ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

গুজব তেলেসমাতি চলছেই

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম

গুজব তেলেসমাতি চলছেই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

  • ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহচররা ফাঁয়দা নিতে চায়
  • আওয়ামী লীগ-জয় গুজব ছড়ানোয় শীর্ষ
  • নজরদারি-সাইবার পেট্রোলিং বাড়িয়েছে সরকার
এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,
চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।
কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতার বিলে,
আকাশ থেকে চিলটাকে আজ ফেলব পেড়ে ঢিলে।

প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানের আলোচিত এই কবিতাটি বর্তমান আধুনিক যুগের সঙ্গেও মানানসই। ইন্টারনেটের যুগে পৃথিবী এখন হাতে মুঠোয়, পাশাপাশি ‘গুজব’ আমাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী। ‘গুজব’ নিয়ে তেলেসমাতি যে চলছে তা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ইন্টারনেটের যুগে দেশব্যাপী গুজব-গুঞ্জনের নতুন একটি ধারা শুরু হয়েছে। দেশের বাইরে অবস্থান করা বাংলা ভাষাভাষীরাও গুজবের সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বিদেশিরাও নিজ দেশ এবং জাতপাতের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে অনবরত গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে।

একটা পক্ষ গুজব ছড়িয়ে অস্থির পরিবেশ তৈরি করতে সবসময় প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাইবার ক্রাইম ইউনিটের নজরদারি এবং সাইবার পেট্রোলিংয়ে ধীরগতির সুযোগ নিয়ে তারা ক্রমাগত গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকগোষ্ঠী অথবা নিজেদের অর্থায়নে তৈরি সমর্থকগোষ্ঠী নানাভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছে। গুজব ছড়িয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে মরিয়া পক্ষটি। যদিও পুলিশ, র‌্যাব এবং ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সাইবার নিরাপত্তা ইউনিট নতুন করে নজরদারি বা সাইবার পেট্রোলিং শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য গুজব-গুঞ্জন যারা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টায় ব্যস্ত তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যেই আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে সরকারের সংশ্লিষ্টরা। তাদের আশা, দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর, ঘনিষ্ট সহচর এবং অনুসারীরা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। খোদ আওয়ামী লীগের দলীয় ফেসবুক পেজসহ সবকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে গুজব ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপরই হাসিনার পুত্র শেখ সজীব ওয়াজেদ জয় আমেরিকায় বসে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিদেশি মিডিয়া এবং নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোয় শীর্ষে রয়েছেন। জয় তার প্রধানমন্ত্রী মায়ের তথ্য উপদেষ্টাও ছিলেন। তথ্য উপদেষ্টা থাকাকালে দেশের ১১ কোটির বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের তথ্য ফাঁস ও মিরর কপি ২০ বিক্রি করে ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় গত ৯ অক্টোবর রাজধানীর কাফরুল থানায় জয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক এবং ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহসহ ১৯ নামের মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বরকতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে ডিএমপি। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম এখন গুজব-গুঞ্জনের কারখানা। ভুয়া, মিথ্যা, অপতথ্য দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সারাবিশ্বে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী  সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা গুজব-গুঞ্জনের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। গুজবের কারণে বিভিন্নভাবে বর্তমান সরকার এবং সাধারণের নাগরিকের ক্ষতির কথাও বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। দ্রুত সময়ের গুজব বন্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগবে না বলে মনে করছেন তারা।

স্বৈরাচার হাসিনার পলায়নের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের গবেষণা ইউনিট সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) গুজব ছড়িয়ে আসছে। তারা ঘোষণা দিয়ে দেশে লাখ লাখ গুজব সৈনিক তৈরি করার কথা বলেছে। পরিকল্পনা করে দলটির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে একের পর এক গুজব। নানা সময় গুজব ছড়িয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে অস্থিরতা। এই গুজবগুলো ছড়ানো হয়েছে মূলত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের গ্রুপ ও পেজ থেকে। গুজব ও অসত্য তথ্য যাচাইকারী সংশ্লিষ্ট পেজ ‘রিউমার স্ক্যানার’ বলছে, শুধু আগস্ট মাসেই ৩৭০টি গুজব যাচাই করেছেন তারা, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে ভিডিও ছড়িয়ে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের বিপক্ষে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। পরবর্তীতে জানা যায়, এগুলো ছিল পুরোনো দিনের ভিডিও। এরপরই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়- সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ করা হচ্ছে নির্বিচারে। এসবে ব্যবহৃত ছবি ব্যবহার করা হয় পুরোনো। আবার শাহবাগে বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করেন। কিন্তু এরপর ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে কোথায় হামলা হয়েছে এটা বলা হলে তারা ‘নিজ বাড়ির’ ঠিকানা পর্যন্ত বলতে পারেননি।

