বিসিএস শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারের বাইরে রাখার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে আগের বক্তব্যেই অটল রয়েছে ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’। অর্থাৎ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারভুক্ত রেখেই জনপ্রশাসন সংস্কার করতে হবে। পাশাপাশি কোনো শতকরা (পারসেন্টেজ) হিসাব না করে পরীক্ষার মাধ্যমে সব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের উপসচিব হওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং ২৫ ক্যাডারের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে কর্মকর্তাদের মাঝে।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের দাবি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারের বাইরে রাখলে উন্নতি হবে এমন কোনো প্রামাণ্য গবেষণা নেই। তাই এই দুই ক্যাডারকে বাইরে রাখলে জনপ্রশাসন ও দুই ক্যাডারের উন্নয়ন হবে এমন মনে করারও কোনো কারণ নেই।
কোটা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন দিয়ে দেশে যে জুলাই বিপ্লব হয়েছে, সেখানে উপসচিব পদে একটি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ পদ সংরক্ষণ বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে মিলে না। অন্যদিকে নিজস্ব দাবির ক্ষেত্রে সব ক্যাডারের কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা বক্তব্য-বিবৃতি দিলেও বরখাস্ত হয়ে শাস্তি পেতে হয়েছে ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের। দেশে বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিপ্লব হলেও ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারাই বৈষম্যের শিকার।
সূত্র জানিয়েছে, সরকারের কঠোর অবস্থান ও চাকরিবিধির কারণে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ কোনো কর্মসূচি দিতে পারছে না। তবে আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্বের এখনো গঠনমূলক সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে কর্মকর্তাদের মাঝে। বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে নানা পথ খোঁজার পাশাপাশি আইনের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাও রয়েছে কর্মকর্তাদের মাঝে।
এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নানা সুপারিশের বিষয়ে ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের ভাবনা ও প্রস্তাবনা নিয়ে আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা। এ সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ আছে।
এরও আগে গত বছরের অক্টোবরে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ ৬টি সংস্কার কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়।
৫ জানুয়ারি দেওয়া হয় জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার প্রতিবেদন। ৬টি কমিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আজ প্রকাশ করার কথা। এরপর কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সব রাজনৈতিক দল এবং গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের কথা রয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিসিএস শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারভুক্ত না রেখে জুডিশিয়াল সার্ভিসের মতো আলাদা করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। তবে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা পরীক্ষার মাধ্যমে উপসচিব হওয়ার সুযোগ পাবেন।
এ পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার ও নন-ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ নেওয়া হবে। এ ছাড়া বিসিএস ক্যাডার পদে শুরুর পদ, অর্থাৎ যোগদানের পদ ষষ্ঠ গ্রেড করার সুপারিশ থাকতে পারে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ ও অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার বিষয়টি সামনে আসার পর থেকে আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এরপর পদোন্নতি, পদায়নসহ বেশ কিছু দাবিতে গত ১ সেপ্টেম্বর ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ নামে একটি জোট গঠিত হয়। জোট গঠনের পর থেকে নিজেদের বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার হয় এই সংগঠন। একপর্যায়ে প্রশাসন ক্যাডার ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ নিজ নিজ দাবিতে কর্মসূচি, ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি লেখায় দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে ওঠে।
এদিকে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে উঠলে সরকারি আচরণবিধিমালা লঙ্ঘন করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। একই সময় দ্বন্দ্বে জড়ানো ২৫ ক্যাডারের ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ৭ জন শিক্ষা ক্যাডারের ও বাকি ৭ জন অন্য ক্যাডারগুলোর। সরকারের এমন কঠোর অবস্থানের পর দু’পক্ষের মধ্যে নমনীয় অবস্থান দেখা গেছে।
সূত্র জানায়, আপাতদৃষ্টিতে কোনো কর্মসূচি না থাকলেও দাবির বিষয়ে একই অবস্থানে রয়েছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। আজ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের পর পরিষদের প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি সামনে আসবে।
প্রশাসনে বিরাজমান নানা বৈষম্য ও কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনায় হতাশ আন্তঃক্যাডার নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মফিজুর রহমান। রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে আমরা নিয়মিত উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবহিত করেছি। শিক্ষা উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন দেখছি। ২৫ ক্যাডারের কর্মকতাদের মতো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন। অথচ শাস্তি পেতে হয়েছে ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের।
