স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গুম-খুন, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, অর্থ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তায় বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এ-সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
যে কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
সাধারণ মানুষ বলছে, যারা গুম-খুনে জড়িত দেশের কথা চিন্তা করে না, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের কারণে বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপযার্য়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে বলা হয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে ছাত্রলীগের পর এবার নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গতকাল বাসসকে বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের ‘ঐকমত্য’ তৈরি হয়। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ‘ঐকমত্য’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার সহসাই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল; যে বা যারাই হই না কেন, আমরা এ দেশের জনগণকে ‘রিপ্রেজেন্ট’ করি। ফলে, ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাক্সক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও ৪টি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যেকোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে, এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জুলাই আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বাতিল করাসহ যেকোনো ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করতে পারে।
তবে বিষয়টি যেহেতু আইনের বাস্তয়নের সঙ্গে যুক্ত, সে ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশের জনগণের চাওয়া প্রতিফলন ঘটাতে সরকার এ ব্যাপারে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে।’
গত ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে সরকার। এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।
সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে। এই অবস্থায় সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর ধারা ১৮-এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
ছাত্রলীগের মতো একই অভিযোগে চলতি মাসের নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে, আমরা সেই কলম ভেঙে দেব। যে মিডিয়া ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়াবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। আপনারা যদি তরুণ প্রজন্মের কথা বুঝতে ব্যর্থ হন, তাহলে আওয়ামী লীগের মতোই আপনাদের পরিণতি হবে।’
আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম সরি ফিলিংস নেই বলে মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আহ্বায়ক হাসনাত আরও বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ফ্যাসিবাদী শক্তি। তাদের যেই ভিত্তি, এটা মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। তাদের প্রচারণা ও মেনিফেস্টো হচ্ছে মিথ্যা। আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম সরি ফিলিংস নেই। এখনো হুমকি-ধমকি অব্যাহত আছে।
এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ কোনো জাতীয় সম্পদের ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ৩২ নম্বরের বাড়ি ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করে দেওয়া উচিত ছিল, যেটা পরে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করা হয়নি আর ফ্যাসিবাদের প্রতীকগুলো রেখে দেওয়া হয়েছে।
ধানমন্ডি ৩২, ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করে দেওয়া উচিত ছিল, যেটা পরবর্তী সময়ে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে। ৫ আগস্টের পর সবচেয়ে স্বাধীনতা ভোগ করছে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমেন্টে হুমকি-ধমকির স্বাধীনতা উপভোগ করছে। তাদের মধ্যে কোনো ভয়ভীতি নেই। তারা এখনো হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে হাসনাত বলেন, ‘নির্যাতিত ও নিপীড়িত ছিল বিএনপি-জামায়াত ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলো, আর নির্যাতকের ভূমিকায় ছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে যারা নিপীড়িত, পরবর্তী বাংলাদেশটা আমাদের।
আমরা যারা ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছি এ বাংলাদেশটা আমাদের।’
এ সময় সচিব-আমলাদের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি বলেন, সচিবালয়ের গতি যেন ৩২ নম্বরের মতো না হয়, সচিবালয়ের গতি যেন গণভবনের মতো না হয়। তিনি বলেন, আপনাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ। আপনারা জনগণের সেবা করতে আসছেন।
আপনারা জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আপনারা রাজনৈতিক দলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না। এটা নিজের মধ্যে ধারণ করুন।