এর পরপরই ফের একটি গুজব ছড়ানো হয় এ দেশে পূজা উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর শুরু হয় জাতীয় সংগীত নিয়ে গুজব। এরপর ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয় জাতীয় সংগীতের বদলে পাঠ করা হবে সুরা ফাতিহা। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার দুটি আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এটি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয় বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে। তবে পরবর্তীতে এটা যে এডিট ছবি তা জানা যায়। কয়েকটি নকল পদত্যাগপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বলা হয়, পদত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। এরপর মামুনুল হকের ছবি ব্যবহার করে বলা হয়, হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবার ব্যাপকভাবে প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলÑ বদলে গেল পুলিশের লোগো। নৌকা বাদ দিয়ে আল্লাহু। আবার ভারতীয় মিডিয়ায় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনের ভিডিও ছড়িয়ে বলা হয়, হিন্দু নারীর কান্না। ভারতীয় মিডিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাসভবন যমুনার সামনে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে রাস্তায় বসে পড়া নারীদের ছবি ব্যবহার করে পরিচয় দেওয়া হয়Ñ বাসস্থানে হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন। ভারতীয় মিডিয়ায় এ রকম অসংখ্য ঘটনাকে হিন্দুু নির্যাতন বলে চালানো হয়।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সারা দেশে পুলিশ বাহিনী কর্মক্ষেত্রে অনুস্থিত থাকে। এই সুযোগে চুরি-ডাকাতি ও মন্দির ভাঙচুর নিয়ে গুজব ছড়ায় সবচেয়ে বেশি। নাগরিকরা সোচ্চার হয়ে নিজেরাই নিরাপত্তায় নেমে পড়লে পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত হয়। সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াত ডাকাতি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, মন্দির ভাঙচুরের ঘটনাগুলো। বিশেষ করে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ভারতের প্রথম সারির মিডিয়াসহ রাজনৈতিক দল-নেতা, এমনকি কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা বাংলাদেশ নিয়ে গুজব কারখানায় পরিণত হয়।  কয়েক বছর আগের পুরোনো ছবি ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। গুজব ছড়িয়ে একটি পক্ষ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আন্দোলনে নামাতে বাধ্য করে। যদিও পরে তারা বুঝতে পারেন এটি গুজব। তবে বিচ্ছিন্ন পরিসরে কিছু ঘটনাও ঘটেছিল।

সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সোচ্চার হওয়ার পরে গুজব বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বন্যার সময়ও বিভিন্ন পেজ থেকে গুজব ছড়ানো হয়। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে প্রতিমা ভাঙচুরের গুজবও ছড়ানো হয়। উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে তাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়। শেখ হাসিনা পরিবারকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও সোহেল তাজ। এমন গুজবে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৯৪ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন এমন গুজবও কিছুদিন আগে ছড়িয়ে দেয় আওয়ামী লীগ। হাসিনা শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে এখনো গুজব ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনীকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

গত ২০ সেপ্টম্বর খাগড়াছড়ি সদরে মোটরসাইকেল চুরিকে কেন্দ্র করে গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামের এক বাঙালি যুবকের মৃত্যু হয়। এর জের ধরে ওই দিন সেখানকার পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এই সংঘাত খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ-সহিংসতায় পার্বত্য এই দুই জেলায় ৪ জন নিহত এবং আহত হয় অসংখ্য। পার্বত্য চট্টগ্রামের ওইদিনের পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও অপতথ্য ছড়ানো হয় বলে জানায় ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার। ওই সংকট নিয়ে তারা ২৪ ঘণ্টায় ১১টি গুজব শনাক্ত করে। রিউমার স্ক্যানারের তথ্য অনুযায়ী, ২০ সেপ্টেম্বর বেশকিছু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের সঙ্গে অস্ত্র হাতে পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তির ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয়, ছবিটি সম্প্রতি পার্বত্য এলাকার দৃশ্য। তবে রিউমার স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি পার্বত্য এলাকার নয়। রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত ১৬ আগস্ট শুক্রবার কারাগারে উত্তেজনা শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে যায় সেনাবাহিনীর একটি দল। সে সময়ের ছবি এটি। তবে অস্ত্র হাতে পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ-সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, সে সময় সাধারণ পোশাকে থাকা একাধিক ব্যক্তির হাতেই অস্ত্র ছিল। এই কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক রিউমার স্ক্যানারকে বলেছেন, এই ব্যক্তির নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি কারারক্ষী হিসেবে রংপুর কারাগারে কর্মরত।

দেশে গুজব ছড়িয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ’৯০-এর জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ষড়যন্ত্রকারী থেমে নাই। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন বলেই মনে করবেন না যে, সব স্বৈরাচাররা, ফ্যাসিবাদের দোসরা পালিয়ে গেছে, না। আছে তারা। নানা রকম গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, নানা রকম বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। আপনাদের হুঁশিয়ার থাকতে হবে, সাবধান থাকতে হবে। কোনো রকমের গুজব, কোনো রকমের বিভ্রান্তিতে যেন আমরা পা না দেই। কোনো দল বা জোটের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, আমরা পরস্পর শত্রু নই। আপনি আপনার কথা বলেন, আমি আমার কথা বলি। আপনার অতীতও জনগণ জানে, আমার অতীতও জনগণ জানে, আগামী দিনে যখন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে জনগণ নির্ধারিত করবে কাকে তারা তাদের কল্যাণের জন্য দায়িত্ব দেবে আগামী দিনের সরকার পরিচালনার। কিন্তু সেটা না করে মিথ্যা কথা বলা, অন্যায়ভাবে সমালোচনা করা আল্লাহ পছন্দ করে না।

আরবি/জেআই

Link copied!