তিনি একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ২৫ ক্যাডারের কোনো কর্মকর্তা হয়তো লিখেছেন, ‘ক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তার’। এটা তো আমাদের সবার কথা। এটি লেখার জন্য শাস্তি পেতে হয়েছে ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাকে। অন্যদিকে রীতিমতো গালিগালাজ দিয়ে লিখলেও প্রশাসনের কারো কিছু হয়নি।
এই ক্যাডার কর্মকর্তা মনে করেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন যাতে সংস্কার করতে না পারে, সে জন্য অন্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাই একটি গঠনমূলক সংস্কারের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের পেশাগত উন্নয়ন। যেখানে কোনো ধরনের বৈষম্য থাকবে না। আজ এসব বিষয়ে ডিআরইউতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো অনেক কনফিউশন রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়গুলোতে মতামত দেওয়ার বিষয়টি সহজ হবে। যেমন বলা হচ্ছে, প্রশাসনের জন্য ৫০ শতাংশ এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ উপসচিব পদ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে। এখানে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
চাকরিবিধি অনুযায়ী ফৌজদারি অইন সংক্রান্ত কোনো কারণ ছাড়া কোনো ক্যাডার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করতে হলে প্রথমে শোকজ দেওয়া, শোকজের শুনানি, শুনানিতে সন্তুষ্ট না হলে অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্তু ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের বরখাস্তের ক্ষেত্রে এই বিধান অনুসরণ হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন দিয়ে দেশে বিপ্লব হয়েছে, অথচ প্রশাসনের জন্য ৫০ শতাংশ রাখতে হবে কেন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যারা শীর্ষে থাকবেন তারাই নিয়োগ পাবেন।
কৃষি ক্যাডার কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন বলেন, আমাদের দাবি-দাওয়ার সবই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে আমরা কোনো কিছু করব না। তবে গঠনমূলক সমাধান না হলে আইনগতভাবে অধিকার অর্জনের চিন্তা করা যেতে পারে।
ক্যাডার কর্মকর্তারা জানান, প্রশাসনে পদ শূন্য না থাকলেও সুপারনিউমারি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রশাসন ক্যাডারের প্রায় সব অতিরিক্ত সচিবই গ্রেড-১ মর্যাদা নিয়ে অবসরে যান। অথচ শিক্ষা ক্যাডারের শীর্ষ পদ প্রফেসর আটকে রয়েছে গ্রেড-৪-এ।
প্রশাসনে বৈষম্যের উদাহরণ দিয়ে এক ক্যাডার কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারের ১৪ থেকে ১৬ ব্যাচের চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তারা বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যদিকে প্রশাসনের যুগ্ম সচিব পদে রয়েছেন ২০ থেকে ২২ ব্যাচের তৃতীয় গ্রেডের কর্মকর্তারা। সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে এই যুগ্ম সচিবরা শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের চার-পাঁচ ব্যাচ জুনিয়র হলেও তাদের আচরণ হয় ঊর্ধ্বতনদের মতো। শিক্ষা ক্যাডারের একজন অধ্যাপক বলেন, নবম গ্রেডে এন্ট্রি পদ প্রভাষক থেকে পদোন্নতি হয় তিন ধাপে। পক্ষান্তরে প্রশাসন ক্যাডারে হয় ৬ ধাপে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ পান।
অন্য কোনো ক্যাডার তা পান না। প্রশাসন ক্যাডারের বিদেশ সফরের সুযোগ অবারিত। পক্ষান্তরে ২৫ ক্যাডারের বিদেশ সফরের সুযোগ সীমিত। প্রশাসন ক্যাডারের টেকনিক্যাল জ্ঞান না থাকলেও তারা যেকোনো কারিগরি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হতে পারেন।
তথ্য ক্যাডারের এক কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন, ২৫ বছর চাকরি করে পদোন্নতি পেয়ে তৃতীয় গ্রেডের কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন কাডারের কর্মকর্তারা আমাদের ‘পিআরও’ সাহেব বলেই সম্বোধন করেন। কর্মকর্তাদের সংখ্যার দিক দিয়ে বিসিএস শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বড় ক্যাডার।
শিক্ষা ক্যাডারে কর্মকর্তা প্রায় ১৬ হাজার। আর স্বাস্থ্য ক্যাডারের সদস্য ৩০ হাজারের বেশি। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএসে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডার হিসেবে না রেখে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো আলাদা করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে। তবে এই ক্যাডারের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন।
বর্তমানে প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব হতে পারেন। সরকারের এই পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ ও অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নেওয়া হয়। বর্তমানে কর্মরত উপসচিবের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৬০০। উপসচিব হওয়া কর্মকর্তারাই ধাপে ধাপে ওপরের পদে যাবেন।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৬টি ক্যাডারে নিয়োগ হয়। চাকরিপ্রার্থীদের পছন্দক্রম ও পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ক্যাডার নির্ধারণ করা হয়।
ক্যাডারগুলো হলো- প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্র, কর, কৃষি, আনসার, নিরীক্ষা ও হিসাব, সমবায়, শুল্ক ও আবগারি, পরিবার পরিকল্পনা, মৎস্য, খাদ্য, বন, সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য, পশুসম্পদ, ডাক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, গণপূর্ত, রেলওয়ে প্রকৌশল, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক, সড়ক ও জনপথ, পরিসংখ্যান ও বাণিজ্য ক্যাডার।
আপনার মতামত লিখুন :