ঢাকা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

সিঙ্গাপুর থেকে পালিয়ে কোথায় আছেন শেখ তাপস?

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

জুলাইয়ে যখন একের পর এক মানুষ মারা যাচ্ছিল ফ্যাসিস্টের গুলিতে। কাঁপছিল বাংলাদেশের প্রতিটি শহর থেকে গ্রাম। আর মায়ের চোখেরর জলে ভেসে যাচ্ছিল বাংলার বুক, ঠিক তখনও রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে হাজার হাজার মানুষের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে পার্টি করছিলেন সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সেরাটনের আশপাশের রোডে শিক্ষার্থীরা হারাচ্ছিলেন চোখ-হাত ও নিজের ভবিষ্যৎ। শেখ তাপস তখন ছেলের গ্রাজুয়েশন সেলিব্রেশনে সেরাটনের ১২ তলার বল রুম আলোকিত স্থলে নাচানাচি করছিলেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালানোর আগেই পরিস্থিতি অনুধাবন করে ৩ আগস্ট সিঙ্গাপুর পালিয়ে যান শেখ তাপস।

পালিয়ে প্রথমে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। অনেক চেষ্টার পরেও কাজে না এলে এমনকি বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসেন। তবে পরিবারকে সিঙ্গাপুরের পাঠিয়ে দিয়ে, সুযোগ বুঝে নিজেও সিঙ্গাপুরের ফ্লাইট ধরেন। আর সেখানেই ছিলেন মাসের পর মাস ভিসা ছাড়াই। এরই মাঝে হাতে আবারও সুযোগ এলে অবশেষে পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাজ্যে।

সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সপরিবারে লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। বড় ছেলে লন্ডনে আর ছোট ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করছেন।

২০২৩ সালের শুরুতে মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ সড়কে গভীর রাতে গাছ কাটা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন শেখ তাপস।

এ সময় পরিবেশবিদ বর্তমানের সৈয়দা রিজোয়ানা হাসান গাছকাটা বন্ধে দেখা করতে গেলে তাকে নগর ভবনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। এরপর এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ ও সমালোচনা হলে এক পর্যায়ে গাছকাটা বন্ধ করা হয়।

এর আগে ২০২১ সালে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন জানান, শেখ তাপস দক্ষিণ সিটির শত শত কোটি টাকা নিজের মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন।

২০২৩ সালে তাপস দাবি করেন- তিনি এক প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিয়েছেন এবং সমালোচকদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন; যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়

এমনকি ২০২৩ সালে ডেইলি স্টারের একটি রম্য রচনায় মানহানি হয়েছে দাবি করে সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ তিনজনকে ১০০ কোটি টাকার লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে হয়েছিলেন দেশের প্রথম ১০০ কোটির মেয়র।

গণঅভুত্থানের আগে হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন, দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন, এমনকি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ আছে সাবেক এই মেয়রের বিরুদ্ধে।

বিডিআর হত্যাযজ্ঞে নিহত মেজর জেনারেল শাকিলের ছেলে রাকিন আহমেদ দাবি করেন, ১৫ বছর আগে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শেখ তাপস জড়িত ছিলেন।