ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

ছাত্রদলের ট্যাগ লাগাতে কোটি টাকার মিশন!

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ০৯:৩১ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ফেসবুকে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী পোস্ট, লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করলেই ফোনে বা সরাসরি ডেকে হুমকি দেওয়া এবং পোস্ট না মুছলে নেমে আসত নানান নির্যাতন। এসব অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, তিনি হলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম। 

তিনি ৫ আগস্টের আগপর্যন্ত পতিত আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর হয়ে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন। সঙ্গে নিজের আখেরও গুছিয়েছেন। গত দেড় দশক ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়া নাজমুল ক্ষমতার পট পরিবর্তনে ছাত্রদলের ট্যাগ লাগাতে কোটি টাকার মিশনে নেমেছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক তিনজন শীর্ষনেতা রূপালী বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন, নাজমুল বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার নেতা বা সক্রিয় কর্মীর প্রত্যায়নপত্র নিতে কোটি টাকা খরচ করতে চান। টাকা অঙ্কে প্রত্যায়নপত্রের মূল্য ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ৫ আগস্টের পর ছাত্রদলের নেতা পরিচয় ও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। শোবিজ জগতের সুন্দরী নায়িকা-মডেল শিকার করে বেড়াতেন নাজমুল। তাদের জোপরপূর্বক নিজে এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিছানাসঙ্গী হতে বাধ্য করতেন। নাজমুলের প্রতারণার এক ভয়ংকর অধ্যায় সামনে এসেছে।

আওয়ামী পুলিশ লীগের সক্রিয় সদস্য নাজমুল সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এসবির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিআইজি হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার সিন্ডিকেটের অন্যতম অনুসারী ছিলেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে দমন-পীড়ন ও নির্যাতনে ব্যবহার করতেন এই নাজমুল। 

ফেসবুকে খুঁজে খুঁজে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মামলা দেওয়া ও গ্রেপ্তার করতেন। নাজমুলের নির্যাতনের শিকার অসংখ্য। ভয়ে এদের অধিকাংশ মুখ খোলার সাহস পেতেন না। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া ও অর্থ দাবিসহ ভুক্তভোগীদের হুমকি-ধমকির একাধিক অডিও রেকর্ড এই প্রতিদেককের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক মিথ্যা মামলার বাদী বানানোর অভিযোগও রয়েছে নাজমুলের বিরুদ্ধে।

গত দেড় দশকে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের নানান অপকর্ম ও দুর্নীতি নিয়ে সরব ছিলেন, তাদেরই টার্গেট করে বিভিন্ন কৌশলে দমন করত নাজমুলের নেতৃত্বাধীন সিটিটিসির ইউনিট। অথচ নাজমুল নিজেই বিপুল অবৈধ্য সম্পদের মালিক হয়েছেন। শুধু শারীরিক নির্যাতনই নয়, কেড়ে নেওয়া হতো আর্থিক স্বাধীনতাও। 

একাধিক মামলা দিয়ে আদালতের বারান্দায় দৌড়ঝাঁপ দেওয়াতেন। সরকারবিরোধী ফেক ডকুমেন্ট তৈরি করে আদালতে জমা দিতেন। এডিসি নাজমুল ও তার বাহিনী ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনলাইনে উপার্জন করা ব্যক্তিদের টার্গেট করত। সামান্য সরকারবিরোধী পোস্ট পেলেই তাদের তুলে আনত, নির্যাতন করত আর তাদের ডিভাইস ও টাকা ভাগাভাগি করে নিত। প্রথমে গুম করে রাখতেন, এরপর দিনের পর দিন রিমান্ডে নিতেন। একসময় জোরপূর্বক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে বাধ্য করতেন।

বিনোদন জগতেও নাজমুল আতঙ্ক কাজ করত। কারণে অকারণে নায়িকা-মডেলদের ফোন করে দেখা করতে বলতেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের প্রভাবশালীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে বাধ্য করতেন। নাজমুলের কথা না শুনলে তাকে নানা হয়রানির শিকার হতে হতো। 

নাজমুলের ফেসবুক প্রোফাইলে হোটেল-রেস্টুরেন্টে তোলা বিনোদন জগতের অংসখ্য তারকার সঙ্গে সেলফি বা ছবি এখনো রয়েছে। রাত-বিরাতে নায়িকা-মডেলদের সঙ্গে হোটেলে সময় কাটানো এবং লংড্রাইভে যেতেন এমন ছবিও রয়েছে। নাজমুল সিন্ডিকেটের কয়েকশ কোটি টাকার বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ আছে। 

