নারীসঙ্গ অথবা মাদক সেবন- তাও আবার নিরাপদে! সবকিছুই মিলবে একই ছাদের নিচে। বিভিন্ন বয়সি পছন্দমাফিক নারীসঙ্গের পাশাপাশি ইয়াবা-হেরোইন, দেশি-বিদেশি মদ, আইস, সিসাসহ সব ধরনের মাদক পাওয়া যায় হাত বাড়ালেই।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানীতে স্পা সেন্টারের আড়ালে এভাবেই চলছে দেহব্যবসা ও মাদক বাণিজ্যের জমকালো কারবার।
পুলিশের নিস্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে গত কয়েক মাসে অবৈধ এই কারবার বেড়েছে কয়েক গুণ। স্পা সেন্টারে আসা অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছেন। সেন্টারের নারী কর্মীদের দিয়ে ওই সব ব্যক্তির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে ওই ছবি দিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শহরের অভিজাত এলাকাকে কেন্দ্র করে যৌন ব্যবসা নতুন নয়। তবে ধরন পাল্টেছে। অভিজাত এলাকার অনৈতিক স্পা সেন্টার ও বিউটি পার্লারে এখন এসব ব্যবসা জমজমাট। উঠতি বয়সের বিত্তবান পরিবারের সন্তানসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিই হচ্ছেন এসব সেন্টারের খদ্দের।
এই সব স্পা সেন্টারের নামে আড়ালে দেহব্যবসা ও মাদককে ঘিরে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সিটি করপোরেশন থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসার লাইসেন্স নিয়ে স্পা সেন্টারের আড়ালে চলছে রমরমা মাদক ও দেহবাণিজ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেন্টারের বাড়ির ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন রঙের ঝলমলে আলোকসজ্জা। বাইরে থেকে বোঝার কিছু উপায় নেই। ভেতরে ছোট ছোট একাধিক রুম। এসব কক্ষে থাকে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া সুন্দরী তরুণী। খদ্দের পেলে গোপন কক্ষ থেকে এনে দেখানো হয় তরুণীদের। এসব সেন্টারের নিরাপত্তায় রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকে এসব সিসিটিভি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্পা সেন্টারের নামে রাজধানীতে চলা এসব নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমতি নেই। সিটি করপোরেশন স্পা সেন্টারের অনুমোদন দেয় না।
সেলুন বা ফিজিওথেরাপির নামে চালানো হয় এসব সেন্টার। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিয়মিত এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালান তারা। জেল-জরিমানাও করা হয়।
অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছেন তারা। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বারের পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণে স্পা সেন্টারগুলোতেও নজর রয়েছে তাদের।
গত সোমবার রাতে বনানীর একটি স্পা সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, পিজ্জা হাট রেস্টুরেন্ট যে ভবনে অবস্থিত, সেই ভবনের দশম তলায় একটি স্পা সেন্টারে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা বাণিজ্য। সব ধরনের নিরাপত্তাও রয়েছে সেখানে।
গ্রাহকদের নিরাপত্তা দিতে লিফটের সাথেই আটকানো রয়েছে কেঁচি গেট। রয়েছে পালিয়ে যাওয়ার গোপন সিঁড়িও। এই সেন্টারের ব্যবসার মূল হোতা আসাদ, জনিসহ মোট ছয়জন। গত সাড়ে তিন বছর ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই বাণিজ্য করছে চক্রটি। স্পা সেন্টারের নামে মাদক ও নারীসঙ্গের এমন জমকালো বাণিজ্য চলছে গুলশান ১ ও ৩৭ নম্বর সড়কসহ বনানীর শত ফ্ল্যাট বাড়িতে।
জানা গেছে, গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন রোডে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে স্পা সেন্টার পরিচালনা করা হয়। সুলতানা, জারা, ইভা নামের সুন্দরীরা এখানে খুলেছেন রমরমা মধুকুঞ্জ। বছরের পর বছর ধরে চলা এসব মিনি পতিতালয়ে নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান।
যে কারণে বিনা বাধায় বিভিন্ন অ্যাপ ও অনলাইন গ্রুপগুলোতে নজরকাড়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে খদ্দের টানছে এসব সেন্টার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবকিছু জেনেও না জানার ভান ধরে দায়িত্ব পালনে উদাসীন থাকে বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।
