ঢাকা রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫

এলপিজিতে জিম্মি ভোক্তারা

হাসান আরিফ
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ১২:২৯ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে আবাসিক ভবনগুলোতে গ্যাসের সংযোগ। বাধ্য হয়ে ভোক্তারা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দিকে ঝুঁকছেন। তাই দিন দিন বোতলজাত গ্যাস বা এলপি গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার ওপর ভিত্তি করে সম্প্রসারণ হচ্ছে এলপি গ্যাসের বাজার। যার প্রায় পুরোটাই বেসরকারি খাতের নিয়ন্ত্রণে।

ফলে গুটিকয়েক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন ভোক্তারা। এই সুযোগে ভোক্তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে ব্যবসায়ীরা বেশি লাভবান হচ্ছে। এর অগ্রভাবে আছে ইস্টকোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী। এলপিজি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি নানা অপতৎরতা চালাচ্ছেন। তিনি চাচ্ছেন তার ওমেরা এলপিজি দিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা করতে। যাতে অন্য প্রতিষ্ঠান বাজারে থাকতে না পারে।

এদিকে এলপিজি আমদানিতে আধিপত্য নিয়ে ব্যবসায়ীদের এই দ্বন্দ্বে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ জমা পড়ছে সরকারি দপ্তরে। এমন দ্বন্দ্বে বেশি দাম দেখিয়ে এলপিজি আমদানির নামে বিদেশে ডলার পাচার এবং কম খরচে আমদানি হলেও ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে গ্যাস না পাওয়ার বিষয় সামনে উঠে এসেছে। 

জানা গেছে, ওমেরা এলপিজির বাইরে অন্যান্য এলপিজি কোম্পানি যাতে ব্যবসা করতে না পারে সে জন্য ওইসব প্রতিষ্ঠানের আমদানি প্রতিবন্ধকতা করতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব) সভাপতি পদ দখল করে থাকা অবস্থায় ইস্টকোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যাবসায়িক সুবিধাভোগী এই ব্যবসায়ী বর্তমান সরকারের আমলেও এই সুবিধা আদায় করার জন্য নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে লোয়াবের সভাপতির পদ ব্যবহার করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ও ৬ অক্টোবর আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চিঠি দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সংগঠনের মহাসচিবের নামে নৌপরিবহন উপদেষ্টার কাছেও একই অভিযোগ করা হয়।

এসব চিঠিতে বলা হয়, ‘নিষেধাজ্ঞা’ আরোপিত রাষ্ট্র ইরান থেকে অবৈধভাবে এলপিজি আমদানি হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। বন্দরের চেয়ারম্যানকে দেওয়া চিঠিতে ‘ক্যাপ্টেন নিকোলাস’ ও ‘গ্যাস জিএমএস’ ট্যাংকার থেকে এলপিজি খালাস বন্ধ করে তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। তবে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এই জাহাজ দুটি থেকে এলপিজি খালাস করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাস্টমস ও বন্দর কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগের পর একটি প্রতিনিধিদল জাহাজ দুটি পরিদর্শন করেছে। তবে ইরান থেকে আমদানির সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কোন দেশ থেকে এবং কী আমদানি করতে পারবেন বা পারবেন না, তা নির্ধারিত করা আছে আমদানি নীতি আদেশে। সর্বশেষ আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ শুধু ইসরায়েল থেকে পণ্য আমদানি করতে পারে না। তবে ইরান থেকে আমদানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। ফলে ইরান থেকে আমদানি হলেও বাংলাদেশের আইনে তা অপরাধ নয়।

আজম জে চৌধুরী যে দুটি জাহাজের এলপিজি খালাস বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন, সেই দুই জাহাজে এলপিজি আমদানি করেছে সাতটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান সাতটি হলোÑ যমুনা স্পেকটেক জয়েন্ট ভেঞ্চার, টিএমএসএস এলপিজি, বিএম এনার্জি, এনার্জিপ্যাক, ইউনিট্যাক্স এলপি গ্যাস, মেঘনা ফ্রেশ এলপিজি ও জেএমআই ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস লিমিটেড।

অপর দিকে আজম জে চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১৪ অক্টোবর সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাল্টা অভিযোগ দেন ওই দুই জাহাজের আমদানিকারকসহ এলপিজি খাতের ১১ জন ব্যবসায়ী। চিঠিতে ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেন, সংগঠনের সদস্যদের মতামত ছাড়া এই চিঠি ব্যাবসায়িক প্রতিহিংসা। 

