ভ্যাট বাড়ানোর মাত্র ১৩ দিনের মাথায় ওষুধ, টকটাইম, ইন্টারনেট, রেস্তোরাঁসহ আট খাতের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমাল এনবিআর। এর মধ্যে আলোচ্য চারটি খাত ছাড়াও ননব্র্যান্ড পোশাকের বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু এই ১৩ দিনে বাড়তি কর বাবদ যে ভ্যাট আদায় হয়েছে, তার পুরোটাই জনগণের পকেট থেকে গেছে। এর মধ্যে রেস্তোরাঁয় খেয়ে ১৩ দিনে বাড়তি ১৫ কোটি টাকা কর দিয়েছে দেশের মানুষ। মুঠোফোনে বেশি কর দিয়েছে গ্রামের মানুষ। কারণ শহরের মানুষ ইন্টারনেট-ভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে কথা বলেন। কিন্তু গ্রামের লোকজন কথা বলেন কেবল মুঠোফোনে।
গতকাল বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, নন-এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভান্ডার ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে বর্ধিত ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে এসব খাতে ভ্যাট ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। অর্থাৎ, এসব পণ্যে ভ্যাট আড়াই শতাংশ বেড়েছে। এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওষুধের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় ওষুধশিল্পের ধারাবাহিক বিকাশ বজায় থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের মূল্য বাড়বে না।
এছাড়া মোবাইল ফোন এবং আইএসপি সেবার ওপর বর্ধিত বা নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রায় ১০০ পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর পর দেশব্যাপী সমালোচনা ও কিছু খাতের ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু পণ্য ও সেবার ভ্যাট কমাল সরকার। অবশ্য এর বাইরেও অনেক পণ্য ও সেবায় বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক রয়ে গেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে গত ৯ জানুয়ারি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে হঠাৎ বিপুলসংখ্যক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনও ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়।
রেস্তোরাঁয় খেয়ে ১৩ দিনে বাড়তি কর ১৫ কোটি টাকা: এক দশক আগেও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁ-সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। পর্যায়ক্রমে তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। গত ৯ জানুয়ারি এটি তিন গুণ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। গতকাল বুধবার আবার আগের মতোই রেস্তোরাঁয় খাবারের বিলের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে সোয়া পাঁচ লাখ রেস্তোরাঁ আছে। গত এক দশকে রেস্তোরাঁর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। এখন শহর এলাকায় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় খাবারের দোকান হচ্ছে। বেড়েছে ফাস্টফুডের দোকান। এ ছাড়া তরুণদের মধ্যে রেস্তোরাঁয় খাওয়া বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও পরিবার-পরিজন নিয়ে রেস্তোরাঁ বা ফাস্টফুডে খাবার খেতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। রেস্তোরাঁ সেবা খাত থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৯১ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হয়। এরপর থেকে ভ্যাট আদায় বাড়তে থাকে। সার্বিকভাবে রেস্তোরাঁ-সেবা থেকে প্রতি বছর ২০০-২৫০ কোটি টাকা ভ্যাট পায় এনবিআর। সারা দেশের রেস্তোরাঁয় খেয়ে ১৩ দিনে বাড়তি ১৫ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট দিয়েছে মানুষ।
মুঠোফোনে বেশি কর দিয়েছে গ্রামের মানুষ: আওয়ামী লীগ সরকার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে, অর্থাৎ গত জুনে মুঠোফোন-সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছিল। ফলে একজন গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকারের কাছে চলে যেত ৫৪ টাকা। মাত্র ছয় মাসের মাথায় গত ৯ জানুয়ারি মোবাইল কল ও ডাটা ব্যবহারে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে এনবিআর। অর্থাৎ মুঠোফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে টেলিফোন-সেবায় (টকটাইম, ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদি) সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়। গতকাল বুধবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই সম্পূরক শুল্ক হার আগের জায়গায় ফেরত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইন্টারনেট সংস্থার (আইএসপি) সেবার ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৮ কোটি ৮৮ লাখ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি ২৮ লাখ। এর মধ্যে ব্রডব্যান্ড সংযোগ ১ কোটি ৩৪ লাখ। গত ১৩ দিনে মুঠোফোন-সেবায় গ্রামের দরিদ্র মানুষকে এবং শহরের ধনী ব্যক্তিদের একই হারে কর দিতে হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি কর দিয়েছে গ্রামের মানুষ। শহরের মানুষ ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে কথা বলে। গ্রামের মানুষের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার কম। তাই তারা সরাসরি ফোনকলে কথা বলে। মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ গত অক্টোবরে এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে গ্রামে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর মাত্র ২৬ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। বাকিরা ব্যবহার করে ফিচার ফোন, যা বাটন ফোন নামে পরিচিত।