স্পা সেন্টারগুলো তাদের ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রাম অ্যাপসহ ওয়েবসাইটে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে। বিজ্ঞাপনগুলোতে ‘আমাদের সেন্টারে নতুন চারটি মেয়ে রয়েছে’। আবার কোনো বিজ্ঞাপনে লেখা রয়েছে, ‘আমাদের কর্মীরা তরুণ এবং আকর্ষণীয়’। এমন অশ্লীল বিজ্ঞাপন দিয়ে স্পা সেন্টারগুলো গ্রাহক আকৃষ্ট করে।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, একশ্রেণির ভবনমালিকও অতিরিক্ত ভাড়া হাতানোর লোভে স্পা সেন্টারগুলোকে তাদের ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে থাকেন। কালেভদ্রে পুলিশি অভিযানের ঝামেলা সৃষ্টি হলে তারা কোনো কিছু না জানার ভান ধরেন।
স্পা সেন্টারগুলোতে অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় অটোমেটিক লক সিস্টেম, সুসজ্জিত একাধিক ক্যামেরা, যেখানে রূপসী তরুণীরা অর্থের বিনিময়ে প্রতিনিয়ত খদ্দেরদের শয্যাসঙ্গী হয়ে থাকে। স্পা সেন্টার নামের অপরাধ আখড়াগুলোতে মাদক-নারীর অসামাজিক কার্যকলাপ ছাড়াও অবাধে চলে ব্ল্যাকমেইলিং। এসব প্রতিষ্ঠানে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে যারা ক্ষণিকের আনন্দ আয়েশ করতে যান তাদের অনেকে নানারকম প্রতারণার কবলেও পড়েন।
প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্পাই ক্যামেরার মাধ্যমে প্রত্যেক খদ্দেরের অবস্থানকালীন পুরো সময় ভিডিও করে রাখা হয়। এসব ভিডিওকে পুঁজি করে শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলিং।
স্পা সেন্টারের যেসব তরুণি স্বেচ্ছায় নানা অপকর্মে লিপ্ত হন তারাই এসব ভিডিওকে প্রমান হিসেবে দাঁড় করিয়ে গুরুতর অভিযোগ তোলেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে থানা পুলিশের সহায়তায় ভূয়া মামলা করারও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়, তোলা হয় ধর্ষণের অভিযোগ। এমন প্রতারণামূলক কান্ডে চরম বিপাকে পড়া ব্যক্তিটি চাহিদামাফিক টাকা দিয়ে মিমাংসা করতেও বাধ্য হন।
বনানীর রোড নং ১৭, হাউজ নং ২১, লিফটের ৯ম তলায় জামানের সুইট ড্রিম, লিফটের ৭ তলায় জাবেদের মেঘলায়, রোড নং ১৮, হাউজ- ৪৯ এ লাবনী আক্তার ইভার স্পা সেন্টারে এবং বনানীর এল ব¬কের ২ নং রোডের স্পা সেন্টারে অহরহ এ ধরনের প্রতারণা ঘটে থাকে বলে জানা গেছে।
গুলশান-১ সার্কেলের ১৩১নং সড়কে ৬০/বি খুশবু রেস্টুরেন্টের উপরে বাড়ির চতুর্থ তলায় রয়েছে মালিক সুমনার স্মার্ট থাই স্পা, গুলশান ২ নম্বর সার্কেলের ৪৪ নং সড়কে ৬/বি নং বাড়ির ৫ তলায় হাসি আক্তারের অ্যারোমা থাই স্পা, গুলশান সার্কেল ১ এ ৮ নং সড়কে ১/বি বাড়ীর সি/১ ফ্লাটে রয়েছে অরোরা স্পা সেন্টার, গুলশান-সার্কেল ২ এ ২নং সড়কের ৪নং বাড়ীতে রয়েছে অরোরা স্পার ২য় শাখার রমরমা বাণিজ্য দেখতে পাওয়া যায়।
এ দুটি স্পা সেন্টারের তত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছেন ফজলু মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তি। হাই সোসাইটির বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের জন্য খুলে বসা সুয়াই ও ইএনটি কেয়ার সেন্টার দেখভাল করে থাকেন মো. মামুনুর রশিদ সিদ্দিক এবং রাবেয়া আক্তার লাবনী।
এছাড়াও গুলশান-১ এর ১৩০ নং সড়কের ১১/এ বাড়ীর ৬ তলায় সুয়াই বিউটি কেয়ার স্পা এন্ড সেলুন পার্লার এর ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ইএনটি কেয়ার সেন্টার ও হেয়ারিং সেন্টার খুলে তারা যাবতীয় অনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে।
এছাড়াও গুলশান ২ সার্কেলের ১০৪ নং রোডের ২৩/বি/১ নং বাসার বহুদামী একটি ফ্ল্যাট ভাড়ায় নিয়ে মাদক-নারীর রমরমা বাণিজ্য ফেঁদে বসেছে জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। নারী সংক্রান্ত বহু অপরাধের শিরোমনি জাকিরের ফ্ল্যাটে সবকিছুই ঘটে খোলামেলা ভাবে।
থানা পুলিশের সঙ্গেও তার দহরম মহরম সম্পর্ক থাকায় তার মাদক, নারী ও প্রতারণামূলক কাজ কারবার বন্ধের নাকি কারো সাধ্য নেই। এখানে মেয়েদের বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিষয় উল্লেখ করে গ্রাহকদের প্রলোভন দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রশাসনের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরা বনানীর ২৭ নং রোডের একটি বাড়িতে বিউটি পার্লার ও সেলুনের আদলে গড়ে তুলা হয়েছে মাদক ও দেহ ব্যবসার অভয়ারন্য। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে কার্যক্রম চলে।
