প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপা প্রক্রিয়ার গোড়াতেই ‘গলদ’ থাকার দাবি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
বোর্ডের দাবি, বই ছাপার জন্য দরপত্র উন্মুক্তকরণের পর ভৌত অবকাঠামো পরিদর্শন প্রতিবেদনে প্রেসগুলোর সক্ষমতার সঠিক মূল্যায়ন (এসেসমেন্ট) হচ্ছে না। ইতিপূর্বে দীর্ঘ সময় নিয়ে ছাপার কাজ হওয়ায় এসেসমেন্টে গলদের বিষয়টি বড় হয়ে ধরা পড়েনি। কিন্তু চলতি বছর বই ছাপার সময় কম হওয়ায় বিষয়টি দৃশ্যমান হয়েছে। এ বছর বই বিতরণ নিয়ে লেজেগোবরে পরিস্থিতি তৈরির জন্য এটিও একটি কারণ।
বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, সক্ষমতার মূল্যায়নে গলদ থাকায় প্রেসগুলো তাদের প্রকৃত সক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বই ছাপার কাজ পাচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই অবস্থা চলছে। মূল্যায়ন নিয়ে প্রেসগুলোর নিজেদের মধ্যেও চাপা অসন্তোষ ছিল। তবে কেউ প্রশ্ন করার সাহস পায়নি। গত বছরের ৫ আস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়। সময়ের অভাবে সাবেক সরকারের সময় তৈরি করা ভৌত অবকাঠামো পরিদর্শন মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই চলতি শিক্ষাবর্ষেও প্রেসগুলোকে বই ছাপার কাজ দেওয়া হয়েছে। মূল্যায়ন প্রতিবেদনে গলদ থাকা এবং নিজেদের মধ্যে ‘সমঝোতা’ প্রেসগুলোকে চলতি বছর সক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি কাজ পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে যাতে এ বছরের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য বই ছাপার প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের কৌশলগত পরিবর্তন বা সংস্কার আনার চিন্তা করছে এনসিটিবি। এসব সংস্কার যথযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পা রলে বছরের প্রথম দিন বই পাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না বলে দাবি সূত্রের।
সাধারণত প্রতি বছর মে-জুন থেকে বই ছাপার প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষেও তাই হয়েছিল। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ায় সাবেক আওয়ামী সরকারের করা নতুন কারিকুলাম বাতিলের ঘোষণা দেয় বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার। পাশাপাশি ২০১২ সালের কারিকুলাম অনুযায়ী বই পরিমার্জন করা ও ছাপার জন্য আগের টেন্ডার বাতিল করা হয়। কিন্তু চলতি শিক্ষাবর্ষের সময় কাছে চলে আসায় নতুন করে অবকাঠামো মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, বই ছাপার জন্য দরপত্র উন্মুক্ত করার পর এনসিটিবির একাধিক কমিটি দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রেসগুলোর ভৌত অবকাঠামো পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেয়। টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী প্রেসগুলোর ভৌত অবকাঠামো বিশেষ করে ছাপার জন্য ঘোষণা দেওয়া মেশিনের সংখ্যা, মেশিনের অবস্থা, বই বাঁধাইয়ের ব্যবস্থা সঠিকভাবে রয়েছে কি না, মূল্যায়ন আকারে তা পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পরে এসব প্রতিবেদন নিয়ে এনসিটিবির মূল্যায়ন কমিটি সভা করে যোগ্য প্রেসগুলোকে কাজ দেওয়ার সুপারিশ করে। অর্থাৎ, এই প্রক্রিয়ায় এনসিটিবির মনিটরিং কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর প্রেসগুলোর কাজ পাওয়া অনেকাংশে নির্ভরশীল।
সূত্রের দাবি, এনসিটিবির অবকাঠামো পরিদর্শন কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান না থাকায় প্রেসগুলোর ঘোষণা দেওয়া সক্ষমতার সত্যতা সঠিকভাবে যাচাই করতে পারে না। পাশাপাশি কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রেসগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ করে গলদ প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রায় সময়ই। অন্যদিকে চলতি বছর প্রেসগুলো নিজেদের মধ্যে ‘মেশিন বেশি কাজ বেশি’ প্রক্রিয়ায় সমঝোতা করে কাজ নিয়েছে। এতে বই ছাপার দর বাড়ার পাশপাশি কাজও পেয়েছে অনেক।
সূত্র জানায়, মাত্র আটটি প্রেস এবার প্রায় ১০ কোটি বইয়ের কাজ পেয়েছে। অবকাঠামো পরিদর্শন প্রতিবেদনে ছাপা মেশিনের সক্ষমতার সঠিক মূল্যায়ন হলে এই প্রেসগুলোর বই ছাপার কাজ অনেক কমে যেত। অন্য অনেক প্রেসের মধ্যে এসব কাজ ভাগ হয়ে গেলে বই উৎপাদন প্রক্রিয়াও দ্রুত হতো। জানা গেছে, সাবেক আওয়ামী সরকারের সময়ই প্রেসগুলোর পরিদর্শন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ছাপা মেশিনের অতিরিক্ত সক্ষমতা দেখানোর চর্চা শুরু হয়। ওই সরকারের প্রথম দিকে অল্প আকারে বিষয়টির চর্চা শুরু হলেও ২০২৩ সালে তা ব্যাপক হয়। মেশিনের সক্ষমতা অতিরিক্ত দেখানোর জন্য সে সময় দরপত্রের শিডিউলে একটি শর্ত যুক্ত করা হয় যে, কোনো প্রেস যদি তাদের মেশিনের প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে সক্ষমতার সদনপত্র প্রদান করতে পারে, তবে সনদপত্রে উল্লেখিত সক্ষমতা অনুযায়ী ওই প্রেসকে সেই পরিমাণ কাজ দেওয়া হবে। শর্তের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তখন অনেক প্রেস ছাপা মেশিন প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১ হাজার ছাপার সনদপত্র নিয়ে ওই হিসেবে চার রঙের বইয়ের কাজ পেয়েছে। তবে মাঝারি ও ছোট প্রেসগুলো এই সুবিধা ব্যবহার করতে পারেনি। এ নিয়ে প্রেসগুলোর মধ্যে অসন্তোষ ছিল।
এ বিষয়ে আরও জানা গেছে, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু এনসিটিবির তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তাদের মেশিনের সক্ষমতা বাড়ানোর এই নির্দেশনা দেন। বিনিময়ে টিপু ওই সব প্রেস থেকে আর্থিক সুবিধা নিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এনসিটিবির এবারের দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী একটি ওয়েব অথবা গজ মেশিন ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ চার রঙের ৮০০ রিম এবং সাদা-কালো সর্বোচ্চ ৬০০ রিম (ডাবল রোল ১২০০) হিসেবে বই ছাপার কাজ করেছে। এনসিটিবির ভৌত অবকাঠামো পরিদর্শন কমিটি তাদের প্রতিবেদনে প্রেসগুলোর এই সক্ষমতার বিষয়ে সনদ দিয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র ও এনসিটিবির বই ছাপার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত একটি সূত্রের দাবি, দেশের ছাপা মেশিনগুলোর কোনোটিরই উল্লেখিত সক্ষমতার তথ্য সঠিক নয়। তাদের দাবি, একটি মেশিন ২৪ ঘণ্টায় চার রঙে সর্বোচ্চ ৪০০ রিম ও সাদা-কালো ৬০০ রিম ছাপতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে একটি প্রেসের কাজের হিসাব দিয়ে সূত্র জানায়, একটি প্রেসের যদি সর্বোচ্চ ১৮টি ছাপা মেশিন থাকে, তাহলে এনসিটিবির হিসাব অনুযায়ী ৪০দিনে ওই প্রেস সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ রিমের কাজ করতে পারে। এই সাড়ে ৪ লাখ রীমে বই হয় প্রায় পৌনে ৩ কোটি। যদি চার রঙে ৪০০ রিম ও সাদা-কালো ৬০০ রিমের হিসাবে ওই প্রেসের কাজ হতো, তাহলে ছাপতে পারত ৩ লাখ ৬০ হাজার রিম। এতে বই ছাপা হতো ২ কোটির কিছু বেশি। সূত্রের দাবি অনুযায়ী, সক্ষমতার সঠিক হিসাব না হওয়ায় ওই প্রেস প্রায় ১ কোটি বইয়ের কাজ অতিরিক্ত পাওয়ার সুযোগ পায়। ফলে ওই প্রেসের মুনাফাও বেড়ে যায় অনেক। এছাড়া প্রেসগুলোর বই বাইন্ডিংয়ের জন্য অটোমেটিক মেশিন থাকলেও হাতে কাজ করার জন্য বাঁধাইকারকের প্রচণ্ড অভাব রয়েছে। অন্যদিকে অনেক প্রেসের যথেষ্ট জায়গা না থাকায় ছাপা হওয়া বই উপজেলায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগে নতুন করে ছাপা শুরু করা সম্ভব হয় না। এছাড়া অনেক প্রেসের একাধিক মেশিন থাকলেও তা চালানোর জন্য বিদুৎ সঞ্চালনের প্রয়োজনীয় সংযোগ নেই। ফলে তিনটি মেশিনের স্থলে দুটি চললেও একটি বন্ধ থাকে। এতে নিরবচ্ছিন্ন ছাপা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এবারের বই ছাপা কার্যক্রম পরিদর্শন করে এই প্রক্রিয়ায় যেসব ত্রুটি চোখে পড়েছে, তা সংস্কারের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করছে এনসিটিবি। ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে এ বিষয়ে কাজ শুরু হবে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায় থেকে বইয়ের চাহিদা সংগ্রহ করে সেই অনুযায়ী বই ছাপার কাজ করে এনসিটিবি। কিন্তু বইয়ের চাহিদায় ব্যাপক গরমিল থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা বই না পেলেও অতিরিক্ত বই খোলাবাজারে বিক্রি করে দেয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এবারও এটি ঘটছে ব্যাপকভাবে। এই ত্রুটি দূর করতে এনসিটিবি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বইয়ের চাহিদা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। এজন্য একটি অ্যাপস তৈরির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ছাপা মেশিনের সক্ষমতা ও অন্যান্য বিষয় সঠিকভাবে জানার জন্য ভৌত অবকাঠামো পরিদর্শন কমিটিতে বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা; তৃতীয়ত, বিদুৎ ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা যাচাই; চতুর্থত, বাইন্ডিং সক্ষমতা যাচাই; আর্থিক সক্ষমতা ও প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) সক্ষমতা যাচাই।
আগামীতে এনসটিবির বই ছাপার শর্তে উল্লেখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। বিশেষ করে যেসব প্রেসের মাত্র একটি মেশিন রয়েছে, তাদের কাজ না দেওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে ভাবা হচ্ছে।
পিডিআই সক্ষমতার বিষয়ে উদাহরণ দিয়ে সূত্র জানায়, একটি প্রেস গত ২০ জানুয়ারি বই ছাপার হিসাব দেখিয়েছে ১৮ লাখ। অথচ ওই প্রেস ওই দিন পিডিআই করেছে ৯ লাখ বই। আরেকটি প্রেস ২১ জানুয়ারি বই ছাপার হিসাব দেখিয়েছে ২৭ লাখ। একই তারিখে পিডিআই দেখিয়েছে ২১ লাখ বই।
প্রসঙ্গত, পিডিআই হচ্ছে উপজেলায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা বই। অর্থাৎ, যে পরিমাণ বই ছাপা হয়েছে, সেই পরিমাণ বই উপজেলায় পাঠানো যায়নি। এ জন্য আগামীতে প্রেসের পিডিআই ক্যাপাসিটিকে অন্যতম শর্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্তের চিন্তা করা হচ্ছে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান ভালো কাজ করছে, সেসব প্রেসকে আগামীতে ডিরেক্ট পারচেজ মেথডে (ডিপিএম) কাজ দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে ভাবা হচ্ছে।
মাধ্যমিক স্তরে পিডিআই এজেন্ট নিয়োগে এনসিটিবি অনেক সময় নষ্ট করায় এবারের বই বিতরণে প্রভাব পড়েছে। পরবর্তীতে ব্যুরো ভেরিতাস নামে একটি কোম্পানিকে পিডিআই এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়োগের আগে উচ্চ ধারণা থাকলেও কাজে যুক্ত হওয়ার পর এই ইন্সপেকশন কোম্পানির কর্মক্ষমতা নিয়ে এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যেই অসন্তোষ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করে এনসিটিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দক্ষতার দিক থেকে ব্যুরো ভেরিতাস ভালো করছে না। মন্ত্রণালয় থেকে বই ছাপাসংক্রান্ত জরুরি কোনো তথ্য চাওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে তারা তা দিতে পারে না। সকালে রিপোর্ট চাওয়া হলে দেয় সন্ধ্যায়। এছাড়া আগের বছরগুলোতে পিডিআইয়ের কাজ পাওয়া ইন্সপেকশন এজেন্ট প্রতিটি প্রেসে তাদের একজন লোক সার্বক্ষণিক মনিটিরংয়ের জন্য বসিয়ে রাখত। কিন্তু জনবল কম হওয়ায় ব্যুরো ভেরিটাসের পক্ষে এটি সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া ইন্সপেকশন কাজে ব্যুরো ভেরিতাসের কর্মীদের প্রশিক্ষণও তেমন নেই বলেই মনে হয়েছে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, আগের পিডিআই এজেন্ট প্রতিদিন কত বই ছাপা হচ্ছে, পিডিআই কত হয়েছে, উপজেলা পর্যায়ে কত পৌঁছাচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করত। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না। এবার বই ছাপা ও পিডিআইয়ের হিসাব জানা গেলেও উপজেলা পর্যায়ে কত পৌঁছেছে তা জানা যাচ্ছে না। বর্তমান পিডিআই এজেন্ট এই তথ্য দিতে না পারায় এনসিটিবিও জানাতে পারছে না। ফলে বই বিতরণের সঠিক পরিস্থিতি বোঝা যাচ্ছে না। ছাপার প্রক্রিয়ায় সংস্কারের ক্ষেত্রে পিডিআই এজেন্ট নিয়োগের শর্তগুলো পর্যালোচনা করে দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পরামর্শ উভয় সূত্রের।
ছাপা প্রক্রিয়ার সংস্কারের জন্য ভৌত অবকাঠামো মূল্যায়নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, অবকাঠামো এসেসমন্টে সঠিকভাবে না হওয়া বই বিতরণ পরিস্থিতি জটিল হওয়ার অন্যতম কারণ। এজন্য আগামী বছরের বই তৈরির আগে নতুন করে এসেসমেন্ট করা হবে।
কেন এটি জরুরি তা একটি উদাহরণ দিয়ে চেয়ারম্যান জানান, বই ছাপার কাজে যুক্ত ১১৬টি প্রেসের বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ কোটি ৪২ লাখ কপি বই ছাপার কথা। অথচ বাস্তবে তারা ছাপতে পারছে সর্বোচ্চ ৪৮ লাখ, যা তাদের ঘোষিত সক্ষমতার অর্ধেকেরও কম।
ছাপার এই সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা কতটা সম্ভব প্রশ্নের উত্তরে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি। সময় পেলে করব। যদি না হয় তবে আগামীতে যিনি এই পদে আসবেন, তার জন্য সুপারিশ আকারে রেখে যাব। বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে এটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশা করি।’
আপনার মতামত লিখুন :