ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

টাকা দিয়ে মন্ত্রিত্ব কিনেন ফরহাদ

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ১১:৪৮ পিএম

টাকা দিয়ে মন্ত্রিত্ব কিনেন ফরহাদ

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

#ছিলেন শেখ হাসিনার ক্যাশিয়ার 
#গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড
#আন্দোলনকারীদের দমাতে ছুটি ঘোষণা 
#দুর্নীতিতে বেড়েছে পরিবারের সম্পদ 
#নায়িকা-মডেলদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক
#স্ত্রী মোনালিসার নিয়ন্ত্রণে ছিল মেহেরপুর


স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মহাপ্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ক্ষমতার মসনদে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

মন্ত্রী থাকাবস্থায় পরিবারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ফরহাদ পুরো জনপ্রশাসনকে ‘দুর্নীতির আখড়া’ বানিয়ে ফেলেছিলেন। টাকা ছাড়া বদলি বা পদন্নোতি হতো না। ঘুষ ও চাঁদাবাজির অর্থ চলে যেত সরাসরি দুই বোন শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার কাছে। আর সেই টাকার কমিশন থেকেই ফরহাদ পরিবারের সম্পদ আকাশ ছুঁয়েছে। 

বিনোদন জগতেও আতংকের নাম ছিল ফরহাদ হোসেন। সাদা ড্রেসের ভদ্র ইমেজের আড়ালে নায়িকা-গায়িকা ও মডেলদের নিয়মিত ভোগ করতেন। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে তাদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতেন। পুরো মেহেরপুর জেলা নিয়ন্ত্রণ ছিল তার স্ত্রী মোনালিসার হাতে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর আদাবর থানার গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার ফরহাদ হোসেনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহর আদালত। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক আব্দুল মালেক এ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করে। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে গত শনিবার রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পরে তাকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ঢাকা ও মেহেরপুরে হওয়া কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি সাবেক এ মন্ত্রী। মেহেরপুরে জামায়াত নেতা তারিক মো. সাইফুল ইসলাম হত্যার ১০ বছর পর ফরহাদ হোসেন, তৎকালীন এসপি নাহিদুল ইসলামসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের বাসা থেকে ধরে এনে গুম-খুন করতে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন আইনজীবী। গতকাল রোববার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহর আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় রাজধানীর আদাবর থানার গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানিতে একথা বলেন আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী। 
তিনি বলেন, ফরহাদ হোসেনকে আগে রাজনীতিতে দেখিনি, নাম শুনিনি।

হাসিনা সরকারের অবৈধ এমপি, পরে মন্ত্রী হন। জেনেছি টাকা দিয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জঘন্য কাজ করেছেন। ১ দিন, ২ দিন, ৩ দিন এভাবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। 

কারণ স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে আন্দোলনকারীরা বাসায় থাকবে। বাসা থেকে ধরে এনে গুম, হত্যা করতে পারে। এই ফরহাদ হোসেন ডিসি, ইউএনও-দের নির্দেশ দেন আন্দোলনকারীদের ঠিকানা খুঁজে বের করতে। আন্দোলন দমাতে কঠোর নির্দেশ দেন। হত্যা, গণহত্যারও নির্দেশ দেন। শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার বানানোর পিছে এদের ভূমিকা রয়েছে। ক্ষমতা, মন্ত্রিত্বের লোভ, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করতে হাসিনাকে তারা স্বৈরাচার বানিয়েছে। আর যেন স্বৈরাচার ফিরে না আসে। গণতান্ত্রিক আবহাওয়ায় মানুষ যেন বাস করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, তাদের ঘরে কি সন্তান নাই? গুলি করতে বুক, হাত কাঁপলো না। এদের উসকানি, নির্দেশ ছিল গুলি করার। এদের জনগণের আদালতে, জনগণের সামনে বিচার করা উচিত। এত অপকর্ম করেও এরা হাসে। ৭০০ জনকে গুলি করে হত্যা করে। আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়। তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য যেসব আসামিরা শাস্তির আওতায় আসবে তাদের মধ্যে ফরহাদ হোসেন একজন। আরও আছেন আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, জুনায়েদ আহমেদ পলক। তার রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

ফরহাদ হোসেনের পক্ষে জসীম উদ্দিন সরকার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, ফরহাদ হোসেন স্বনামধন্য সিটি কলেজের প্রফেসর। সুনামের সাথে, দক্ষতার সাথে মন্ত্রণালয় চালিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। ঘটনাস্থল থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঘটনার অনেকদিন পরে মামলা। তিনি প্রতিহিংসার শিকার। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড শুনানিকালে হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন ফরহাদ হোসেন।

গত জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ধরেছেন ১২ হাজার ৮০০ টাকা ধরে সমালোচনার জন্ম দেন ফরহাদ হোসেন।

রাজনীতিতে আসার আগে ঢাকার একটি প্রাইভেট কলেজে শিক্ষকতা করতেন তিনি। সেসময় তার সম্পদ পরিমাণ ছিলো লাখ টাকার ঘরে। শেখ হাসিনার নির্দেশে গত তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। প্রথমে এমপি এরপর প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী হয়ে সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি করেন হাজার কোটিতে।

গত তিন মেয়াদে ফরহাদ কৃষিখ্যাত, ব্যবসা, শেয়ার বাজার ও ব্যাংক আমানতসহ কোটি কোটি টাকার হিসাব দিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে রাজনীতিতে আসার আগে এসবের সাথে জড়িত ছিলেন না তিনি।

