। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যার জন্য আমি ইসরায়েলের করুণ ধংস চাই, মনে প্রাণে চাই, আল্লাহর কাছে চাই।

শিক্ষিকা লিখেন, যেহেতু আমার ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথোপকথনটি ছিল কিছুটা বিকেলের দিকের, আমি সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্টিভ না থাকার জন্য আমি বুঝতে পারিনি এটি পুরো বিশ্বের ও বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের একটি কালেক্টিভ প্রটেস্ট। আমি নিতান্তই আমার নিজ ব্যাচের সেকশনের কিছু শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্ত ভেবেছিলাম তাই আমার প্রতিক্রিয়া এরূপ ছিল। তবে সেটা হলেও আমার এইরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি। এই কারণে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

তিনি  আরও লিখেন, আমার শিক্ষার্থী, সহকর্মী, বন্ধু এবং এই ঘটনার দ্বারা যারা কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।