বাড়তি ভ্যাট থাকছে ব্র্যান্ডের পোশাকের ক্ষেত্রে: রেস্তোরাঁর মতো তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রেও ভ্যাট কমানো হয়েছে। নিজস্ব ব্র্যান্ডের পোশাক ছাড়া অন্যান্য পোশাক বিক্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট হার করা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। নতুন করে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের আগে এই হার সাড়ে ৭ শতাংশই ছিল। ৯ জানুয়ারি তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। এখন বাড়তি সেই হার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে বাড়তি ভ্যাট থাকছে ব্র্যান্ডের পোশাকের ক্ষেত্রে। এই হার করা হয়েছে ১০ শতাংশ। ৯ জানুয়ারির আগে তা ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। ফ্যাশন এন্ট্রাপ্রেনিউরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এফইএবি) তথ্য অনুযায়ী অন্তত এক কোটি মানুষ নানাভাবে দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সারা দেশে ছোট, বড়, মাঝারি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ফ্যাশন হাউস রয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ভ্যাটের আওতায় রয়েছে বলে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। অর্থাৎ, গত ১৩ দিনে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে বাড়তি কর দিতে হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ফ্যাশন হাউস উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্যাশন উদ্যোক্তা সমিতির (এফইএবি) সভাপতি আজহারুল হক আজাদ বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। সেটি এখনো কাটিয়ে ওঠার সুযোগ হয়নি। ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে হলে ভ্যাটের হার বাড়ানোর সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে ভ্যাটের আওতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে পারে এনবিআর।’
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস বলেন, ‘করোনার পর অনেক হাউসই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। গত তিন-চার বছরে দেশি ফ্যাশন হাউস ঘুরে দাঁড়ালেও আমরা যে স্বস্তিতে আছি, তা নয়। আগের মতো স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে। দেশের পোশাক বাজারে দেশি ফ্যাশন হাউসের বার্ষিক টার্নওভার কমবেশি ১০ হাজার কোটি টাকা হবে।’
মিষ্টির দোকানেরও ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ৯ জানুয়ারির আগে মিষ্টির দোকানে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট ছিল। ফলে মিষ্টির দোকানে ভ্যাট হার বাড়ল আড়াই শতাংশ। বাংলাদেশ মিষ্টি উৎপাদক সমিতির সাবেক সভাপতি মাধব চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘বারবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। আগে একসময় ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। সেটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করার পর ভ্যাট আদায় বেড়েছিল। কারণ ভ্যাট কম হলে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আমাদের দাবি, ভ্যাটের হার পূর্বের অবস্থানে অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।’ এ ছাড়া নন-এসি হোটেলের ওপর ভ্যাট হার ১৫ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপের ভ্যাটেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখানেও ১০ শতাংশ ভ্যাট করা হয়েছে।
অন্যদিকে ওষুধের বিষয়ে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসাসেবা আরও সহজতর করার লক্ষ্যে ওষুধশিল্পের ওপর ব্যাবসায়িক পর্যায়ে বৃদ্ধিকৃত ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে পূর্বের হার ২.৪ শতাংশ বলবৎ রাখা হয়েছে। ওষুধের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় ওষুধশিল্পের ধারাবাহিক বিকাশ বজায় থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের দাম বাড়বে না বলে মনে করে এনবিআর। কিন্তু গত ১৩ দিনে কম-বেশি অনেক ওষুদের দাম বেড়েছে। জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ওষুধে মানুষের নিজের পকেট থেকে খরচ করতে হয় ৭২ শতাংশ। ১৩ দিনে দাম বাড়ার ফলে সেই খরচ আরও বেড়েছে।
রাজস্ব আদায়ে সক্ষমতা যাচাই না করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়: এনবিআর টানা এক যুগ ধরে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতিতে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারার বিষয়ে রাজস্ব আদায়ের সক্ষমতা যাচাই না করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন এনবিআরের সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
রাজস্ব বোর্ডের নীতিনির্ধারণী শাখা বোর্ড প্রশাসন ও কর প্রশাসনের প্রধান হিসেবে গতকাল রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। আমাদের সক্ষমতা কতটুকু, সে বিষয়ে জানতে চায় না। বরং বাজেটের আগে সরকারি কর্মচারীসহ অন্যান্য খাতে ব্যয়ের খাত নির্ধারণ করে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা জানিয়ে দেওয়া হয় আমাদের।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজস্ব ঘাটতি থাকছে। নতুন আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণের আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগকে এনবিআরের প্রকৃত সক্ষমতা যাচাই করার’ কথা বলেন আবুল কালাম কায়কোবাদ। জানতে চাইলে এনবিআরের শুল্ক নিরীক্ষা আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের কাজী মোস্তাফিজুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কারো প্রেসক্রিপশনে ভ্যাট বাড়ানো হয়নি: অর্থ উপদেষ্টা সেবা ও পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কারো প্রেসক্রিপশন বা মহার্ঘভাতার জন্য ভ্যাট বাড়ানো হয়নি। রাজস্ব আয় বাড়াতেই ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বুধবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বা কর বাড়ানো হয়নি। যেসব পণ্যের ভ্যাট বেড়েছে, সেগুলো অত্যাবশ্যকীয় নয়। তিনি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ রাজস্ব আয় সবচেয়ে কম বলেও এ সময় মন্তব্য করেন।
এর আগে গত সচিবালয়ে সাংবাদিকেরা ভ্যাট বাড়ানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কেন ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হলো, কিছুদিন পর তা জানতে পারবেন। তবে আগামী বাজেটে ভ্যাট ও কর ভালোভাবে সমন্বয় করা হবে। এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ভ্যাট যে পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে, তাতে কি এমন যে পণ্যের দাম বাড়তে পারে? ওষুধ, মোবাইল ফোন, ফলের রসে ভ্যাট কমানো হয়েছে। অথচ দুধের দাম বেড়েছে। এটা তো বাড়ার কথা নয়।
আপনার মতামত লিখুন :