চাঁদাবাজি, জমি দখল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল, নিয়োগ-বদলি, তদবির বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে সব ধরনের অপকর্ম-দুর্নীতিতে যুক্ত থেকে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট সহচর চাঁদাবাজির ‘মহারানি’ খ্যাত ঢাকা-৪ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থানের সময় যাত্রাবাড়ীর কাজলায় সোহেল রানাকে গুলি করে হত্যা মামলা অন্যতম আসামি হয়েও তিনি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
সূত্রমতে, ৫ আগস্টের পর থেকে রাজধানীর গুলশানে এক আত্মীয়ের বাসায় লুকিয়ে রয়েছেন। গত দেড় দশকে সানজিদা তার ক্যাডার বাহিনী ও পুলিশ দিয়ে জুরাইন, শ্যামপুর, কদমতলী ও দোলাইপাড় এলাকায় বিএনপি, জামায়াত এমনকি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন ও নির্যাতন চালিয়ে এলাকাছাড়া করেন।
এলাকাজুড়ে ত্রাসের কায়েম করেছিলেন। বিতর্কিত এই আওয়ামী লীগ নেত্রী তার বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যদের দিয়ে ওই এলাকার অনেক শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলতেন। সানজিদা বাহিনীর সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করতেন না। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর বিপরীতে হেরে যান সানজিদা খানম। পরবর্তীতে পান সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে জনতা হত্যাযজ্ঞের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন। কদমতলি, শ্যামপুর ও জুরাইনে গত এক সপ্তাহ অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দিয়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালান।
নিজে উপস্থিত থেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে অস্ত্র-সজ্জিত হয়ে গুলি চালান। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলে রাখতে বিপুল অর্থ খরচ করেন। নিজের অনুসারীদের দিয়ে অস্ত্রের মহড়া দেন। আন্দোলনে অংশ নিলেই নির্যাতন করা হতো। এমনকি গুলির দিয়েছেন সানজিদা। আন্দোলনে সানজিদা নির্বাচনি এলাকায় সহিংসতা বেশি হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ছিল বেশি।
জানা যায়, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রথমবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় সরাসরি ঢাকা-৪ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য। এ ছাড়া প্যানেল স্পিকার হিসেবেও সানজিদার নাম ছিল। সে সময় আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের মাধ্যমে তিনি জজ বদলি ও মামলার জামিনে তদবির বাণিজ্য করতেন।
এ ছাড়া তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে দিয়ে পুলিশের বদলি ও পদোন্নতি বাণিজ্য এবং অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানকে দিয়ে গণপূর্তে তদবির বাণিজ্য চালাতেন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও তৎকালীন মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের দিয়েও তদবির বাণিজ্য করতেন শ্যামপুর-জুরাইন এলাকায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত দেড় দশকে জুরাইন-শ্যামপুর, কদমতলী ও দোলাইপাড় এলাকায় বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে দেননি সাবেক এমপি সানজিদা ও তার অনুসারীরা। তার দাপটে বিরোধী পক্ষের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীই ছিলেন এলাকাছাড়া। তা ছাড়া বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় রাজনীতিতে যুক্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হতো। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে চলত নির্যাতন।
জুরাইনে সানজিদার বাসায় বসত বিচার-সালিশ। সেখানে চলত চাঁদাবাজি ও নির্যাতন। পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায়ও সানজিদার জামিন বাণিজ্যের প্রচলন ছিল। সানজিদার নির্বাচনি এলাকা সূত্রাপুর (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৪৭), ডেমরা (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮, ৫৯) উপজেলা নিয়ে গঠিত। পুরো এলাকায় সানজিদার নির্দেশ ছাড়া গাছের পাতাও নড়ত না বলে জানান স্থানীয়রা।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি হতে মোটা অংকের টাকা খরচ করেছিলেন। অবৈধ টাকায় এমপি হয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন তিনি। সানজিদার সব বৈধ-অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান এখনো শুরু করেনি সরকারের কোনো সংস্থা। সাবেক এই এমপির আয়-ব্যয়, জীবনযাপন, সম্পদের যাবতীয় তথ্য খুঁজলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
গত দেড় দশক শ্যামপুর বালুর মাঠ বা কদমতলী শিল্প এলাকার প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি, শ্যামপুর কদমতলীর প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার দখলে ছিল, কমিটি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, বই বাণিজ্য, কাঁচাবাজার ও ফার্নিচার মার্কেটসহ নির্বাচনি এলাকার প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করতেন।
জানা যায়, সাবেক এমপি সানজিদা খানমের পুরান ঢাকার ওয়ারির র্যাকিং স্ট্রিট এলাকায় একটি বিলাসবহুন ফ্ল্যাট বাড়ি, জুরাইনে আলিশান বাড়ি, মুন্সীগজ্ঞের কবুতর খোলা গ্রামে আলিশান বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া কানাডা, লন্ডন ও আমেরিকায় তার বাড়ি রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও পাচারকৃত টাকায় পরিবারের সদস্যদের দেশের বাইরে বিপুল সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুদকে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি, নেতাকর্মী ও ঘণিষ্ঠদের বিরুদ্ধে একাধিক টিম গঠন করে অনুসন্ধান চলমান। এরমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা, পাসপোর্ট জব্দ, সম্পত্তি ক্রোকসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পজ অর্জন ও নানা অপকর্মে জড়িত থাকলে সাবেক হুইপ সানজিদা খানমের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনুসন্ধান শুরু করেনি।
সানজিদার নামে হত্যা মামলা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় গুলিতে সোহেল রানা মৃত্যুর অভিযোগে সানজিদা খানম ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই জুয়েল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যান সোহেল রানা। সেখানে অন্যান্য আসামির নির্দেশে পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সোহেল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হত্যাচেষ্টার মামলা: হামলা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার মহানগর আদালতের গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী বাবু বাদী হয়ে সানজিদা খানমসহ আওয়ামীপন্থি ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
হলফনামায় সানজিদার যত সম্পদ: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমের ১০ বছরে সম্পদ বেড়েছে। এর মধ্যে আছে গাড়ি, বাড়ি এবং ফ্ল্যাট। দশম সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামার সঙ্গে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়ের করা হলফনামার তুলনামূলক বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানা যায়। এর মাঝে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নেননি।
পাশাপাশি দশম সংসদ নির্বাচনের সময় স্বামী ও সন্তানের নামে স্থায়ী সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ থাকলেও এখন তা নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সানজিদা খানম। এরপর দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফানামায় দেখা গেছে, সানজিদা খানমের পেশাগত আয় নবম সংসদ নির্বাচনের তুলনায় বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা। সে সময় তার আয় ছিল শুধু ২ লাখ টাকা। এ ছাড়া আর কোনো আয় নেই তার। এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনের সময় তার সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ছিল ১০ লাখ টাকা, পেশাগত আয় ছিল ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য আয় ছিল ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ টাকা আছে ২০ লাখ, ব্যাংকে জমা আছে ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩৩ টাকা, মোটরগাড়ি আছে একটি যার মূল্য দেখিয়েছেন ৬৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
এ ছাড়া ৮০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি ফ্রিজ, ২টি টিভি, ওভেন ১টি এবং ১টি ওয়াটার পিউরিফায়ার আছে। আসবাবপত্র আছে ৮৫ হাজার টাকার এবং মোবাইল, এসি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস আছে ৭০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে সানজিদা খানমের নামে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের সাড়ে সাত কাঠার অকৃষি জমি, ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের দুই তলা বাড়ি এবং ৬১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা মূল্যের দুইটি ফ্ল্যাট আছে।
ঢাকার আদালত পাড়ায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামীপন্থি দাপুটে আইনজীবী সানজিদাসহ অন্যরা আত্মগোপনে চলে যান। গ্রেপ্তার এড়াতে ও মান রক্ষার্থে আদালতমুখী নন আইনজীবীরা। শীর্ষ আইনজীবীদের কয়েকজন এখন আসামির কাঠগড়ায়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পাল্টে যায় পরিস্থিতি। কোণঠাসা হয়ে পড়েন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। একসময়ের দাপুটে আইনজীবীদের অনেকেই এখন আত্মগোপনে। কেউ কেউ এখন আসামির কাঠগড়ায়। কেউ আছেন কারাগার ও রিমান্ডে। তবে সানজিদা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৫০ জন এমপি বিপুল টাকায় মনোনয়ন কিনেছেন এমন তথ্য ভিত্তিতে তাদের করজালে আটকাতে গোয়েন্দারা অনুসন্ধানে নেমেছেন।
গত জানুয়ারিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা বিভাগ এখন অবৈধ টাকায় এমপি হওয়ার সন্দেহে ওই ৫০ সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিকে খুঁজছে। এরমধ্যে সানজিদা খানমের নাম রয়েছে। তার সব বৈধ-অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে। আয়-ব্যয়, জীবনযাপন, সম্পদের যাবতীয় তথ্য খুঁজে বের করবেন কর গোয়েন্দারা। অবৈধ সম্পদ বা কালো টাকার সন্ধান পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে সংস্থাটি।
এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এরই মধ্যে ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন বাগিয়ে নেওয়া ৫০ জনের আয়কর নথি যাচাই শুরু হয়েছে। আয়কর নথি অনুযায়ী সেই সক্ষমতা দেখাতে না পারলে বা সম্পদ গোপন বা অন্য কোনো ধরনের অসংগতি পাওয়া গেলে আয়কর আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, সানজিদা খানমের দ্বারা হয়রানি ও নির্যাতন শিকার হয়েছেন ওই এলাকার আরেক সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির কেন্ত্রীয় নেতা আবু হোসেন বাবলা ও তার অনুসারী নেতারা। এ বিষয়ে জানতে বাবলার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি অসুস্থ।
তবে স্থানীয় জাপা নেতারা জানিয়েছেন, বিগত ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী হওয়ায় গোটা এলাকায় একক রাজত্ম কায়েম করেছিলেন সানজিদা।
সানজিদা খানমের বক্তব্য: চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মের বিষয়ে জানতে সাবেক এমপি সানজিদা খানমের বক্তব্য জানতে গত রোববার ও সোমবার তার মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে প্রতিবেদকের পরিচয় জানিয়ে বার্তা ও কল দিলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
আপনার মতামত লিখুন :