কারণ, আজম জে চৌধুরী ওমেরা এলপিজি লিমিটেড ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের এমজেএল সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলাদেশে একচেটিয়া এলপিজি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে চান। অতিরিক্ত মূল্যে এলপিজি আমদানি ও সরবরাহ দেখিয়ে সিঙ্গাপুরের কোম্পানিতে অর্থ স্থানান্তর করারও অভিযোগ করা হয় চিঠিতে।

তারা জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ওমেরা পেট্রোলিয়াম দেশের বাজারে সর্বোচ্চ মূল্যে এলপিজি ইউএস থেকে আমদানি দেখিয়ে আসছে, যা তারা তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান এমজেএল সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে আমদানি করে থাকে। এই আমদানির মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার। ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করেছে ওমেরা পেট্রোলিয়াম। এ বিষয়ে সদ্য সাবেক লোয়াব সভাপতি আজম জে চৌধুরী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আমরা গত দুই বছরে ২.২ বিলিয়ন ডলার এলপিজি আমদানি করেছি। দেশের মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে এ সময়ে আমাদের লস হয়েছে ১.৫ মিলিয়ন ডলার। দেশের বৃহত্তম কোম্পানি হিসেবে এই ক্ষতি জনগণের স্বার্থে মেনে নিতে হয়েছে। কারণ অন্যদের থেকে আমাদের এলপিজির গুণগতমান ভালো হওয়ায় আমাদের আমদানি খরচ বেশি হয়।

অভিযোগের বিষয়ে এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, অক্টোবর মাসের প্রথম ১৩ দিনের আমদানি চালানের ঘোষিত মূল্যে ওমেরা পেট্রোলিয়ামস এলপিজির উপাদান বিউটেন ও প্রপেনের যেসব চালান আমদানি করেছে, সেগুলোর প্রতি টনের দাম ৭৩৫ থেকে ৭৪০ ডলার। ওমেরাকে এসব চালান সরবরাহ করেছে এমজেএল সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড। কিন্তু দুই জাহাজে এলপিজি আমদানি করা ও অভিযোগকারী ১১ ব্যবসায়ী বিউটেন ও প্রপেনের যে চালান এনেছে, সেগুলোর প্রতি টনের দাম ৬৭৩ থেকে ৭২৬ ডলার। অর্থাৎ ওমেরার চেয়ে তুলনামূলক কম দরে এলপিজির উপাদান আমদানি করেছেন তারা।

ডেল্টা এলপিজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বিগত সরকারের আমলে এলপিজি খাতে আধিপত্য ছিল আজম জে চৌধুরীর। সরকারের পট পরিবর্তনের পর আমরা এখন সিঙ্গাপুরের এমজেএল সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এলপিজি না এনে প্রতিযোগিতামূলক দরে অন্য দেশ থেকে আমদানি শুরু করেছি। এলপিজি সরবরাহে ব্যাবসায়িক আধিপত্য হারানোর ভয়ে তিনি (আজম জে চৌধুরী) নানা অভিযোগ করছেন।

আমদানিকারকেরা যেসব সরবরাহকারীর কাছ থেকে আমদানি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দিয়েছেন আজম জে চৌধুরী। এ রকম একটি সরবরাহকারী হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেরানো পেট্রোকেমিক্যালস।

আজম জে চৌধুরীর বিপক্ষের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেরানো পেট্রোকেমিক্যালস থেকে ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডও পণ্য আমদানি করেছে। বিষয়টির সত্যতা জানতে এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালে ওমেরা পেট্রোলিয়াম মেরানো পেট্রোকেমিক্যালস ট্রেডিং থেকে এলপিজি আমদানি করেছে, যা ইরাক থেকে সরবরাহ হয়। এরপর আর আমদানি করেনি।

লোয়াবের সাবেক সভাপতি আজম জে চৌধুরী জ্বালানি খাতে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী। তিনি এলপিজি বাজারজাতকারী ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের পরিচালক। আবার জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার অনুমোদিত বেসরকারি ২৬টি কোম্পানি বর্তমানে দেশের মাসিক ১ লাখ ২০ হাজার টন চাহিদার জোগান দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এলপিজি আমদানি করা হয় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সব প্রযোজ্য বিধিবিধান অনুসরণ করে এবং এলপিজি আমদানিও তপশিলভুক্ত ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করা হয়, যা দেশি ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকের কঠোর নিয়ন্ত্রণ শিপমেন্ট নিশ্চিত করে পণ্য ক্রয় করে আসছে।

