খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসিকে অপসারণের আহবান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশীদ।
সোমবার (২১ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে আব্দুল আল সৈকত নামে এক কুয়েট শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাস শেয়ার করে এ দাবি জানান তিনি।
স্ট্যাটাসে সমন্বয়ক রিফাত রশীদ লিখেন, কুয়েটের ভিসিরে সরানোর মতো যদি ক্ষমতা না থাকে তাইলে গদি ছাড় ইন্টিরিম। সৈকতদের কিছু হওয়ার আগেই কুয়েটের ভিসি সরান। এইটা ওয়ার্নিং, এইটা থ্রেট।
তিনি লিখেন, সৈকতদের কিছু হইলে আপনাদের অনেক বড় মূল্য চোকাইতে হবে।
স্ট্যাটাসে কুয়েট শিক্ষার্থী আব্দুল আল সৈকত লিখেন, আমার বাবা ছিলেন কৃষকের সন্তান। ২৫ বছর ধরে প্রবাসে থেকে এই দেশকে রেমিট্যান্স পাঠায়ে যাচ্ছেন। আমি বেঁচে থাকলে এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলির ফার্স্ট গ্র্যাজুয়েট হবো আর আমাদের গ্রামের ফার্স্ট ইঞ্জিনিয়ার।
তিনি লিখেন, ‘ঢাবি-বুয়েটে চান্স পেয়েও অনেকের মতো কুয়েটে আসছি ইলেক্ট্রিক্যাল পড়তে, রিসার্চার হবো বলে। স্বপ্ন ছিল দেশের বাইরে ভালো ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করব। সেই অনুযায়ী তিন বছর ধরে একটা ভালো সিজিপিএ মেইনটেইন করে আসতেসি, অনেক রিসার্চ প্রোজেক্টে যুক্ত হইসি, একটা পেপার রিভিউতে দিসি। শুধু আমি না, আমার সাথে টিচার ক্যান্ডিডেট ফ্রেন্ডও এই আমরণ অনশনে বসতেসে, ক্যারিয়ার ও জীবন শেষের রিস্ক নিয়ে। আমাদের সব বোধহয় শেষ।’
সৈকত লিখেন, মরে গেলে আমার আফসোস নাই, জুলুমের বিপক্ষে ছিলাম আজীবন। একদিনের জন্যও জীবনে কম্প্রোমাইজড হই নাই। খালি মারা গেলে আমার ফ্যামিলিটাকে কেউ দেখে রাইখেন। আমার ছোট দুইটা ভাইবোন আছে৷ ওদের জন্য কিছু করতে পারি নাই জীবনে, এটাই আফসোস রয়ে যাবে হয়তো। আম্মু আর জাবিনকে কেউ একটু বুঝায়ে শুনায়ে রাইখেন।
শেষে অপ্রেসরদের প্রতি তিনি হিন্দিতে কিছু কথা লিখেছেন, তা বাংলায় তুলে ধরা হলো-
তুম জমিন পে জুলম লিখ দো, আসমান পে ইনকিলাব লিখা যায়েগা, সব ইয়াদ রাখা যায়েগা, সব কুছ ইয়াদ রাখা যায়েগা... বিদায়।