নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে পশ্চিমাদের অন্ধ অনুসারী একটি বিশেষ শ্রেণির নারীদের নিয়ে। যারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক মূল্যবোধ ও পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই কমিশন এ দেশে পশ্চিমা ধ্যান-ধারণা চাপিয়ে দিতে সচেষ্ট। তাদের সাথে দেশের সাধারণ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামিক গবেষক ও আলোচক শায়খ আহমদুল্লাহ।
রোববার (২০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান তিনি।
স্ট্যাটাসে শায়খ আহমদুল্লাহ লিখেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে এমন কিছু প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে, যা এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক তো বটেই, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস ও নৈতিকতার সঙ্গেও বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। প্রস্তাবনায় এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীদের বিশ্বাস, চিন্তা-চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। প্রতিবেদনের পরতে পরতে আঁকা হয়েছে পরিবার ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার এক গভীর নীলনকশা।
তিনি লিখেন, অন্যান্য সরকার এবং এই সরকারের মাঝে একটি মৌলিক তফাত হলো—অন্যান্য সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় আর এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হাজারো শহীদের রক্তদানের ফলে। যাদের প্রাণোৎসর্গের ফলে এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কমিশন তাদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে থোড়াই কেয়ার করেছে। বরং প্রতিবেদনে তাদের চিন্তা ও বিশ্বাসকে অপমানের চেষ্টা লক্ষণীয়।
তিনি আরও লিখেন, মূলত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে পশ্চিমাদের অন্ধ অনুসারী একটি বিশেষ শ্রেণির নারীদের নিয়ে—যারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক মূল্যবোধ ও পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই কমিশন এদেশে পশ্চিমা ধ্যান-ধারণা চাপিয়ে দিতে সচেষ্ট। তাদের সাথে দেশের সাধারণ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই।
শায়খ আহমদুল্লাহ লিখেন, অবিলম্বে আমরা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ বিবর্জিত এই প্রতিবেদন বাতিল এবং বিতর্কিত কমিশন বিলুপ্ত করে এ দেশের মানুষের চিন্তা-চেতনা এবং সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষদের নিয়ে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি করছি।
আপনার মতামত লিখুন :