ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

দাবির ‘ষড়যন্ত্র’ প্রতিহত করে এগোচ্ছে সরকার

শাহীন করিম

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ১২:২৬ এএম

দাবির ‘ষড়যন্ত্র’ প্রতিহত করে এগোচ্ছে সরকার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চার মাস পূর্ণ হয়েছে গতকাল। যদিও এই চার মাসে থেমে থাকেননি হাসিনা ও তার দোসররা। দেশকে অস্থির করতে একের পর এক ষড়যন্ত্রে মেতে আছেন তারা। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যমও। এমনকি জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন করে সে দেশে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনেও চলেছে ন্যক্কারজনক হামলা।


নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৮ আগস্ট ক্ষমতাসীন হওয়ার পরপরই আনসারকাণ্ড থেকে শুরু করে ইসকন তথা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ইস্যুতে নানা দাবি তোলা হয়। মাঝখানে জুডিশিয়াল প্রোপাগান্ডা!, পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের অসন্তোষ, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে উত্তপ্ততা, চাকরিতে আবেদনের বয়স বৃদ্ধির আলোচনার মধ্যে রাজপথে দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, ভারতের মিডিয়ায় মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। রাজপথে উত্তাপ ছড়ানো একের পর এক এসব দাবি সংবলিত কর্মসূচির পেছনে পতিত সরকারের ইন্ধন রয়েছে বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দারা। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টা ও বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যেও এমন অভিযোগ উঠে এসেছে।


গত জুলাই-আগস্টে বিপ্লবের সময় প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায় হয়েছে বলে মনে করছেন আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। গুরুতর আহত হয়ে এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ছাত্র-জনতা। আহত দেড় শতাধিক রোগীর চিকিৎসা চলছে কেবল রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল ও চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। এসব রোগীর একটি অংশের শরীর থেকে এখনো গুলি বের করা যায়নি। তারা প্রত্যেকে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথা জানান। তারা মনে করেন, সরকার তাদের প্রতি উদাসীন। তবে সরকারি তরফে সব ধরনের সহযোগিতার কথা বলা হচ্ছে।


চার মাস আগের গত ৫ আগস্ট লাখো-কোটি জনতা নেমে এসেছিল রাজপথে। সেদিন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা কণ্ঠধ্বনিতে কম্পিত হয়েছিল রাজধানীর অলিগলিও। জনতার অভ্যুত্থানে গণভবনের বিলাসী জীবন ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন সাড়ে ১৫ বছরের দুঃশাসনে বাংলাদেশকে বিকিয়ে দেওয়া স্বৈরাচার। এরপর মন খুলে কথা বলার স্বাদ নিচ্ছেন দেশের নাগরিকেরা।


শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই ‘দাবির ষড়যন্ত্র’: ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থানে গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালানের পরপরই গা ঢাকা দেন তার সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর কিছুক্ষণের মধ্যে থানা ছাড়েন সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা। শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যাসহ গত সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুন-অত্যাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ জমে পাহাড় হয়ে ওঠে। তাদের মনের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে পুলিশের ওপর। ফলে আতঙ্কিত প্রায় সব পুলিশ সদস্য গিয়ে অবস্থান নেন পুলিশ লাইনসগুলোতে। এরপর তারাও তোলেন দাবি। 


একদিকে পুলিশকে মাঠে ফেরাতে সরকার যখন ব্যস্ত, তখন বিক্ষোভ শুরু করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার তিন দিনের মাথায়, অর্থাৎ ৮ আগস্ট রাতে শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ উপদেষ্টা। তার আগেই রাজপথে দাবি নিয়ে আসেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বাড়িঘরে হামলার অভিযোগে শাহবাগে অবস্থান নেন তারা। তারা এসব ঘটনার বিচার ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবির পাশাপাশি সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ আসন বরাদ্দেরও দাবি জানান। এরপর নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থিত স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ তুলে ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ (৩৮) ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হওয়ায়।


জুডিশিয়াল প্রোপাগান্ডা: ১০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় ওবায়দুল হাসান হঠাৎই ফুলকোর্ট ডাকলে তোপের মুখে পড়েন। পরে সুপ্রিম কোর্টে আন্দোলন শুরু হলে তিনিসহ পদত্যাগ করেন ছয় বিচারপতি। এর আগে সরকার যখন গঠন হয়নি, তখন রাষ্ট্রের প্রহরায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ছিলেন শিক্ষার্থীরা। এমন এক সময়ে ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবি তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীরা। 

আসিফ মাহমুদ ৭ আগস্ট তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘বিচার বিভাগের ফ্যাসিবাদ বিলোপ করতে হবে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, বিচার বিভাগে এখনো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার শরিক বিচারপতিরা বিচরণ করছেন। অভ্যুত্থানের আগে আমাদের যেভাবে আদালতের নামে টালবাহানা করা হতো, ঠিক একই কায়দায় অভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্র-জনতার সরকার ব্যাহত করার প্রচেষ্টা চলমান।’ 


আনসারকাণ্ড-আচমকা দাবি নিয়ে মাঠে: বিগত সরকারের পতনের ছয় দিনের মাথায় গত ১১ আগস্ট সাধারণ আনসারদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি ওঠে। যদিও সচিবালয় ঘেরাও করলে বেরিয়ে আসে এর পেছনের গল্প। ২৫ আগস্ট সেখানে অবস্থান নেন অনেক আনসার সদস্য। সরকারের পক্ষ থেকে দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে বলে জানালেও এদিন কতিপয় আনসারের পোশাক পরা অনেকে সচিবালয় অবরোধ করেন।

 এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে এবং সেনাবাহিনী অবস্থান নিলে সচিবালয় এলাকাছাড়া হন তারা। এই আনসার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তির নাম কাদের। জানা যায়, তিনি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ষাটঘর তেওতা (বিলপাড়া) এলাকায় তার বাবার বাড়ি এবং তেওতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। কাদের ঢাকার হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনসারের পিসি হিসেবে কর্মরত। পরে কঠোর হাতে দমন করে সেনাবাহিনীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তোলার অভিযোগ: ৫ আগস্টের পর সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বেশির ভাগ পোশাক কারখানা খোলার পর বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকেরা। এতে রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস খাতে বাড়তে থাকে অস্থিরতা। অশান্ত হয়ে ওঠে শিল্পাঞ্চল। বন্ধ হয়ে যায় অনেক কারখানা। 

সরকারের মধ্যস্থতায় প্রায় মাসব্যাপী আন্দোলনের পর মুজুরি বৃদ্ধি এবং বছর শেষে ১০ শতাংশ হারে ‘ইনক্রিমেন্ট’ দেওয়াসহ ১৮টি দাবি মেনে নেয় মালিকপক্ষ। এরপর কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে এই খাতে। যদিও সেই আন্দোলন থামেনি। থেমে থেমে চলছে, উঠছে নানা দাবি। অনেকের দাবি, এই আন্দোলনের পেছনেও ছিল বেশ কিছু ষড়যন্ত্র। নেতৃত্বদানকারীদের যেসব ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে দেখা যায়, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা এর নেপথ্যে কাজ করেছেন।


ব্যাটালিচালিত অটোরিকশা চলার দাবিতে উত্তপ্ততা: ২৬ আগস্ট সকালে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করেন পায়ে চালিত রিকশাচালকেরা। সেদিন থেকে শুরু হয় অটোরিকশা ও পায়ে চালিত রিকশাচালকদের মধ্যে বিরোধ। সেটি গত মাসেও নতুন করে বড় আকারে বিদ্বেষ ছড়ায়। তারা নেমে আসেন রাজধানীর সড়কে। 

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা জারি হওয়ার পর ২০ নভেম্বর দুপুরে তারা এই বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন রিকশাচালকেরা। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরবর্তী সময়ে আদালতের  মাধ্যমে বিষয়টির আপাতত সমাধান হয়।

 
চাকরিতে আবেদনের বয়স বৃদ্ধির আলোচনার মধ্যে রাজপথে দাবি: সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি নিয়ে যখন সরকারও সোচ্চার, ঠিক সেই মুহূর্তে ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জড়ো হন কিছু শিক্ষার্থী। এটি জনসাধারণেরও নজর কাড়ে। যদিও প্রশাসন খুব সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এর পেছনেও বিশেষ কোনো মহলের ইন্ধন রয়েছে বলে ধারণা করেন গোয়েন্দারা।


পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড: চাকরি স্থায়ীকরণসহ দুই দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকারের পতনের পর তারা হয়ে ওঠেন আরও বেশি কঠোর। শুরুতে কর্মবিরতি পালনে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে বিদ্যুৎ পরিচালনসেবা বন্ধ করে পালন করেন ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি। দিনটি ছিল ১৭ অক্টোবর। 

এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লার চান্দিনার পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে। ১৮ অক্টোবর থেকে স্থগিত হয় শাটডাউন কর্মসূচি। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হয় মামলাও।


ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বহাল রাখার দাবি: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। যদিও পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে এলাকায় ফিরতে চান। 

তবে এর আগে ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগকে পরিচ্ছন্ন করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়াম্যান-মেম্বারদের অপসারণ করা হয়েছে। 

যদিও অপসারিতদের অনেকেই নিজেদের স্বপদ ফিরে পাওয়ার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপিও দেওয়া হয় অনেক স্থানে। 


ভারতে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ: কয়েক দিন ধরে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। ফেনীর সীমান্তবর্তী পরশুরামের বিলোনিয়া স্থলবন্দরের ভারত অংশে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। সনাতনী হিন্দু সমাজের ব্যানারে কিছু ভারতীয় ওই বিক্ষোভ করেন। 

এ ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে ২৮ নভেম্বর বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ নামের একটি সংগঠন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ করে। তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ায়। 

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে। আর ২ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আরজি জানান।


আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা এই হামলা চালান। 

এদিন মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েক শ লোক বিক্ষোভ করেছেন। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগরতলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে।


প্রোপাগান্ডায় ভারতের ‘দায়িত্বশীল’ মিডিয়াও: বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের গণমাধ্যমে অপপ্রচার (প্রোপাগান্ডা) চলছেই। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার), ইউটিউবের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি ‘রিপাবলিক বাংলা’র মতো কথিত গণমাধ্যমে অপপ্রচার চলেছিল। 

কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই অপপ্রচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে অন্য গণমাধ্যমগুলোও। এমনকি ভারতের যেসব গণমাধ্যমকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘দায়িত্বশীল’ মনে করা হতো, তাদেরও এ ধরনের ভুল সংবাদ প্রচারে নেমে যেতে দেখা গেছে। এ নিয়ে প্রায় দিনই কথা বলছেন সরকারের একাধিক উপদেষ্টা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!