বহু নিরীহ উঠতি ফ্রিল্যান্সারকে টার্গেট করে মামলায় ফাঁসিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের একাউন্ট হাতিয়ে নিয়ে এসব বিনিয়োগ সে নিজের করে নিয়েছে। তার বেটিং সাইট আছে ‘ ক্রিকএক্স’, সাবেক আইজিপি বেনজীরের সঙ্গেই সাইটটি চালাতেন।

২০২২ সালের ২২ নভেম্বর। ঢাকা থেকে দিল্লিগামী একটি বিমানে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ছয় মাস বয়সের এক শিশু। কেবিন ক্রু তাৎক্ষণিক মেডিকেল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করলে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে এগিয়ে আসেন ওই ফ্লাইটের যাত্রী ডা. আহমেদ জোবায়ের। তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় সেই শিশুর জীবন।

বিমানে শিশুর জীবন বাঁচানোর এই খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। খবর প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে ডা. আহমেদ জোবায়েরের সুনাম,  হয়ে ওঠেন ব্যাপক জনপ্রিয়। সেই জনপ্রিয়তাই কাল হয়ে দাঁড়ায় উদীয়মান তরুণ এই চিকিৎসকের জন্য। এ ঘটনার কিছুদিন পরই আহমেদ জোবায়ের দেখতে পান তার নাম ব্যবহার করে কেউ একজন ফেক ফেসবুক আইডি পরিচালনা করছে। 

অনুসন্ধান করে তিনি বের করেন, এর মূল হোতা তার সাবেক স্ত্রীর বান্ধবী এবং তারই প্রতিবেশী ফারজানা সাকি। এ ঘটনায় ফারজানার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ডা. জোবায়ের। এতে ক্ষুব্ধ হন ফারজানা। নিজেকে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জাব্বারের বান্ধবী দাবি করে হুমকি দিতে থাকেন বাদীকে। 

একপর্যায়ে মন্ত্রীর অনুরোধে ডাক্তার জোবায়েরকে মিন্টো রোডের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে ডেকে আনেন পুলিশের বিশেষ এই সংস্থার তৎকালীন এডিসি নাজমুল ইসলাম। সেই থেকে ডাক্তার জোবারের জীবনে নেমে আসে ভয়ানক অন্ধকার। এখানেই শেষ নয়, ডা. জোবায়েরকে ফাঁসাতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প বানাতে থাকেন নাজমুল। ভুয়া মামলা আর গ্রেপ্তার-নির্যাতনের পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার ছড়িয়ে পুরো ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয় জোবায়ের পরিবারকে।

এতক্ষণের গল্প একজন জোবায়েরের হলেও নাজমুলের নির্যাতনের শিকার মানুষের সংখ্যা এক-দুজন নয়। শুধু তার দৃষ্টিতে অপরাধী কোনো ব্যক্তির ফেসবুক বন্ধু হওয়া বা আওয়ামীবিরোধী পোস্টে লাইক-কমেন্ট করার অপরাধেও অনেকের জীবন দুঃসহ করে দিয়েছিলেন এডিসি নাজমুল। টাঙ্গাইলের যুবক মো. ওয়াসিম থাকেন কাতারে। 

তার অভিযোগ, রাজধানীর একটি কলেজে পড়ুয়া তার প্রেমিকাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করতেন নাজমুল। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় ওয়াসিমকে নানান হয়রানির পাশাপাশি ইন্টারপোল দিয়ে গ্রেপ্তার করান এডিসি নাজমুল। হারুন-মনিরের মতো ডিবি পুলিশের আরেক দানব ছিলেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম। 

শুধু বিএনপি-জামায়াতপন্থি কোনো আইডি লাইক কমেন্ট দেওয়ার অপরাধেও অনেক মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। আছে নারীর ফেসবুক আইডি দিয়ে ফাঁসানোসহ অহরহ অভিযোগ। সম্মানিত ব্যক্তিদের ধরে এনে সাইবার বুলিংয়ের মামলা সাজিয়ে হেনস্তাও করতেন নাজমুল।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট মূলত বিরোধী দলের ভয়েস দমন এবং জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করার অন্যতম বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম অন্যতম কারিগরদের একজন। 

