শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শহিদুল ইসলাম রাজী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১০:১৯ এএম

‘সূচনা ফাউন্ডেশন’

সিন্ডিকেটে পুতুল-প্রাণ গোপালসহ সাত কুতুব

শহিদুল ইসলাম রাজী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১০:১৯ এএম

সিন্ডিকেটে পুতুল-প্রাণ  গোপালসহ সাত কুতুব

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ‘সূচনা ফাউন্ডেশনে’ অনুদান দিতে বাধ্য করতেন ক্ষমতাচুত্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তবে তিনি বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হতো ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের হুকুমে। 

সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পুতুল হলেও এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন কুমিল্লা-৭ আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তসহ সাতজন। ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সিএসআরের (সামাজিক দায়বদ্ধতার তহবিল) মোটা অ

ঙ্কের অর্থ গেছে এই ফাউন্ডেশনের হিসাবে। এর বাইরে আরও কয়েকটি সোর্স থেকে টাকার জোগান দেওয়া হয়েছে সূচনা ফাউন্ডেশনে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অস্তিত্বহীন এই ফাউন্ডেশনের সাতটি ব্যাংক একাউন্টের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনটি একাউন্টে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬৩ কোটি ৫৮ লাখ ২২ হাজার ১০৮ টাকা লেনদেন হয়েছে। 

এছাড়া তিন ব্যাংকের চারটি একাউন্টে ৫৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রয়েছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের একাউন্টে ২০ কোটি টাকার এফডিআর, ট্রাস্ট ব্যাংকের একাউন্টে ৯ কোটি টাকার এফডিআর ও সোনালী ব্যাংকের দুটি একাউন্টে ২৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে।

 এমনকি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ফাউন্ডেশনের অনুকূলে দান করা অর্থের ওপর বছরের পর বছর আয়কর মওকুফ করতে বাধ্য করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। এভাবেই রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাট করেন শেখ হাসিনার মেয়ে। 


দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। গত বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দুদকের একজন শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

 এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অটিস্টিক সেল ব্যবহার করে প্রকল্পের নামে ৪৫০ কোটি টাকা লোপাটসহ বেতন-ভাতা বাবদ নিয়েছেন নানা সুবিধা, যা খতিয়ে দেখছে দুদক।

দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেল ব্যবহার করে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে নিজে লাভবান হয়েছেন বলে প্রাপ্ত একটি অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। 

এই অভিযোগের ভাষ্যমতে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে উল্লেখিত ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্য অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি ধানমন্ডির সূচনা ফাউন্ডেশনের অফিসের ঠিকানায় অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব পায়নি দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। 


অভিযান শেষে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, সূচনা ফাউন্ডেশনের কর মওকুফসহ বিভিন্ন অর্থিক অনিয়মের নথি সংগ্রহ করতে দুদক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। 

সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নওশাদ আলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে। রেকর্ডপত্র অনুযায়ী সূচনা ফাউন্ডেশনের অফিশিয়াল ঠিকানা ধানমন্ডি ৫ নম্বর রোডে ৫৪ নম্বর বাড়ি অর্থাৎ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুধা সদনের বাসার ঠিকানায় সূচনা ফাউন্ডেশনের নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। 

গত ৫ আগস্টের গণঅভুত্থানের পর থেকে ওই বাড়ি তালাবন্ধ রয়েছে এবং অভিযানকালে বাড়িতে সূচনা ফাউন্ডেশনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরে বেশ কয়েকটি স্থানে অফিসের কথা বলা হলেও সেখানেও অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের হদিস মিলেনি।

দুদকের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন, রেকর্ডপত্রে সূচনা ফাউন্ডেশনের অফিশিয়াল যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, সেখানে অফিসের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরে প্রতিষ্ঠানটির নামে থাকা রেকর্ডপত্র বিভিন্ন দপ্তর থেকে সংগ্রহ করা হয়।

অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ও বিভিন্ন দপ্তর থেকে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুর সুপারিশসহ কমিশনে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে এনফোর্সমেন্ট টিম। ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কমিশন এটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় এবং দুদকের বিশেষ তদন্ত শাখাকে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দায়িত্ব দেয়। 

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ফাউন্ডেশন ফর নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅ্যাবিলিটিস অ্যান্ড মেন্টাল হেলথের নাম সংশোধন করে সূচনা ফাউন্ডেশন নামে নিবন্ধন (যার নম্বর-৮-০৯১২২) নেওয়া হয়। 

অফিসের ঠিকানা দেখানো হয় ধানমন্ডির ৫ নম্বর (পুরাতন) রোডের ৫৪ নম্বর বাড়ি। সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও-বিষয়ক ব্যুারোর রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। সূচনা ফাউন্ডেশন পরিচালনার জন্য ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদি সাত সদস্যের একটি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। 