তারা অভিযোগ করেন, আজম জে চৌধুরীর মালিকানাধীন ওমেরা এলপিজি সম্প্রতি বাজারে বিভিন্ন অপপ্রচার এবং একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সামগ্রিক এলপিজি জ্বালানি খাতের ক্ষতি হচ্ছে। দেশের এলপিজি আমদানির ৮৫ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্য থেকে করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য আমদানি না করতে বিভিন্ন প্রকার বাধা এবং মনগড়া প্রতিবেদন দিয়ে ওই আমদানিকে হুমকির মুখে এবং বাজার অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন আজম জে চৌধুরী।

এ বিষয়ে আজম জে চৌধুরী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন কোনো দেশ থেকে আমরা এলপিজি আমদানি করব না বলে সংগঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে। সেই নৈতিক অবস্থান থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেসব জাহাজে এলপিজি আমদানি হচ্ছে, সেসব জাহাজে কর্মসহায়ক পরিবেশ নেই। এলপিজির গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন আছে।

জানা যায়, গ্যাস সংকটের কথা উল্লেখ করে ২০০৯ সালে তৎকালীন সরকার আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ২০১৩ সালের শেষের দিকে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ চালু করা হলেও ২০১৪ সালের পর  জ্বালানি বিভাগ গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে আবাসিকের নতুন আবেদন নিতে নিষেধ করে। এরপর ২০১৯ সালে লিখিতভাবে আবাসিক সংযোগ স্থগিত রাখার আদেশ জারি করা হয়। বর্তমানে সারা দেশে বেক্সিমকোর পাশাপাশি বসুন্ধরা, ওমেরা, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (ফ্রেশ), এস আলম গ্রুপ, জেএমআই গ্রুপ, সিটি গ্রুপের মতো শিল্প জায়ান্টসহ প্রায় ৩০টি অপারেটর এলপিজি ব্যবসা করছে। এর বাইরেও ফ্রান্সের টোটালগ্যাজ, ডাচ পেট্রোম্যাক্স এবং হংকংয়ের কাই হেং লং গ্লোবাল এনার্জির মতো বিদেশি অপারেটরগুলোও বাজারে তাদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে। ফলে গত এক দশকে দেশের এলপিজি বাজার উল্লেখযোগ্য হারে বড় হয়েছে।

অপারেটররা জানান, ২০১৩ সালে এলপিজির চাহিদা ছিল ৮০ হাজার টন। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এই চাহিদা ১৪ লাখ টন ছাড়িয়ে যায়। অর্থাৎ এক দশকের মধ্যে এলপিজির চাহিদা বেড়েছে ১৫ গুণ। আর এটারই সুবিধা নিয়েছে গুটিকয়েক কোম্পানি। এর মধ্যে বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, ওমেরা অন্যতম।

বর্তমান এলপিজি অপারেটরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্টোরেজ ক্ষমতা রয়েছে জেএমআই গ্রুপেরÑ ১৪ হাজার টন। স্টোরেজ সক্ষমতার দিক থেকে এরপরই আছে বিএমআই এনার্জি (১০ হাজার ৭০০ টন), ওমেরা (৯ হাজার ৬০০ টন) এবং বসুন্ধরা (৯ হাজার ৩০০ টন)।

বাংলাদেশে এলপিজি আমদানিতে বড় অংশীদারি ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ৯৮ হাজার টন এলপিজি আমদানি করে, যা দেশের মোট আমদানির ২১ শতাংশ। আবার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এমজেএল সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডও দেশে এলপিজি সরবরাহে শীর্ষে রয়েছে। গত অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় পাঁচ লাখ টন এলপিজি সরবরাহ করেছে, যা বাংলাদেশে মোট সরবরাহের ৩৫ শতাংশ। ওমেরা ছাড়াও ছয়টি প্রতিষ্ঠান এমজেএল সিঙ্গাপুর থেকে এলপিজি আমদানি করেছে।

জানা গেছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সোয়া ১৪ লাখ টন বিউটেন ও প্রপেন আমদানি হয়। ২০টি প্রতিষ্ঠান এই এলপিজি আমদানি করেছে। বর্তমানে এই বাজারের আকার প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার। লোয়াবের কর্মকর্তারা জানান, দেশে এলপিজি খাতে সক্রিয় আছে ২৬টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিউটেন ও প্রপেন মিশিয়ে উৎপাদিত এলপিজি বোতলজাতের পর বাজারজাত করছে।

গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমানসহ অন্যান্য সরবরাহকারীর কাছ থেকে কম দামে এলপিজি আমদানি শুরু করে। চলতি অর্থবছরে এমজেএল সিঙ্গাপুর থেকে দেশীয় চারটি প্রতিষ্ঠান এলপিজি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে এমজেএল সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের অংশীদারি কমতে শুরু করে।