ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

নির্বাচনি লড়াইয়ে বিএনপি-জামায়াত

রুবেল রহমান
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০৯:৫০ এএম
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে অনড় বিএনপি। দেশের অন্যতম শীর্ষ এই দল যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে বারবার। সময় নিয়ে গড়িমসি করেলেও শেষে সরকারও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হবে- এমন আভাস দিয়েছে। এর পরও একটি মহল থেকে বাধা আসতে পারে বলে ধারণা করছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। 

তাই দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন আদায় করতে সরকারকে চাপে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে এই চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে না। নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করতে একধরনের রাজনৈতিক কৌশল। ফলে সরকার অন্য মহলের চাপে ভীত হবে না।

[34195]

বিএনপি নেতাদের দাবি, ফ্যাসিস্ট সরকারের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন হয়নি। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুরো জাতি এখন মুখিয়ে আছে একটি সুন্দর নির্বাচনের অপেক্ষায়। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনি তোড়জোড় শুরু করেছে।

দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরের মাঝামাঝি এই নির্বাচন করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দিয়েছে বিএনপি। এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী বেশ কয়েকজন প্রার্থীও ঠিক করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের জুনে এই নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। 

সর্বশেষ গত সোমবার বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। সরকার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে ‘সর্বকালের সেরা ও ঐতিহাসিক’ করার পরিকল্পনা করছে বলেও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচন কমিশনও ডিসেম্বরকে লক্ষ্য করেই প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে বেশ স্পষ্ট করেছে।

[34204]

সেই হিসাবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ডিসেম্বর। যত দূর জানা গেছে ৬ ডিসেম্বর হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ৬ ডিসেম্বর এই নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এ সময় নির্বাচন হলে তফসিল হবে অক্টোবরে। সে হিসাবে নির্বাচনের সাইরেন বাজতে এখনো বাকি আট মাস। 

যেহেতু হাসিনা সরকার আমলে জনগণ ১৫ বছর ভোট দিতে পারেননি, সে কারণে এবার ভোটের জন্য ভোটার ও সম্ভাব্য প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। দীর্ঘদিন ভোট দিতে না পারার যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে সবাই আগেভাগে নির্বাচনি প্রচারণায় মাঠে নামতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। 

এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে ভোটাররাই যেহেতু বড় ফ্যাক্টর, সেজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের হৃদয় জয় করে দলের কাছে নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে তৎপর। এজন্য এলাকায় নানা কর্মসূচি অব্যাহত রেখে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

৩০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঠিক করতে এরই মধ্যে কয়েকটি টিমে কাজ শুরু করছে বিএনপি। ৭৯ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরই মধ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে জামায়াত।

নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। পতিত আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় বিএনপি ও জামায়াত এখন একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে। বিপ্লবী ছাত্ররাও নতুন দল গঠনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন। চলতি মাসের ২১ তারিখ দল ঘোষণার পর তারাও সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারেন। 

[33773]

সরকারে থাকা উপদেষ্ঠা নাহিদ ইসলাম ও আফিস মাহমুদ পদত্যাগ করে সেই দলে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলেও জানা গেছে। এর বাইরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কিছু দলও সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা করছে। তবে শেষমেশ মাঠে ভোটের লড়াইটা কীকভাবে হবে, কে কার সঙ্গে জোট বাঁধবে, তা জানতে তফসিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ফিরেছেন নিজ এলাকায়। সিনিয়র নেতারাও এখন ঘন ঘন যাচ্ছেন নির্বাচনি আসনে। সভা-সমাবেশ ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন তারা। গতকাল বুধবার থেকে ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি। এরপর মহানগর ও বিভাগীয় শহরেও সমাবেশ করবে। 

এসব সমাবেশেরও মূল উদ্দেশ্যে জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ তোলা। একই সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও নানা বার্তা দেবে এসব সমাবেশের মাধ্যমে। 

অন্যদিকে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিয়ে ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে চায় জামায়াতে ইসলামী। এরই মধ্যে ৭৯ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণাও করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে নানা কৌশলে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় নিয়মিত কর্মিসভায় যোগ দিচ্ছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। 

[34203]

দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান এরই মধ্যে ৪০টির বেশি জেলা সফর করেছেন। সব আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঠিক করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও। একই চিন্তা এবি পার্টির। এককভাবে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একমত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। নির্বাচনি লড়াইয়ে মাঠে নামতে বসে নেই ডান, বাম ও ইসলামি দলগুলোও। এবারের নির্বাচনি ট্রেন মিস করতে চায় না কেহই। 

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে ‘জোট’ নাকি ‘সমঝোতা’ সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলগুলো। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল এবং বিগত দিনে ওই সরকারে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট বা সমাঝোতার কোনো চিন্তা নেই বিএনপি ও জামায়াতের। এ দুই দল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বাড়িয়েছে।

বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক নেতা জানান, আগামী নির্বাচনে জোট গঠন নিয়েই তারা বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াত চেষ্টা করছে একটি আসনে ইসলামি দলগুলোর একজন প্রার্থী থাকবে। আবার বিএনপির তৎপরতা আছে, ২০১৮ সালের স্টাইলে মিত্রদের ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নেওয়া। 

[34199]

তবে রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই জানিয়ে দলগুলোর নেতারা বলেন, এখন যে যার মতো তৎপরতা চালাচ্ছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে অনেক চিত্রই পালটে যাবে। সবকিছু নির্ভর করবে আওয়ামী লীগের ভোটে আসা না-আসার ওপর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। বুলেটের ভয় দেখিয়ে ব্যালটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল ফ্যাসিবাদি সরকার। মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায়। 

প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন। আমরা মনে করি, সরকার চাইলে জুলাই মাসেই নির্বাচন দিতে পারে। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও নির্বাচনমুখী দল। যেকোনো সময় নির্বাচন হলে বিএনপির প্রস্তুতি আছে। 

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই বিএনপির সুসম্পর্ক রয়েছে। আগামী নির্বাচন একক নাকি জোটগতভাবে- এটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়, তারপর সিদ্ধান্ত হয়।

[34193]

তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জামায়াত এখনো চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচন এখনো অনেক দূর। নির্বাচন কাছে এলে দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এখন যেটা প্রকাশ করা হয়েছে, সেটা প্রাথমিক সিলেকশন। তখন যাদের নমিনেশন দেওয়া হবে, তারাই প্রার্থী হবেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের নতুন দল আসছে। আমরা আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চাই। সেই প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি এবং সেভাবেই এগোচ্ছি। আমরা আশাকরি গণঅভ্যুত্থানের মতো দেশের মানুষ নির্বাচনেও আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, কিন্তু একটি মহল নির্বাচনকে বিলম্বিত করার পাঁয়তারা করছে। তারা বারবার বলছে, সংস্কার শেষে নির্বাচন। এর অর্থ কী? অন্তর্বর্তী সরকার যদি তাদের ফাঁদে পা দেয়, তবে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে যাবে। সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। 

[34197]

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশ্বস্ত নেতারা জানান, এবারের নির্বাচনে তরুণ, অভিজ্ঞ ও প্রবীণদের সমন্বয়ে হবে চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা। এ তালিকা করতে মাঠপর্যায়ে এরইমধ্যে কয়েকটি টিম কাজ করছে। 

যাদের এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে, বিগত আন্দোলনে ছিলেন, দলের প্রতি আনুগত্য রয়েছে এবং দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন- এমন নেতাদের চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকায় রাখতে চায় দলটির হাইকমান্ড। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে প্রতিটি সভা-সমাবেশ ও দলীয় ফোরামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আসছে নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ হবে না; দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।’ এমন বক্তব্যে ধারণা করা হচ্ছে, দলের ভেতরে শক্তভাবে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে বিএনপি।

জামায়াতের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা এরই মধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেছেন। শতাধিক আসনে শক্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় দলটি। সেই লক্ষ্যে এরই মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ৫০টি, ‘বি’ ক্যাটাগরি ৫০টি আসনে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিভিন্ন কৌশলে এসব আসনে সভা-সমাবেশের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে দলটি। অবশ্য নির্বাচনের আগে ইসলামি দলগুলোর ঐক্য কিংবা জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাবে। তবে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোনো আসন দলটি ছাড় দিতে রাজি হবে না বলেও জানায় সূত্র।

[34049]

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে ১৯টি, চট্টগ্রামে ১৬টি, টাঙ্গাইলে ৮টি, নেত্রকোনায় ৫টি, ময়মনসিংহে ১১টির মধ্যে ১০টি, শরীয়তপুরে ৩টি, ফরিদপুরের ৪টি, গোপালগঞ্জের ১টি, নারায়ণগঞ্জে ৫টি, ফেনীতে ৩টি, বান্দরবান ও পটুয়াখালীতে ৪টি করে, পিরোজপুরে তিনটি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি, নাটোরে ৪টি, দিনাজপুরে ৬টি, কিশোরগঞ্জে ৫টি, ঝিনাইদহে সব আসনে, চুয়াডাঙ্গায় ১টি, সিরাজগঞ্জে ৫টি ও সুনামগঞ্জে ৫টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকার আসনগুলোর জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে তা জানানো হবে বলে জানা গেছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা সব আসনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচনের ভিন্ন রসায়ন আছে, নানা সমীকরণ হবে, তারপর হবে চূড়ান্ত। দুই বা পাঁচ দল কিংবা ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জোট হতে পারে। তখন কিছু ছাড়ার প্রয়োজন হলে আমরা ছাড়ব; কিন্তু রেডি আছি আমরা সব আসনেই, আমরা শক্তিশালী দল হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।