ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

রাতে মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক

শহিদুল ইসলাম রাজী
প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ০১:০৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত

রাত বাড়লেই সড়ক-মহাসড়কে বাড়ে ডাকাত-ছিনতাইকারী আতঙ্ক। প্রায়ই রাতে মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন কৌশলে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট কার থামিয়ে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে লুটে নিচ্ছে নগদ অর্থ ও মালামাল। 

শুধু রাতেই নয়, দিনদুপুরেও সড়কে যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে, গাছ ফেলে হানা দিচ্ছে ডাকাতরা। এ ছাড়া যাত্রীবাহী বাসে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে। প্রতারকরা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ নামে পরিচিত মাদক ‘স্কোপোলামিন’ ব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা। 

গত রোববার সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কোনাবাড়ীতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদল মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীদের মোবাইল ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। সম্প্রতি মধ্যরাতে পাবনার সাঁথিয়ায় গণডাকাতি হয়েছে। 

এর কয়েক দিন আগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজশাহীগামী একটি বাসে ডাকাতির ঘটনায় দুজন নারীকে শ্লীলতাহানি করা হয়। টাঙ্গাইলেই ডাকাতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের পিকনিকের চারটি বাসে। এ অবস্থায় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-রাজশাহীসহ রাতে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসে যাত্রী কমছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের ভবেরচর, কুমিল্লার দাউদকান্দি এবং চৌদ্দগ্রাম এলাকায় গত জানুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ মহাসড়কে চলাচলকারী চালকরা জানিয়েছেন, ডাকাতদের প্রধান টার্গেট ‘প্রবাসীরা’। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুয়া পরিচয়েও ডাকাতি করা হচ্ছে মহাসড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন টোলপ্লাজার হকাররা এবং হাইওয়ের বিভিন্ন হোটেল থেকে তথ্য দিয়েও ডাকাতদের সহযোগিতা করা হয়। ফলে রাতে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের কাছে আতঙ্কের জনপদ এখন মহাসড়ক। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা ও ঢিলেঢালা টহলের কারণেই ডাকাতি-ছিনতাই বাড়ছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। আতঙ্কে সড়ক-মহাসড়কে ক্রমেই রাতে দূরপাল্লার যাত্রী কমছে বলে দাবি করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

তবে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দেশের সব মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশের সমন্বয়ে হাইওয়ে পুলিশ এই নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ৭শর বেশি অতিরিক্ত ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে হাইওয়েতে। 

এ ছাড়া ডাকাত ধরতে ইতিমধ্যে একটি ডাটাবেইস তৈরি করেছে পুলিশ। প্রবাসীদের নিরাপদে বাড়ি ফেরার সুবিধার জন্য একটি সেবামূলক অ্যাপস চালু করছে হাইওয়ে পুলিশ। যার কার্যক্রম দু-এক দিনের মধ্যেই চালু হবে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডাকাতদলের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন পেশায় জড়িত। কেউ গার্মেন্টসে খণ্ডকালীন কাজ করেন। আবার কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন বা অটোরিকশা চালান। এরাই রাতের বেলা হয়ে ওঠেন ভয়ংকর। ফোন করে হুমকি দেন। নিয়মিত মাসোহারা না পেলে গাড়ি থামিয়ে লুট করেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক রুটের এক পরিবহন ব্যবসায়ী বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মদনপুর, কাঁচপুর, সোনারগাঁও ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঘোড়াশাল টোলপ্লাজা থেকে ইটাখোলা মোড় পর্যন্ত পয়েন্টে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। এদের নিয়মিত মাসোহারা দিতে হয়।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-মানিকগঞ্জ, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-পাবনাসহ দেশের সব মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ সদর দপ্তরের উচ্চপর্যায়ে কয়েক দফা বৈঠকের পর ঈদ সামনে রেখে গত কয়েক দিন ধরেই বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া শুরু হয়েছে। 

মহাসড়কের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।

গত ৯ মার্চ রবিবার রাতে সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কোনাবাড়ীতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদল মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীদের মোবাইল ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। 

পুলিশ জানায়, রাতে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে একটি মাইক্রোবাসে করে রাজশাহী ফিরছিল শিক্ষকদের একটি দল। 

মাইক্রোবাসটি যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের কোনাবাড়ীর ধান এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতদল মাইক্রোবাসের পেছনে পাথর মারলে বিকট শব্দ হয়। 

এ সময় শব্দ শুনে মাইক্রোবাসের চালক গাড়ির চাকা পাংচার হয়েছে ভেবে তা চেক করার জন্য রাস্তার সাইডে গাড়ি দাঁড় করান। মুহূর্তের মধ্যে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ৭-৮ জনের ডাকাতদল হাতে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড জাতীয় অস্ত্র নিয়ে গাড়ির সামনে এসে যাত্রীদের সবার কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীরা যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত এক মাসে এই মহাসড়কে আরও দুটি যাত্রীবাহী প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এক মাসের ব্যবধানে পর পর তিনটি ডাকাতির ঘটনায় যাত্রী-চালকদের কাছে আতঙ্কের জনপদ বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের মহাসড়ক।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার গভীর রাতে পাবনা-সাঁথিয়া আঞ্চলিক সড়কের ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে বাস-ট্রাকে গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১৫টি গাড়িতে ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখে ডাকাতদলের সদস্যরা। এতে কিছু সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার ও হাইয়েস মাইক্রোবাসসহ প্রায় ৪০টি গাড়ি আটকে পড়ে। 

