কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের চরমপন্থি সশস্ত্র সংগঠন আরসার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে দীর্ঘদিন। বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ায় সেই ঝুঁকি আরও বেড়েছে। আরসার সন্ত্রাসী কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলোতে আরসার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ বলছে র্যাব-পুলিশ। আরসার গোপন আস্তানায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গেরিলা ট্রেনিংও দিয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা সিংহভাগ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আরসা সদস্যরা।
আর এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গত কয়েক বছরে খুনোখুনি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে। এ ছাড়া তারা রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করে আসছে বলে জানা যায়।
এদিকে, গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ বা আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার খবরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়ায় আশ্রয়শিবিরের আনন্দ উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ এবং তারাবি নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদে রোহিঙ্গারা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। এ ঘটনার আগে-পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি তৎপরতার কথা বলছেন। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে জুনুনিসহ সবাই অব্যাহতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব ও পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপ আরসার প্রশিক্ষণ। অস্ত্র তৈরি, আত্মগোপন, মিটিংসহ নানা কর্মকাণ্ড সেখানে সংগঠিত হয় রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন পাহাড়ে। বিশাল এই জনগোষ্ঠীতে আরসা, আল-ইয়াকিনসহ অন্তত ১৫টি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন সক্রিয়।
মূলত আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্প দখল করে রাজত্ব কায়েম করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে এসেছে শুরু থেকে। এ পর্যন্ত তাদের কয়েকশ নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন। আটক করলেও তারা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তার কারণ তাদের রোহিঙ্গা সরকার মদদ দিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যাবাসন বন্ধ রাখার জন্য মিয়ানমার সরকার তাদের ব্যবহার করে যাচ্ছে, যে কারণে তারা এতটা শক্তিশালী। গত ৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন করে সংগঠিত এবং নাশকতা করার চেষ্টা করছে আরসা।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ বা আরসা) প্রধান গ্রেপ্তার ইস্যুতে কোনো তথ্য পায়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি পুলিশকে দেখার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হাসান। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
অন্যদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র থেকে জানা গেছে, উপর মহলের সিদ্ধান্ত না আসায় আরসাপ্রধান গ্রেপ্তার ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেনি মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ নিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে প্রক্রিয়া চলমান বলে জানা গেছে।
কক্সবাজাররের আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা নেতারা জানান, গ্রেপ্তার আতাউল্লাহকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আশ্রয়শিবিরে মজুত রাখা বিপুল ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদের সন্ধান মিলবে। শনাক্ত হবে অস্ত্র ও অর্থের জোগানদাতা। আতাউল্লাহকে গ্রেপ্তারের খবরে আশ্রয়শিবিরে লুকিয়ে থাকা আরসার কয়েকশ সদস্য আত্মগোপনে চলে গেছেন।
আরসাকে ঠেকাতে এতদিন মিয়ানমারের আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশনসহ (আরআরএসও) ১১টির বেশি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনী একাট্টা ছিল। এখন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে। আশ্রয়শিবিরে খুনখারাবি বেড়ে যেতে পারে। আশ্রয়শিবির থেকে সন্ত্রাসীরা যেন পালাতে না পারেন, সে জন্য তল্লাশিচৌকিতে তৎপরতা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরসার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার করাতেই আরসা দুর্বল হয়ে পড়বে এমন যুক্তিও ঠিকবে না। এই চরমপন্থি দলে আরও অনেক সদস্য ও সমর্থক রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ তাদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে থাকে। রোহিঙ্গাদের অধিকারের জন্য লড়াই করার দাবি করে আরসা রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস অর্জন করে।
পরে বেরিয়ে আসে তারা আরসা মিয়ানমারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। যারা প্রত্যাবাসনের কথা বলছেন তাদের হত্যা করা হচ্ছে। তাই আরসার ওপর তাদের আর বিশ্বাস নেই।
শুরুতে আরসা সম্পর্কে অন্ধকারে থাকলেও দিনের পর দিন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলোতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরস্পরের মধ্যে হামলা, গুলি, হত্যার ঘটনা বাড়তে থাকায় এবং বিপুল পরিমাণ মাদকসহ রোহিঙ্গা ও তাদের প্ররোচনায় স্থানীয়দের আটক বা গ্রেপ্তারদের মধ্য দিয়ে এই চরমপন্থি সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে শুরু করে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গোয়েন্দা ও সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সূত্রগুলো জানায়, দুই বছর আগেও আরসাপ্রধান আতাউল্লাহর অবস্থান ছিল পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায়। সেখান থেকে মাঝেমধ্যে উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এসে খুনখারাবিতে লিপ্ত থাকতেন।
