আগামী ঈদের পর দেশে ফিরতে চান পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতারা। দীর্ঘ ছুটিতে রাজধানী ঢাকায় বড় ধরনের শোডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের। ভারতে আত্মগোপনে থেকে তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে দেশে অবস্থান করা নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, যাতে নেতকর্মীরা সংঘটিত হয়ে শোডাউন দিতে পারেন। বতর্মান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য দায়িত্বশীলরা বারবার অভিযোগ করছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসররা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞ মামলার আসামিরা দেশে ফিরলেই গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে পালিয়ে যান দলটির সভানেত্রী সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত সাত মাসে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের অনেক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন আবার অনেক নেতা চলে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ৫০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী ভারতে রয়েছেন জামাই আদরে।
এর বাইরেও মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে আছেন অনেকে। নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া এসব নেতা কবে দেশে ফিরবেন, তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ভারতে নির্বিঘ্নে জামাই আদরে থেকে বাংলাদেশ ঘিরে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা। দেশকে অস্থিতিশীল করতে কলকাঠি নাড়ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে জানান, আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী সে যেই হোক না কেন, পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে যারা গুজব সৃষ্টি এবং দেশে নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সংঘবদ্ধ হচ্ছে, পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট তাদের ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করছে। যেকোনো ধরনের অপরাধ মোকাবিলায় গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা কাছ করছেন। বিমানবন্দর বা সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তবে সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে, ঈদুল ফিতরের আগমুহূর্ত থেকেই দেশে ফেরা শুরু করবেন তারা। ঈদের ছুটি চলাকালে ফাঁকা ঢাকায় তারা বড় শোডাউন দেওয়ারও পরিকল্পনা করছেন। দলটির বেশ কয়েকজন নেতাও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে সেখানে জামাই আদরে থাকা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সাক্ষাৎকার দিয়ে বলছেন, তাদের মনোবল নষ্ট হয়নি। যেকোনো সময় ড. ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবেন।
বর্তমান সরকার ও প্রশাসনে তাদের বিপুলসংখ্যক সমর্থক রয়েছেন, যাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। সময়মতো তারা ফুঁসে উঠবে এবং আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে দেবে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, জুলাই হত্যা মামলার আসামিরা দেশে ফিরলে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পাকড়াও করা হবে।
সূত্রের দাবি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানা খান কামাল পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কামাল সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে মিলে সরকারের গোপন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন।
সাবেক এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম দলীয় কর্মকাণ্ড দেখভালের পাশাপাশি তাদের একত্র করার কাজ করছেন। পুলিশ বাহিনীতে যে এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে, তারা পুরোপুরি কাজে মনোযোগ দিতে পারছে না, এর পেছনে সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
ভারতের মাটিতে বসে বাংলাদেশকে অগ্নিগর্ভ করে তোলার চেষ্টা করছেন বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। তারা ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টেলিগ্রাম, সিগন্যাল, হোয়াটসআপ গ্রুপসহ বিভিন্ন ডিজিটাল ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছেন।
ড. ইউনূস সরকারকে অকার্যকর ও ব্যর্থ প্রমাণ করতে ছক এঁকে কাজ করছেন। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক অপকর্ম বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী লীগের দোসররা।
এদিকে, পতিত স্বৈরাচারীরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে এমন অভিযোগ করেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ উদ্্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে, যেমনটা আমরা যুদ্ধের সময় ছিলাম। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা বিদেশে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।’
সূত্র জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর হামলা, গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তার আতঙ্কে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি হাজার হাজার নেতাকর্মী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। তাদের একটা বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছেন।
কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাড়াও উত্তরবঙ্গ, দিলি, ত্রিপুরায়ও অনেকে বসবাস করছেন। এর বাইরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ইউরোপের বেলজিয়ামে, সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী লন্ডনে, নারায়ণগঞ্জের আলোচিত-সমালোচিত সাবেক এমপি শামীম ওসমানসহ অনেক নেতা দুবাই, সৌদি আরব, নেপাল, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, লন্ডন, ইউরোপ-আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
তথ্য বলছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন হবে এমন আশঙ্কায় অনেকে আগেই দেশ ছেড়েছেন। আবার কেউ শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন অবৈধ পথে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সেখান থেকে অনেকে অন্যান্য দেশে গেছেন। শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নন, আওয়ামী লীগের মিত্র দলগুলোর নেতা, অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগপন্থি ব্যবসায়ীরাও দেশ ছেড়েছেন। বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাদের ইশারায় অশান্ত হয়ে উঠছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। সংক্রিয় হচ্ছে নিষিদ্ধ সর্বহারা গ্রুপ।
আরেকটি সূত্র বলছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশ থেকে পাচার করা অর্থের একটি অংশ এখন আবার রেমিট্যান্সের আদলে দেশে ফিরে আসছে।
ওই সব অর্থের একটি অংশ সরকারকে চাপে ফেলতে ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওই সব অর্থ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরিতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িক উসকানি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত করার পেছনে আওয়ামী লীগের ভারতে আত্মগোপনে থাকাদের হাত রয়েছে।
ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, ভাড়াটে কিলার, মাদক ব্যবসায়ী, সোনা কারবারি, সীমান্তবর্তী এলাকার চিহ্নিত স্মাগলার, সশস্ত্র সর্বহারা গ্রুপের সদস্যসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের দিয়ে গোপনে কাজ করাচ্ছে।
অস্থিতিশীল করার অংশ হিসেবেই ঈদের আগমুহূর্ত থেকেই দেশে ফেরা শুরু করতে চান তারা। ঈদের ছুটির সময় নগরবাসী ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। ওই সময় ফাঁকা থাকে পুরো রাজধানী। ওই সময় ঢাকায় বড় ধরনের শোডাউন করতে চান বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র।
আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও বাহাউদ্দিন নাছিমের নেতৃত্বে একটি কোর কমিটিও গঠনের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। নানক ভারতে বসে কয়েক দফা ভিডিও বার্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলন সন্ত্রাসী হামলা।
জঙ্গি হামলা করে সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে। ভারতে আত্মগোপনে থেকে দলীয় ও ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচিও ঘোষণা করতে দেখা গেছে পলাতক নেতাদের। নানান সময়ে তারা ড. ইউনুস সরকারের সমালোচনা করছেন। দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, মৌলবাদ বা পাকিস্তানপন্থিরা জোর করে ক্ষমতায় বসেছে এবং দেশকে ধ্বংস করছে ছাত্র-জনতার এই সরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলছে, অবৈধ পথে যারা ভারতের রয়েছেন, তারা অবৈধ পথেই দেশে প্রবেশ করতে চান। আর যারা বৈধ পথে বিদেশে গেছেন, তারা বৈধ পথেই ফের দিশে ফিরতে চান।
গ্রেপ্তারের কথা মাথায় রেখেই তারা দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্র। সূত্র বলছে, দেশে ফিরলে গ্রেপ্তার ও হয়রানি শিকার হতে হবে- এটা আমাদের মাথায় আছে। তারপরও রাজনীতি করতে হলে দেশে ফিরতে তো হবেই। দেশে এলে ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর একটি ছাপ পড়বে বলেও ধারণা তাদের।
এখন অধিকাংশ নেতাই দেশের বাইরে থাকায় কোনো কর্মসূচি দিলে কর্মীরা মাঠে নামছেন না। তাই নেতারা মাঠে থাকলে কর্মীরাও মাঠে থাকবেন।
ভারতে আশ্রয় নেওয়া এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে সবাই দেশে ফিরব, নাকি আলাদা আলাদা দেশে ফিরব, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে একসঙ্গে শীর্ষ সারির সব নেতা গ্রেপ্তার হয়ে গেলে মাঠ গরম রাখা কঠিন হবে। তাই ভাগে ভাগে দেশে ফেরার বিষয়ে মত বেশির ভাগ নেতাকর্মী।
অন্যদিকে সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসও তাদের এক প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ নেতারা দেশে ফিরতে চান বলে জানিয়েছে। অবশ্য ওই প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের একাধিক ডাকসাইটে নেতার সাক্ষাৎকার নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, আওয়ামী লীগ নেতারা আগামী ২৬ মার্চ দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, দলটির হাজার হাজার কর্মী উচ্ছেদের শিকার। তারা খাদ্য কিনতে পারছেন না। তবে তৃণমূল কর্মীদের মনোবল অনেক উঁচুতে। আমরা ভারতের সহায়তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রত্যাশা করছি। সিনিয়র নেতারা মনে করেন, আমাদের সবার ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া উচিত।
পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের সব ইউনিট সতর্ক রয়েছে, যাতে দেশে নতুন করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি জুলাই হত্যাযজ্ঞের আসামি গ্রেপ্তারে একাধিক অপারেশন চলমান রয়েছে।
দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযানে ছাত্র-জনতা হত্যাযজ্ঞে জড়িতরা প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার হচ্ছেন। তাদের রিমান্ডে এনে মানবধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাইবাছাই শেষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করছে এবং বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা রুখতে সর্বাত্মক কাজ করছে।
এ বিষয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দপ্তরের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা রূপালী বাংলাদেশকে জানান, র্যাবের সব কটি ব্যাটালিয়ন সাইবার পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রয়েছে।
নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী দেশে প্রবেশ করতে পারবে না এবং নাশকতায় যুক্তদের সক্রিয় হতে দেওয়া হবে না।