এ সময় ২০ থেকে ৩০ জন হাঁসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে ডাকাতি চালায়। গাড়ির গেট খুলতে দেরি করায় কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। এ সময় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ তাণ্ডব চলে বলে জানা যায়।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফালগুনকরা এলাকায় প্রবাসী চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জের নাইমুল ইসলামের সর্বস্ব কেড়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। একই এলাকায় গত ১ মার্চ শনিবার ভোরে ডাকাতের কবলে পড়েন দাগনভূঞা থানার মালয়েশিয়াপ্রবাসী মো. বেলাল আহমেদ। 

জানা গেছে, মহাসড়কে চৌদ্দগ্রাম অংশে দুই মাসে আরও চারটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী প্রবাসী বেলাল আহমেদ জানান, পিকআপ ভ্যানে করে এসে পরিকল্পিতভাবে তাদের প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেওয়া হয়। এতে রাস্তার পাশে ছিটকে যান তারা। এরপর তাদের গাড়ির গ্লাস ভেঙে ডাকাতি করা হয়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোর সোয়া ৪টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শিক্ষা সফরের চারটি বাস ডাকাতির কবলে পড়ে। এ সময় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে নাটোরের একটি পার্কের উদ্দেশে যাচ্ছিল শিক্ষা সফরের দলটি। সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতদল বাসগুলোতে থাকা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুঠোফোন, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় মাসে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় ১৬টি মামলা হয়েছে। তবে সড়কে ডাকাতির প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। অনেকেই ঝামেলা এড়াতে মামলা করছেন না। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাতে ডাকাত আতঙ্কে কমেছে যাত্রীসংখ্যা। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাস মালিকরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাস বন্ধ ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।

যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কে ডাকাতি-ছিনতাই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। যার কারণে ক্রমেই যাত্রীসংখ্যাও কমে আসছে। 

আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। সড়কেও এখনো পুলিশ সক্রিয় হতে পারেনি। এ কারণে এবার ঈদকে কেন্দ্র করে এ সেক্টর অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ধাক্কার মুখোমুখি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদে ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজার আছে এ সেক্টরে। সেটি নেমে ৩০ হাজার কোটি অর্থাৎ অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।

এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, সম্প্রতি মহাসড়কে বেশ কিছু ঘটনার পর চেষ্টা করা হচ্ছে ডাকাতির ঘটনা কমিয়ে আনার। 

ডাকাত ধরতে একটি ডাটাবেইস তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক ডাকাত ও সন্ত্রাসী জামিন পেয়েছে। তাই আমরা ১ হাজার ৪৪০ জনের একটি তালিকা করেছি, তাদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা ও থানাকে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। যাতে তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান চালানো যায়। 

মহাসড়কে প্রবাসীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য একটি হেল্পডেক্স চালু করা হয়েছে। এই হেল্পডেক্স থেকে একজন প্রবাসী রাত্রিকালীন তার বাড়িতে যাওয়ার পথে হাইওয়ে পুলিশের অফিসারদের নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়। 

এসংক্রান্ত একটি অ্যাপস দু-এক দিনের মধ্যেই চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে যাত্রী মহাসড়কে টহল টিমের দূরত্ব সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং পুলিশের টহল টিমও ওই যাত্রীর লোকেশন দেখতে পাবেন। 

প্রবাসী যাত্রী বাড়িতে পৌঁছে অ্যাপ থেকে শেয়ার লোকেশন অফ করে দিলে আমরা আর তাকে ট্যাগ করতে পারব না। এই অ্যাপসটা শেয়ার করার পর আমরা জেলা পুলিশকেও হাইওয়েতে নিয়ে আসছি। জেলা পুলিশের সমন্বয়ে হাইওয়ে পুলিশ এই নিরাপত্তা দেবে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের টার্গেট যেকোনো পরিস্থিতিতে মহাসড়ক নিরাপদ রাখা। মানুষ যাতে নিরাপদে স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারে তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা ও টহল বাড়াতে ৭০০ অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হয়েছে। 

এদের পেট্রোলিংয়ের জন্য যে পরিমাণ গাড়ি দরকার, তা ভাড়ায় নেওয়া হবে। আমরা গাড়ি ভাড়ার রিমাইন্ডারও দিয়েছি। গত শনিবারের পর থেকে আজ পর্যন্ত খুব বড় রকমের কোনো ঘটনা মহাসড়কে ঘটেনি। আশা করছি, এখন থেকে মহাসড়কে যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হবে। 

তবে পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, হাইওয়ে পুলিশে এখনো জনবল সংকট, যানবাহন সংকট, রাস্তার নানামুখী সমস্যা, সিসি ক্যামেরা নষ্ট, পুলিশের মধ্যে এখনো ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করার কারণে পুরো নিরাপত্তা দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, মহাসড়কে যেসব জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেসব জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করছে। তিনি বলেন, রমজান ও ঈদ ঘিরে ডাকাতি আর ছিনতাই রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

হাইওয়েতে ডাকাতির রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে রাজশাহী জোনেই ডাকাতির সংখ্যাটা একটু বেশি। টাঙ্গাইলেও বেশি হয়। তবে ডাকাতি যেন না হয়, সে জন্য ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ইন্সট্রাকশন দিয়েছি। তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি তৎপর হচ্ছে।