নির্বাচনী হলফনামা দাখিলের সময় সম্পদকে বৈধ করতে এমন পন্থা বেছে নেন। ঢাকা ও মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে নামে-বেনামে জমি-বাড়ি-ফ্ল্যাট-প্লট রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে। অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ বিদেশে পাচার করার অভিযোগও ফরহাদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ঘুষ ছাড়া বদলি ও পদন্নোতি হতো। ফরহাদ হােসেন তার পছন্দের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে সিন্ডিকেট করে মোটা অংকের ঘুষের টাকা লেনদেন হতো। মন্ত্রণালয়ের সবাই জানতো মন্ত্রী সরাসরি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার ঘনিষ্ট। যে কারণে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতোনা। অর্থ ছাড়া কেউ কোনো কাজ করতে পারতোনা সেখানে। মন্ত্রী তার ঘনিষ্টদের বলে বেড়াতেন টাকা আমি নেইনা, সব চলে যায় আপাদের কাছে। আমি একটি নির্দিষ্ট অংশ কমিশন পাই। দুই বোনের নির্দেশ ছাড়া আর কথা তিনি শুনতেন না বলেও জনপ্রশাসনের সবাই জানতেন।

জুলাই-আগস্টে আন্দোলনকারীদের গুম-খুন করতে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন বারবার। শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক ঘনঘন ছুটি ঘোষণা করতেন ফরহাদ হোসেন। তারই নির্দেশে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করতো। অন্যদিকে, সেখানে কর্মরতরা হাসিনা সরকারের আস্থাভাজন ছিলেন।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিনোদন জগতে আতংকের নাম ছিলেন ফরহাদ হোসেন। প্রতিরাতে নতুন নতুন নায়িকা গায়িকা ও মডেলদের নিজের পছন্দ জায়গায় নিয়ে ভােগ করতেন। নিজের একাধিক ঘনিষ্ট সহকারী রেখে বিনোদন জগতের যাকে পছন্দ হতো তাকে ডেকে নিতেন। সবচেয়ে ক্ষমতাবান মন্ত্রীর ডাকে সাড়া না দিলে হয়রানি মুখোমুখি হতে হতো। ভয়ে ফরহাদের বিছানাসঙ্গী হতেন তারা। অবশ্য কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় আসতেন সুবিধার পাবার আশায়। ফরহাদ হোসেনের বিছানা সঙ্গী যারাই হয়েছেন তারা সবাই আর্থিক সুবিধাসহ নানাভাবে লাভবান হয়েছেন। গাড়ি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন তারা। মন্ত্রীর ক্ষমতায় ক্ষমতাও দেখিয়েছেন বিভিন্ন স্থানে।
মেহেরপুর জেলায় একাধিক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। স্ত্রী মোনালিসা ইসলামের মাধ্যমে এলাকার সরকারি নিয়োগের নামে ঘুষ গ্রহণ, বিভিন্ন দপ্তরে টেন্ডার থেকে কমিশনসহ নানা অপকর্ম করতেন শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট এই দোসর ফরহাদ। পুরো মেহেরপুর জেলাজুড়ে ফরহাদ-মোনালিসা দম্পতির ছিলেন আতংকের নাম। এই দম্পতির বাইরে জেলায় কোনো কিছু ঘটত না।

সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গত ২৯ আগষ্টস্ট ফরহাদ হোসেনের ফুফাতো ভাই সাজহান সিরাজ ওরফে দোলনের মেহেরপুর জেলা শহরের ক্যাশব পাড়ায় নেওয়া ভাড়া বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি মালামাল জব্দ করে। যার আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা। সে সময় তার দাবি ছিল মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পক্ষে তিনি বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন। জব্দ মালামালের মধ্যে রয়েছে-বিনামূল্যে বিতরণের কোরআন শরিফ, কম্বল, বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়াসামগ্রী, সেলাই মেশিন, হুইল চেয়ার, চিকিৎসকের অ্যাপ্রন, পিপি, শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, অক্সিজেন সিলিন্ডার, শিক্ষার্থীদের টিফিন বক্স। এসব সামগ্রীর গায়ে লেখা রয়েছে ‘বিক্রয়ের জন্য নহে’।

ফরহাদ হোসেনের বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক ছহিউদ্দীন বিশ্বাস। তিনি তৎকালীন কুষ্টিয়া-৫ ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০২২ সালে ছহিউদ্দিনকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

বাবার পরিচয়ে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়েই তিনি রাজনীতিতে আসেন এবং এমপি-মন্ত্রী হন। শেখ হাসিনার নির্দেশ  ছাড়া ফরহাদ হোসেন আর কারোরই কথা শুনতেন না।

ফরহাদ হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর আগের সরকারে একই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেহেরপুর-১ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। ফরহাদ হোসেন খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ছিলেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করেন। পরে রাজধানীর সিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মেহেরপুর-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে গঠিত মন্ত্রিসভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হন ফরহাদ হোসেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী হন। ফরহাদ হোসেন ১৯৭২ সালে মেহেরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম শিলা জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাতিজি। তিনি শিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২০০৪ সালে। তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। সামিন ও মাহিন নামে তার দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫ জন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং জ্বালানি, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী রয়েছেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!