মনিরুল, আসাদুজ্জামান, হারুনদের বিভিন্ন নাটক মঞ্চায়নের মূল কারিগর এরাই! অতিরিক্ত কমিশনার আলিমুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ, ওসি নাজমুল নিশাত! সিটিটিসিতে নিরস্ত্র ওসি যারা ছিলেন, তারা মূলত মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নামে নাটকের স্ক্রিপ রাইটার থাকতেন। তারা তাদের ইচ্ছেমতো যাকে যেভাবে খুশি সেভাবেই উপস্থাপন করতেন। 

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম ৫ আগস্টের পরে পালিয়ে থাকলেও পরবর্তী সময়ে কাজে যোগদান করেই ভাগিয়ে নিয়েছেন পদন্নোতি! হয়ে যান পুলিশ সুপার। যোগ দেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটি-অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস বিভাগ) হিসেবে। ফেব্রুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হওয়ার পর ওএসডি করে বরিশালে বদলি করা হয়। তবু সেখানে যোগদান করেননি তিনি। গতকাল পর্যন্ত ডিএমপিতে কর্মরত রয়েছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন রূপালী বাংলাদেশকে।

আওয়ামী লীগের সময় ক্ষমতার এত অপব্যবহারের অভিযোগ থাকলেও ৫ আগস্টের পর নিজেকে বিএনপি সাজিয়ে পদৌন্নতিও বাগিয়ে নিয়েছিলেন এডিসি নাজমুল। তারপর আবারও হয়রানি করতে থাকেন পূর্বের আসামিদের। 

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে উত্তরার পোশাক ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান বাদী হয়ে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন ও ৭৬টি চেকে জোর করে সই নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (উত্তর) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল হকসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেন।

নাজমুলের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার এবং দুর্নীতবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলেই নেমে আসত নির্যাতন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংবাদকর্মী বলেন, “নাজমুল নিজে লাঠি দিয়ে আমার ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছিল। 

আমি বেহুঁশ হয়ে গেলে আমার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়, কিচ্ছুক্ষণ পরে জ্ঞান ফিরলে আবারও পেটাতে শুরু করত। আমার হাত, পা, পিঠ, বুক- কোনো অংশই বাদ যায়নি তার হিংস্রতার হাত থেকে। একপর্যায়ে সে আমার পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে করতে বলছিল, ‘তার সত্যি বলার নেশা কেটে যাবে! আর লিখবি? আর ফেসবুকে পোস্ট দিবি?’ তার চোখে ছিল একধরনের বিকৃত আনন্দ, যেন একজন নিরপরাধ মানুষের ওপর এই অমানবিক নির্যাতন করে সে এক পরম তৃপ্তি পাচ্ছিল। 

আমি ভাবছিলাম, মানুষ মানুষকে এতটা নির্যাতন করতে পারে? মনে মনে আল্লাহ্র কাছে আকুতি করছিলাম। আমার দেহের প্রতিটি কোষ সেই ব্যথার সাক্ষী হয়ে আছে। এতটাই মারধর করা হয়েছিল যে কয়েক দিন আমি নড়তে পর্যন্ত পারিনি। কোমরের নিচ থেকে হাঁটুর ওপর পর্যন্ত এমনভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল যে আমি বসতেও পারতাম না। নামাজ পড়তে হলেও হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে পড়তাম। কিন্তু আমার মনোবল ভাঙেনি।”

এদিকে গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসিফ সৈকতের এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, নাজমুল কয়েকশ কোটি টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েনে বিনিয়োগ করেছেন, যা তিনি অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নাজমুল উঠতি ফ্রিল্যান্সারদের টার্গেট করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিতেন। 

এরপর সেই অর্থ তিনি নিজের ক্রিপ্টো বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করতেন। পোস্টে আরও বলা হয়েছে, এডিসি নাজমুল ক্রিকএক্স নামে একটি বেটিং সাইট পরিচালনা করতেন এবং সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের সঙ্গে এটি চালাতেন। বাংলাদেশে বেটিং অবৈধ হলেও কীভাবে এই ব্যবসা চালানো হয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

এই গুরুতর অভিযোগ সম্পর্কে এখনো পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এই অভিযোগের সত্যতা কতটুকু, তা তদন্তের দাবি রাখে। 
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘পেশাগত জীবনে নিয়মের বাইরে কোনো কাজ করিনি। আমার কোনো দলীয় পরিচয় নেই, আমি সরকারি চাকরি করি। আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে মামলা দেওয়া হচ্ছে বা মিডিয়ায় কথা বলছে অনেকে।’