কমিটির চেয়ারম্যান হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ভাইস চেয়ারম্যান কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক ডা. মাজহারুল মান্নান, কোষাধ্যক্ষ সাইফুল্লাহ আব্দুল্লাহ, নির্বাহী সদস্য নাজমুল হাসান, শিরীন জামান মুনির ও সামসুজ্জামান। 


সূচনা ফাউন্ডেশনের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরে তার কর্মস্থল গ্রিন লাইফ হসপিাটালে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে জানানো হয়, তিনি অনেক দিন ধরে হাসপাতালে যাচ্ছেন না।

দুদকের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম এনবিআর থেকে এ-সংক্রান্ত এসআরও (যার নম্বর-৮৭-আইন/২০১৬) সংগ্রহ করে। সেই এসআরও অনুযায়ী কোনো করদাতার সম্পূর্ণ আয়ের মধ্য থেকে যে পরিমাণ আয় তিনি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণার্থে সূচনা ফাউন্ডেশনের অনুকূলে দান করবেন, সেই পরিমাণ আয়কে শর্ত সাপেক্ষে আয়কর প্রদান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

এছাড়া অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের একটি এসআরও (নম্বর-২২৪-আইন/আয়কর/২০১৮) অনুযায়ী সূচনা ফাউন্ডেশনের স্থায়ী আমানত ও সঞ্চয়ী ব্যাংক আমানতের ওপর প্রাপ্ত সুদ, কনসালটেন্সি ফি ও গবেষণা ফি বাবদ পাওয়া আয়সহ সব ধরনের আয়ের ওপর পাঁচ বছরের জন্য আয়কর প্রদান অব্যাহতি ঘোষণা করা হয়। উক্ত অব্যাহতি ২০২৩ সালের ১১ জুলাই মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাবেক অর্থ আ হ ম মোস্তফা কামাল আরও পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতির আদেশ জারি করেন। 


দুদকের কাছে থাকা অভিযোগে বলা হয়েছে, সূচনা ফাউন্ডেশনের একটি অডিট রিপোর্ট দুদকের কাছে এসে পৌঁছেছে। সেই অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী সূচনা ফাউন্ডেশনের তিনটি ব্যাংকে মোট সাতটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্যাংকে তিনটি সঞ্চয়ী হিসাবে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ১৩৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯৪ হাজার ৮০৩ টাকা জমা এবং ১২৯ কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলনসহ মোট ২৬৩ কোটি ৫৮ লাখ ২১ হাজার ৫০৮ টাকা লেনদেন হয়েছে। 

এছাড়া তিনটি ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্টে ৫৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রয়েছে। এর বাইরে কয়েকটি ব্যাংক থেকে সামাজিক দায়বদ্ধতার অর্থ সূচনা ফাউন্ডেশনের একাউন্টে গেছে, যা অনুসন্ধান পর্যায়ে খতিয়ে দেখা হবে।

 
দুদকের তথ্যমতে, ২০১৫ সালে স্বেচ্ছাসেবী ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে সূচনা ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটি মানসিক প্রতিবন্ধিতা, স্নায়বিক প্রতিবন্ধিতা, অটিজম এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে। সায়মা ওয়াজেদ এটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ছিলেন। 

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে যান। এরপর নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়।

দুদকের কাছে থাকা অভিযোগে বলা হয়েছে, পুতুল সূচনা ফাউন্ডেশন নামের প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন নেওয়ার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন। এছাড়া তিনি এনবিআরের ওপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে পাওয়া অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন, যাতে সরকারের বিপুল অর্থের ক্ষতি হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেল ব্যবহার করে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে নিজে লাভবান হয়েছেন।

 ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে লেখাপড়া করা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল সাইকোলজিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তার মা শেখ হাসিনা তাকে অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার-বিষয়ক বাংলাদেশ জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব দেন। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য করা হয় তাকে। 

দুদক জানায়, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে সফরসঙ্গী করা হয়। এ ছাড়া, সায়মা ওয়াজেদের ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে প্রদত্ত তথ্যাদি যথাযথ ছিল না। 

তথ্যসূত্র থেকে দুদক আরও জানতে পারে, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে ডব্লিউএইচওর ৭৬তম সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে শতাধিক কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদল উপস্থিত হয়। 

এক্ষেত্রে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিজের পারিবারিক প্রভাব এবং তার নিকটাত্মীয়দের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিপুল অর্থের ক্ষতিসাধন করেছেন। 

ওই অধিবেশনে সংস্থাটির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচিত হন সায়মা ওয়াজেদ। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সেই দায়িত্ব নেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দপ্তর ভারতের দিল্লিতে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে পুতুল সেখানেই আছেন। 


এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাপ্ত ভিন্ন একটি অভিযোগের ওপর পরিচালিত অনুসন্ধানকালে এই মর্মে তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে যে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এবং তার পরিবারিক-রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহারের মাধ্যমে বেআইনিভাবে ঢাকার ‘পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প’-এর ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ (দশ) কাঠা প্লট করায়ত্ব করেন। সে কারণে তার ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!