‘ছাত্রলীগের ছোট ছোট নেতা-কর্মীরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, আর আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা বাসায় ঘুমাচ্ছেন’- এমন মন্তব্য করে ফেসবুক লাইভে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে বাদল।
গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া ৭ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের এক লাইভে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত ভিডিওটি দেখা হয়েছে, প্রায় ১১ হাজার বার।
লাইভে মেহেদী হাসান বলেন, ‘বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতা, যারা শ শ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তাঁরা এখন শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, বাড়িতে কোনো হামলা হয়নি। অথচ হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন ছাত্রলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন আমরা কোনো টাকাপয়সা ইনকাম করিনি, বরং উল্টো খরচ করেছি। আর এখন আমাদের খোঁজও রাখছে না কেউ।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনসহ অনেক নেতাই শহরে বা ঢাকায় নিরাপদে রয়েছেন। অথচ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ ও আমার বাসায় একাধিকবার হামলা হয়েছে। যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাদের বাসায় কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। অথচ ৫ আগস্টের আগে আমরা ছাত্রদলের কাউকে আক্রমণ করিনি, বরং তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় ছিল।’
মেহেদী হাসানের বক্তব্য নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কেউ সাড়া দেননি।
মেহেদীর লাইভে স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা মিঠু হাওলাদার মন্তব্য করেন, ‘পৃথিবীটা ছোট, এর হিসাব হবে ইনশাআল্লাহ।’ আরেকজন, মইনুল ইসলাম লিখেছেন, ‘এক পয়সাও ইনকাম করিনি, করার সুযোগ পাইনি, তারপরও বাড়িছাড়া।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :