রমজানে বেড়েছে ছিনতাই

মেহেদী হাসান খাজা

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ০১:১৮ এএম

রমজানে বেড়েছে ছিনতাই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্রথম রমজানে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন গাজী জহিরুল ইসলাম। তিনি বসুন্ধরা থেকে পল্টনের বাসায় ফিরছিলেন। জহিরুল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। ২ মার্চ তিনি অফিস থেকে বের হয়েছেন রাত সাড়ে ১০টার দিকে। 

জহিরুল বসুন্ধরা ও যমুনা ফিচার পার্কের ওভার ব্রিজের নিচ দিয়ে গাড়িতে উঠার জন্য রাস্তা পার হন। রাস্তায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি না পেয়ে, হেঁটেই বাড্ডা রোডের দিকে যেতে থাকেন। ঠিক এমন সময় ৮ থেকে ১০ জন ছিনতাইকারী তাকে ফলো করতে থাকে। 

মুহূর্তেই এক যুবক ও অল্প বয়সি কিশোর প্রথমে তাকে ধাক্কা দেয় এবং ছুরি মেরে দৌড় দেয়। পরে পেছন থেকে ৫ থেকে ৬ জন এসে জহিরুলকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। আশপাশের লোকজন থাকলেও তাকে রক্ষা করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। 

এ সময় ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও নগদ ৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়। জহিরুল জানান, রাজধানীতে ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বেড়েছে, সতর্ক না হলেই জীবন শেষ! এসব দেখার কেউ নেই।

এদিকে বেশ কয়েকদিন আগে মো. নয়ন নামের এক ব্যক্তি প্রতিদিনের মতো কারওয়ান বাজার দিয়ে মিরপুরের বাসায় ফিরছিলেন। নয়ন একটি বেসরকারি ব্যাংকের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। ঘটনার দিন রাতে তিনি অফিস থেকে বের হয়েছেন ৯টার দিকে। 

তখন তিনি রাজধানীর কারওয়ান বাজার মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে গাড়িতে উঠার জন্য রাস্তা পার হন।  রাস্তায় অনেক সময় দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি না পেয়ে হেঁটে ফার্মগেটের দিকে যেতে থাকেন। ঠিক এমন সময় ১০ থেকে ১২ জন ছিনতাইকারী হঠাৎ করে চাকু মেরে দৌড় দেয়। পরে নয়ন খুব ভয় পান। 

তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ছিনতাইকারীরা তাকে জখম করে সবকিছু নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। নয়ন জানান, ঘটনার দিন সেখানে পুলিশ ও আশপাশের লোকজন মাথায় পানি দেন। 

কিছু সময় পর জ্ঞান ফেরে। এরপর ঘটনাস্থলে ডিউটিতে থাকা এক পুলিশ সদস্য তাকে ১০০ টাকা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশে একটি রিকশা ভাড়া করে পঠিয়ে দেন। নয়ন এখন সুস্থ কিন্তু উদ্ধার হয়নি তার খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগে থাকা টাকা।

গাজী জহিরুল ও নয়নের মতো এমন অনেকেই সম্প্রতি ও ৫ আগস্টের পর ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছেন এবং ছিনতাই চক্রের অস্ত্রের আঘাতে অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে। 

ছিনতাই প্রতিরোধই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ: গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকারের সামনে যেসব বিষয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসে তার মধ্যে অন্যতম আইনশৃঙ্খলা রক্ষা। অনেকেই বলেছেন, ছিনতাই প্রতিরোধ অন্তর্বর্তী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ সদস্যরা থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ায় অপরাধ দমন কার্যক্রমে স্থবিরতা এসেছে। নতুন সরকার ঢাকায় পুলিশের জনবলে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। 

পুলিশের সর্বোচ্চ পদ আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পদে পরিবর্তন আনা হয়। তারপরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। দিনে-দুপুরে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ বলছেন রাজধানী ঢাকা এখন ছিনতাইয়ের শহর।

সর্বস্ব কেড়ে নিতে মারমুখী পেশাদার ছিনতাইকারীরা: গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস থেকে রাজধানীতে ছিনতাইকারীরা যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সর্বস্ব কেড়ে নিতে মারমুখী হয়ে উঠছে পেশাদার ছিনতাইকারীরা। গত ৮ মাসে ঢাকায় ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ গেছে ৫০ জনের বেশি মানুষের। গত চার মাসে ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮০০-এর বেশি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ঢাকা নগরী এখন ছিনতাইয়ের পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর, বনশ্রী, বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, শাহজাহানপুর, হাজারীবাগ, চকবাজার, শাহ আলী, এমনকি গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। তবে রমজানের এই কয়েকদিন সন্ধ্যার পর ও শেষরাতে ছিনতাই বেড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।  

ভুক্তভোগীরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিনতাই রোধে নানা পদক্ষেপের কথা বলছে। তবে এখনো দৃশ্যমানভাবে তেমন কিছু দেখা যায়নি। 

পুলিশ সূত্র বলছে, রাজধানীসহ সারা দেশে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে ছিনতাই। পুলিশের দেওয়া তথ্য আর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসব জানা গেছে। কিন্তু ছিনতাইয়ের প্রকৃত ঘটনা অনেক বেশি। যার বেশিরভাগই থানায় নথিভুক্ত হচ্ছে না। 

অধিকাংশ ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করেন না, কেউ কেউ হারানো বলে জিডি করছেন। যখন শারীরিকভাবে জখম, মারধর কিংবা নিহতের মতো ঘটনা ঘটছে, কেবল সেসব ক্ষেত্রে মামলা বা অভিযোগ জমা পড়ছে থানায়।

পুলিশ কঠোর হলেও রমজানে ছিনতাই-চাঁদাবাজি থেমে নেই: এদিকে সোমবার ৪ মার্চ সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত ছিনতাই-ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৫ জনকে আটকের পর ডিবি পুলিশ জানায়, অপরাধীরা পেশাদার চক্র।  

জানতে চাইলে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন বলেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ছিনতাই-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে এবং ছিনতাই-ডাকাতি রোধে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। সেই অভিযান থেকে পেশাদার ৫ ছিনতাইকারীকে ধরা হয়।

একই দিন ৪ মার্চ রমজানের ৩য় দিনে চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতিসহ ৯ মামলার আসামি মো. শরীফকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর ডিএমপির মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পেশাদার ছিনতাইকারী গত সোমবার বিকেলে জনৈক শাওন আহমেদ খান ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলযোগে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে দিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে যাচ্ছিলেন। 

তারা শাপলা চত্বরের সামনে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারী শরীফ মোটরসাইকেল আরোহী শাওনের পেছনের সিটে থাকা তার স্ত্রী সামিয়া আফরোজের সোনার কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। 

এ সময় তাদের চিৎকার শুনে মতিঝিল থানার টহলরত পুলিশ দ্রুত এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারী শরীফ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। টহল পুলিশ তাকে ধাওয়া করে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করে। 

এদিকে উত্তরা দিয়াবাড়ী মেট্রোরেল এলাকায় ৫ দিন আগে রাতের বেলায় ছিনতাইকারীদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া মানিক মোল্যা বলেন, ঢাকায় দিন দিন ছিনতাই বাড়ছে, সতর্ক না হলেই যেকোনো সময় জীবনটা চলে যেতে পারে। ৫ আগস্টের পর এসব ছিনতাইকারী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 

গত ৮ মাসে ২৪০ ছিনতাইয়ের মামলা: পুলিশ সূত্র জানায়, রাজধানীর ৫০টি থানা ও সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত ৮ মাসে এ পর্যন্ত ২৪০টি ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে। এ সময় ছিনতাইকারীর হাতে নিহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তবে সুনির্দিষ্ট করে ছিনতাইজনিত কোনো জিডির তথ্য নেই পুলিশের কাছে। 

পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ববোধ হারিয়ে ফেলছে: ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, গত বছরের (২০২৪ সালের) আগস্ট মাসে পুলিশি কার্যক্রম একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। এখনো পুলিশি কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পুলিশকে আরও সক্রিয় ও বিট পুলিশিং চাঙ্গা করার চেষ্টা চলছে। 

পুলিশের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ৬ বছরে পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০ হাজার ৫৯টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ২ শতাধিক মানুষ মারা গেছেন।

এসব বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেছেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগ ও থানায় করা মামলার প্রেক্ষিতে প্রতিনিয়তই অপরাধীদের ধরা হচ্ছে। 

পুলিশ এসব বিষয়ে কতটা তৎপর এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সার্বক্ষণিক ডিউটিতে থাকছেন পুলিশ সদস্যরা। ঝুঁকিপূর্ণ, জনবহুল ও ছিনতাইপ্রবণ এলাকায় ডিবি পুলিশ কাজ করছে। আবাসিক এলাকার অলিগলিতে টহলে থাকছে থানা পুলিশ। 

র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ প্রতিরোধে প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়ন কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে।  

সংশ্লিষ্ট এলাকার অপরাধপ্রবণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা, বিশেষ করে রাতে টহল কার্যক্রম ও চেকপোস্ট জোরদার রয়েছে। 

বেঁচে থাকার তাগিদে চুরি ও ছিনতাইকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে: এ বিষয়ে অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনার যে বাস্তবতা, মামলা ও গ্রেপ্তার দিয়ে সেই বাস্তবতা বুঝতে পারি না। 

এসব ঘটনায় যে মামলা হওয়ার কথা, সে সংখ্যাও আমরা দেখি না। চুরি, ছিনতাই বা ডাকাতির ঘটনার বাস্তবতা বোঝার ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে থাকা রেকর্ড, জিডি, অভিযোগ, মামলা ও ঘটনাগুলো কীভাবে পুলিশ মোকাবিলা করছে-এমন কয়েকটি প্রক্রিয়ার মতামতকে সমন্বিত করে বিষয়টি বুঝতে হয়।

রাজধানীতে ছিনতাই বাড়ার বিষয়ে এই অপরাধ বিশেষজ্ঞ বলেন, ৫ আগস্টের পরও বর্তমান রমজানেও ছিনতাইপ্রবণ এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল কার্যক্রম সক্রিয় তেমন চোখে পড়েনি। খুব সকালে, গভীর রাতে ও সন্ধ্যা হলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, এই সময়গুলোতে টহল কার্যক্রমের ব্যাপক ঘাটতি আছে। 

বেঁচে থাকার তাগিদে অপরাধীরা চুরি ও ছিনতাইকে পেশা হিসাবে বেছে নিচ্ছে জানিয়ে এই অপরাধ বিশ্লেষক বলেন, চুরি বা ছিনতাইয়ের সাথে এখন যারা জড়িত, এটাকে তারা কাজ বা পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। এসব করেই তাদের আয়-রোজগার হয়। চুরি-ছিনতাই করে তাদের জীবন চলে। 

আগে চুরি-ছিনতাইয়ের প্রসঙ্গে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, মাদকাসক্ত ব্যক্তি বা একেবারে অভাবে পরা লোকজন এসব কাজ করতেন। চুরি-ছিনতাইয়ের মামলায় অভিযুক্ত যারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তারা অল্প সময়ের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছেন। 

তাদের ধারণা, খুব সহজে জামিন পেয়ে যাবেন, তাদের তেমন কোনো সাজা হবে না। এদের পেছনে সিন্ডিকেট ও পৃষ্ঠপোষক আছে। সরকার পরিবর্তন হলেও এরা টিকে আছে, খুব শক্তশালী এদের সিন্ডিকেট। 

এক্ষেত্রে সংশোধনের সুযোগ রেখে আইন পরিবর্তন করা প্রয়োজন। সময়ের পরিক্রমায় চুরি-ছিনতাই বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। নিরাপত্তার বিষয়ে সাধারণ জনগণকে ভাবিয়ে তুলছে। মানুষ এখন আতঙ্ক ও শঙ্কার মধ্যে আছে।

এসব বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, রমজান উপলক্ষে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির অপতৎপরতা রোধে টহল আরও জোরদার আছে। তারপরও কিছু ঘটনা ঘটছে আমরা সতর্ক আছি। কিছু অপরাধী ধরাও পড়ছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!