তাদের হুঁশিয়ার করে হাসনাত বলেন, আপনারা যদি মনে করেন সচিবালয়ে বসে, আপনারা ধানমন্ডির সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বিদ্যমান রাখবেন, তাহলে আওয়ামী লীগকে যেভাবে বাংলাদেশ থেকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হবে।
আমলা-সচিবদের পরামর্শ দিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জনগণের জন্য কাজ করুন, জনগণের শক্তি অনুধাবন করুন আমি খুব করে চাইব, ধানমন্ডি ৩২-এর পরিণতি যেন সচিবালয়ের না হয়, আমি এটা খুব করে চাইব, মন থেকে চাইব কোনো একসময় হয়তো এ বছর না হোক, ১০ বছর পর হোক, ১৫ বছর পরে, ২০ বছর পরে সচিবালয়ের পরিণতি যেন গণভবনের মতো না হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাধারণ মানুষ মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকার থাকা অবস্থায় উন্নয়নের চেয়ে লুটপাট হয়েছে বেশি। হরণ করা হয়েছে ভোটাধিকার। ক্ষমতার বাহুবলে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে কোণঠাসা করে রাখা হয়ে ছিল। দমন নিপীড়নে পুলিশের সঙ্গে মাথায় হেলমেট আর আগ্নেয়াস্ত্রসহ মাঠে ছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। ছিল না সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকে দ্রব্যর। সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সরকার দলীয়রা।
আওয়ামী সরকারের আমলে দেশে গুম-খুন ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার। এসব কারণেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা উচিত এবং সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগতম জানাবে দেশের জনগণ।
নুরুল ইসলাম নামের এক ইসলামী তরুণ বক্তা ও ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে থাকা পলাশ রায়হান জানান, আলেম ওলামাদের ওপর অন্যায়ভাবে জেল জুলুম নির্যাতন করেছিল ফ্যাস্টিস আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমেই বাবার হত্যার দায়ে কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদদের ফাঁসি দেয়। এরপর ধীরে ধীরে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, যা ভেতরে ভেতরে বড় দুইট দলের মধ্যে ভীষণ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আয়না ঘরের নামে শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
তিতুমীর কলেজের সাধারণা শিক্ষার্থী জকির হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ হলো জুলুমের দল। তারা সর্বশেষ ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সময় প্রশাসনকে লেলিয়ে হাজার হাজার মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরেছে। আবু সাঈদ ওয়াসীমসহ শত শত তরুণ যুবককে পাখির মতো গুলি করে হত্যার দায়ে এদের নিষিদ্ধ ও ফাঁসি দেওয়া উচিত। সরকার যদি এটা করতে পারে, তাহলে জনগণ তাদের শুভেচ্ছা দেবেন।
তেজগাঁও কলেজের ছাত্র শিমুল বলেন, হাজার হাজার তরুণ পঙ্গু হয়েছে। তারপরও থামেনি তাদের নানামুখী ষড়যন্ত্র। বিদেশের মাটিতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আক্রোশমূলক বক্তব্য মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এখন দেশের মানুষের ভেতর ভয় ঢুকে গেছে, দলটি ক্ষমতায় এলে বা তাদের দলীয় কর্মকাণ্ড করতে দিলে ক্রমেই দেশের অবস্থা ভয়াবহ হবে। তাই দেশের বড় একটি অংশ চায় না আওয়ামী লীগ থাকুক। এ জন্য নিষিদ্ধ হলেই দেশের মানুষ শান্তি পাবে।
এসব বিষয়ে তিতুমীর কলেজের ছাত্র ইমরান বলেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত হয়েছি। কাছ থেকে মানুষের মৃত্যু দেখেছি। যারা এ গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছে এবং যেসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো দল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এ রকম হত্যাকাণ্ড ঘটাতে না পারে। অবিলম্বেই এ দলকে নিষিদ্ধ দেখতে চায় সাধারণ মানুষ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফুল ইসলাম জানান, গণহত্যার দায়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করা উচিত। এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাহলে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, গণহত্যার দায়ে তাদের অবিলম্বে বিচার করতে হবে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, সাকা চৌধুরীকেও ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয় ছিল। অসংখ্য ছাত্রনেতা আজ গুম খুনের শিকার। আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই রাজনীতি আর করতে পারে না। এ জন্য এদের আর দেশের মানুষ দেখতে চায় না।
দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টা এদিকে সম্প্রতি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের সব নাগরিকের অবিলম্বে সম্পূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, যদি কেউ দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য উসকানিমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা নেবে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।