এক বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাত-লড়াই শুরু হলে তিনি দলবল নিয়ে রাখাইন রাজ্যে গিয়ে আস্তানা গাড়েন। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে জোট বেঁধে আরসার সদস্যরা আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়তে থাকেন। আরসার আগের নাম ছিল আল ইয়াকিন বা ইসলামি সংগঠন।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিয়ে কাজ করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। ২০১৩ সালের দিকে সংগঠনের নাম পাল্টে রাখা হয় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা, যদিও দলের একাংশ এখনো আল ইয়াকিন নামেই পুরোনো সংগঠনকে আকড়ে ধরে আছে। আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি সে সময়ে হন স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার ইন চিফ।
রোহিঙ্গা নেতারা জানান, ২০১৮ সালের দিকে পুরো আশ্রয়শিবিরের নিয়ন্ত্রণ ছিল আরসার হাতে। সাধারণ রোহিঙ্গারাও আরসাকে নানাভাবে সহযোগিতা দিত। কিন্তু রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে বিপাকে পড়ে আরসা। এর ফলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সমর্থন হারাতে থাকে তারা।
এখন আরসা আশ্রয়শিবিরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছিল। আতাউল্লাহসহ আরসার কয়েকজন শীর্ষনেতা গ্রেপ্তারের খবরে আশ্রয়শিবিরে থাকা আরসা সন্ত্রাসীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁরা পালানোর চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে আরএসওসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা আরসার সন্ত্রাসীদের পালানো ঠেকাতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
তাতে আশ্রয়শিবিরে নতুন করে সংঘাত-হানাহানি দেখা দিতে পারে। সরকার বিভিন্ন সময় বলে আসছিল যে বাংলাদেশে আরসার কোনো তৎপরতা নেই। কিন্তু কোনো না কোনোভাবে যে তারা বাংলাদেশে সক্রিয় আছে এবং বিপদ ঘটানোর সামর্থ্যও যে তারা রাখে তার প্রমাণ মিলেছে।
২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের কাছে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদী। ওই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আরসার প্রধান আতাউল্লাহ।
এ ছাড়া আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার আসামি আতাউল্লাহ। তিনি ওই খুনের নির্দেশদাতা ছিলেন বলে আদালতের জবানবন্দিতে জানিয়েছেন ওই মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি। আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালংয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় করা মামলায় ২০২২ সালের ১৩ জুন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে বলা হয়, আরসার প্রধান আতাউল্লাহর নির্দেশে সংগঠনের ৩৬ সদস্য পরিকল্পিতভাবে মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করেন। বর্তমানে মামলাটি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।
৪৮ বছর বয়সি আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি, যিনি সাধারণত আতাউল্লাহ বা আতা উল্লাহ নামে পরিচিত- তাকে কেউ কেউ ‘মুজাহিদ’, আবার অনেকে ‘দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচনা করেন। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান নেতা আতাউল্লাহ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আরসার কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যে সক্রিয় রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরসার নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে এবং নতুন নেতৃত্বের অধীনে সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। আতাউল্লাহর গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা সম্প্রদায় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় ঘটনা আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, যার নেতৃত্বে আরসা সংগঠনটি গঠিত হয়েছে এবং বহু হামলা পরিচালিত হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন ও মিয়ানমার সরকারের অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তার সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। গত মঙ্গলবার তার গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তবে এটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনতে কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
পুলিশ, র্যাব ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৪ সালে আশ্রয়শিবিরগুলোতে ৬৮টি সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৬৭ রোহিঙ্গা নিহত হন। অধিকাংশ খুনের ঘটনা আরসার সঙ্গে আরএসও এবং রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন বাহিনীর মধ্যে। সংঘর্ষে আরসার ২৭ জন ও আরএসওর ৭ জন নিহত হন।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজে) এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আতাউল্লাহর সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কিছুদিন পর তিনি সৌদি আরব ত্যাগ করেন।
মিয়ানমার সরকারের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় যে, আতাউল্লাহ পাকিস্তানে তালিবানের অধীনে ছয় মাস ধরে আধুনিক গেরিলা রণকৌশলের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আইসিজির প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয় যে, তিনি পাকিস্তানে বা অন্য কোথাও গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে কিছু আলামত রয়েছে। এ ছাড়াও, আরসার কিছু সদস্য আইসিজিকে জানিয়েছে যে, আতাউল্লাহ লিবিয়াতেও অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
আরসার কাছে ট্রেনিং নিয়েছে জঙ্গিরা: মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরসার কাছে ট্রেনিং নিয়েছে বাংলাদেশের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়র কিছু সদস্য। ট্রেনিং শেষে আত্মগোপনের জন্য তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প বেছে নেয়। আত্মগোপনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা যুবকদের দলে টানার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার দুই জঙ্গি এ তথ্য দেয়।