অন্তর্বর্তী সকারের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক কূটনীতিক মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। রোববার (২০ এপ্রিল) প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে এই নিয়োগ পান তিনি।
এই নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এবার এ বিষয় নিয়ে সমালোচনা করলেন অনলাইন একটিভিস্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।
রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে সাইয়েদ আব্দুল্লাহ নিজের ফেসবুক একাউন্টে এক পোস্টে সদ্য প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় দায়িত্ব প্রাপ্ত মোহাম্মদ সুফিউর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এবং বিতগ রেজিমে হেভিওয়েট মিশনে সার্ভিসম্যান হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি পোস্টে লেখেন, এই নিয়োগটা ঠিক কোন কোন মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে দেওয়া হলো—অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত সেটা সবাইকে জানানো।
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বিগত হাসিনা রেজিমে হেভিওয়েট সব মিশনে সার্ভিসে ছিলেন তিনি। হাসিনা সরকারের দ্বারা যত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ জেনেভাতে উঠতো, সেগুলো ডিফেন্ড করে বেড়াতো সে।
আব্দুল্লাহ লেখেন, চাকরির কোর্স অব একশনের পাশাপাশি স্বপ্রণোদিত হয়েও এসব কাজ করতো সে। হাসিনা রেজিমের মানবাধিকার লঙ্ঘন যাতে আন্তর্জাতিকভাবে কালিমা লেপন না করতে পারে, সেজন্য বহু চেষ্টা চালু রেখেছিলেন তিনি। তার পারফরম্যান্সে খুশি হয়ে হাসিনা সরকার বিশেষ বিবেচনায় তার চাকরির মেয়াদও বাড়িয়ে দিয়েছিলো।
তিনি আরও লেখেন, এখন এই সুফিউর রহমানকে নিয়ে এসে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসাবে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হলো তাকে! ব্যাপারটা খুবই রহস্যজনক নয় কি?
পোস্টে শেষে তিনি একটি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়— ইন্টেরিম গভমেন্ট নিজেই ফ্যাসিস্টের দোসরদেরকে এভাবে পুনর্বাসন প্রজেক্টে কেন নামলো?
আপনার মতামত লিখুন :