এখানে প্রতিটি ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম ৩৫০ টাকা, মেয়ে দিয়ে খাইয়ে দিলে দিতে হবে ৫শত টাকা, ফেন্সিডিল এক বোতল সাড়ে ৪ হাজার, হাফ বোতল নিলে আড়াই হাজার টাকা। সেখানে ইচ্ছে হলে যৌন আকাঙ্কা মিটাতে পারেন পছন্দের কোন নারীর সঙ্গে। সেজন্য রয়েছে আলাদা দর।
বিভিন্ন বয়সী মেয়ের জন্য দিতে হবে আলাদা আলাদা দাম। স্কুল পড়ুয়া কোন মেয়ের সাথে যৌনাচারে দিতে হবে কম করে হলেও ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্য ৮ থেকে ২০ হাজার, সেই সাথে রয়েছে উঠতি মডেল ও নিয়মিত পতিতাদের সাথে যৌনাচারের ব্যবস্থা।
খদ্দের আনতে রয়েছে চুক্তিবদ্ধ দালাল। কাষ্টমার আসলে প্রথমে নেয়া হয় সেলুনে, সেখানেই মিটিয়ে নেয়া হয় দরদাম। বনিবনা হলেই নিয়ে যাওয়া হয় ওপর তলার তাদের ভাড়া নেয়া ফ্ল্যাট গুলোতে।
গুলশান, বনানী ও নিকেতন আবাসিক এলাকায় গজিয়ে ওঠা স্পা, মাদক, মিনি পতিতালয়সমূহে নিয়মিত ইয়াবা ও আইস সরবরাহ দিয়ে থাকে দেবাশীষ সিং ওরফে ধ্রুব ওরফে দেবা নামের একজন ডাকসাইটে মাদক ব্যবসায়ি।
ভদ্রতার খোলসে বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও তার মূল বাণিজ্যই হচ্ছে মাদক ও নারী সরবরাহ। নানা তরুণীদের মোটা আয়ের প্রলোভন দিয়ে সে নিকেতনের বিভিন্ন স্পা সেন্টারে নিয়ে যায় এবং তার আঙ্গুলী ইশারায় তারা মূলত সেখানে বন্দী হয়ে পড়ে।
ইচ্ছা অনিচ্ছায় ওই দেবাশীষের নির্দেশে ওই তরুণিরা যেমন পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য হয় তেমনি বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বেড়ানোর নামে নিয়ে তাদেরকে মাদক আনা নেয়ার কাজে যুক্ত করে থাকে। দেবার বিরুদ্ধে টেকনাফ সীমান্তে নিয়ে তরুণীদের মিয়ানমারে পাঠিয়ে বিনিময়ে হাজার হাজার পিস ইয়াবা আনারও অভিযোগ রয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যমতে, রাজধানীতে কতগুলো স্পা সেন্টার রয়েছে তার কোনো সঠিক তালিকা কারো কাছে নেই। কারণ সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে হোটেল, বিউটি পার্লার, সেলুন আর ব্যায়ামাগারের নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে এসব অবৈধ স্পা সেন্টার। বাড়ির মালিকদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কোনো একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েই শুরু করছে স্পা সেন্টারের কার্যক্রম। যার পেছনে রয়েছে অশ্লীলতা। এদের বিরুদ্ধে মানবপাচারেরও অভিযোগ রয়েছে।
গুলশান ও বনানী থানা পুলিশ বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে মানবপাচার আইনে ৩৬টি মামলা দায়ের করেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ৫ আগষ্টের পর গেলো তিন মাসে ঢাকায়, মাদক সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৭০০ বেশী। যাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক হাজারের বেশী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুব সমাজকে ধ্বংসের নতুন এই কালচার থেকে বের হতে, প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থার প্রয়োজন। প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা।
ফিজওথেরাপি ও সেলুনের আড়ালে চলে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড, দেশের যুব সমাজকে ঠেলে দিচ্ছে ধ্বংসের মুখে। তাই এসব বন্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ তাদের।
এ বিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ বদরুদ্দীন মনজুরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা কাউকে চালাতে দেয়া হবে না। ইতোমধ্যে আমরা তালিকা তৈরি করছি। তালিকা অনুযায়ী শিগগিরই অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ডিএমপি মাদক বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। গোয়েন্দা প্রতিবেদন বা অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়। স্পা সেন্টারের আড়ালের অপরাধ কার্যক্রম চললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বনানী থানা এলাকায় কোনো ধরণের অপরাধ ও অবৈধ কারবার করতে দেয়া হবে না। অভিযোগ পেলেই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। স্পা সেন্টারে আড়ালে মাদক এবং অন্যান্য অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে নজরদারী বাড়ানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :