শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এসব প্রকল্পের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ২৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে একই সময়ে বাস্তবায়নের হার ছিল ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের এডিপি অগ্রগতির হার প্রায় ৮ শতাংশ (৭ দশমিক ৮৮)।
এই ৯ প্রকল্পে এডিপি বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। তবে হাজার কোটি টাকারও বেশি কমিয়ে পরবর্তীতে সংশোধিত এডিপি বরাদ্দ ধরা হয় ১ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। সংশোধিত বরাদ্দ থেকে চলতি বছরের আট মাস পর্যন্ত ১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা ছাড় করা হয়। যা সংশোধিত মোট বরাদ্দের ৫৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। এর মধ্যে গত আট মাসে ব্যয় হয়েছে ৬৫১ কোটি টাকা। যা সংশোধিত বরাদ্দের ২৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।
৯টির মধ্যে ৪টি প্রকল্পের মেয়াদ সম্পূর্ণ হলেও শতভাগ কাজ শেষ হয়নি। তাই এসব প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে মেয়াদ সম্পূর্ণ না হলেও একটি প্রকল্প শেষ করার জন্য মাউশি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অন্য প্রকল্পগুলো নির্ধারিত মেয়াদ অনুযায়ী চলমান।
মাউশির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইং গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এডিপি সভায় চলতি অর্থবছরে চলমান প্রকল্পের বাস্তব ও আর্থিক অগ্রগতি উপস্থাপন করে। উপস্থাপিত পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটি দীর্ঘ সময় প্রকল্পের কাজে তেমন গতি ছিল না। ফলে প্রকল্পের অগ্রগতিতে প্রভাব পড়েছে। বর্তমানে দুটি ছাড়া অন্য প্রকল্পগুলো ভালোভাবে চলছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রকল্পগুলোর আরএডিপি বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে মাউশির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইংয়ের পরিচালক প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, সভায় ৯টি প্রকল্প নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
মাউশি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সব প্রকল্পের মধ্যে আমাদের অবস্থান ভালো। বর্তমানে দুটি প্রকল্প সেসিপ ও নান্ড বন্ধ রয়েছে। এগুলোর রিভিশন চলছে।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প: এই প্রকল্পটি ১৫০০ কলেজ নামেই বেশি পরিচিত। প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৫৬৮৬০ লাখ টাকা।
এডিপি বরাদ্দ ছিল ৪০০০০ লাখ টাকা। আরএডিপিতে এ বরাদ্দ অনেক কমিয়ে করা হয় ১১৮৩৩ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ব্যয় হয়েছে ৯৪৬৩ লাখ টাকা। বিগত অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে অগ্রগতির হার প্রায় ২ শতাংশ কম। বিগত বছর অগ্রগতির হার ছিল ২৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
চলতি বছর ২৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৪৬৮৮৯৬ লাখ টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষের আগে একযুগ সময় পার হলেও প্রকল্পের ১৬ শতাংশ কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রজেক্ট এক্সিকিউটিভ কমিটি (পিইসি) সভার কার্যবিরণী মোতাবেক রি-কাস্ট সম্পন্ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবটি (ডিপিপি) সংশোধনের (তৃতীয়) জন্য বিগত ১০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ): এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন সময় ছিল ২০১৪ সালের জুলাই থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৩৮২৬৯২ লাখ টাকা। এডিপি বরাদ্দ ছিল ১২৮৫০ লাখ টাকা। সংশোধিত এডিপিতে অনেক কমিয়ে বরাদ্দ হয় ৮৫২৫ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ব্যয় হয়েছে ৬৪২৫ লাখ টাকা। বিগত অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে অগ্রগতির হার প্রায় ৯ শতাংশ বেশি। বিগত বছর অগ্রগতির হার ছিল ২১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। চলতি বছর এ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। প্রকল্পে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৩৬১১৭৮ লাখ টাকা।
১০ বছর মেয়াদ শেষ হলেও এখনো প্রকল্পের ৬ শতাংশ কাজ বাকি। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ডিপিপি (চতুর্থ) সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা শহর সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প : এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৫০৪০ লাখ টাকা। এডিপি বরাদ্দ ছিল ১২১৫০ লাখ টাকা। আরএডিপিতে এ বরাদ্দ কমিয়ে করা হয় ১০৩৫৩ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ব্যয় হয়েছে ৩৯৩৬ লাখ টাকা। বিগত অর্থবছরে এই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে অগ্রগতির হার প্রায় ৩২ শতাংশের বেশি। বিগত বছর অগ্রগতির হার ছিল ০ দশমিক ৩১ শতাংশ। চলতি বছর অগ্রগতি ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ২৭২৮২ লাখ টাকা।
৭ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এই প্রকল্পের ৬৩ শতাংশ কাজ এখনো শেষ হয়নি। স্বাভাবিক কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে। প্রকল্প পরিচালকের তথ্য থেকে জানা গেছে, ইতিমধ্যে সংশোধিত প্রকল্প দলিল পরিকল্পনা উপদেষ্টা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। পরবর্তী একনেকে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প: এই প্রকল্পটি ৩২৩ স্কুল নামেই বেশি পরিচিত। প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৩৪২০০ লাখ টাকা। এডিপি বরাদ্দ ছিল ৬০০০০ লাখ টাকা। আরএডিপিতে এ বরাদ্দ কমিয়ে করা হয় ৩৩৩৭৪ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ব্যয় হয়েছে ২৯৯২৮ লাখ টাকা। বিগত অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে অগ্রগতির হার প্রায় ২৪ শতাংশ বেশি। বিগত বছর এই হার ছিল ২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
চলতি বছর এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ১০৭৬৪১ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয়ের হিসেবে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ২৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। তবে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে এখনো বাকি রয়েছে ২১ মাস।
সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্প: ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই প্রকল্প শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৩০ জুন। এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৫০১৮ লাখ টাকা। এডিপি বরাদ্দ ছিল ৪০০০০ লাখ টাকা। সংশোধিত বরাদ্দ কমিয়ে করা হয় ৩৮৩১৭ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ব্যয় হয়েছে ২২৫৯৯ লাখ টাকা। বিগত অর্থবছরে এই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে অগ্রগতির হার প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। বিগত বছর এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। চলতি বছর এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রকল্পে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ১২৬২৫১ লাখ টাকা।
মেয়াদ শেষ হতে আর দুই মাস বাকি থাকলেও ক্রমপুঞ্জিত ব্যয়ের হিসেবে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। নির্মাণসহ প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন।
৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প: এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন সময় ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে এখনো ৯ মাস বাকি। প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৪৬০০ লাখ টাকা।
এডিপি বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ১০০০০ লাখ টাকা। সংশোধিত বরাদ্দে অর্থের পরিমাণ কমিয়ে ধরা হয় ৬০০০ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ব্যয় হয়েছে ৩৭৩০ লাখ টাকা। বিগত অর্থবছরে এই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে অগ্রগতির হার প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি। বিগত বছর এই হার ছিল ১৮ দশমিক ০১ শতাংশ।
চলতি বছর এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। প্রকল্পে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ২৬৭৯১ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয়ের হিসেবে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রকল্পের নির্দিষ্ট মেয়াদেই বাকি কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র আশা প্রকাশ করেছেন।
ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজি-এনএএনডি: অটিজম প্রকল্প হিসেবেই এটি সর্বাধিক পরিচিত। এই প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি। ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এটির মেয়াদ রয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩০৬০ লাখ টাকা।
এডিপি বরাদ্দ ছিল ১৫০০০ লাখ টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ধরা হয় ১৮৩ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ব্যয় হয়েছে ৫৯ দশমিক ৯২ লাখ টাকা। বিগত অর্থবছরে একই সময়ে অগ্রগতির হার ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ থাকলেও চলতি অর্থবছর এই হার সর্বনিম্ন ০ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রকল্পে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ৯৪২৫ লাখ টাকা।
মাউশির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মাউশির অন্যান্য প্রকল্পে কমবেশি কাজ হলেও এই প্রকল্পের সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। মেয়াদ শেষের আগেই বর্তমানে এই প্রকল্পটি সমাপ্তিকরণের কাজ চলছে।
এডিপি সভায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক প্রেরিত তথ্য থেকে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্পটি সমাপ্তিকরনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রচলন (পর্যায়-২) প্রকল্প : এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৪৭৯০ লাখ টাকা। এডিপি বরাদ্দ ছিল ৪০০০০ লাখ টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ধরা হয় ২৬১৯০ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ব্যয় হয়েছে ৩৩০৭ লাখ টাকা। বিগত অর্থবছরে একই সময়ে অগ্রগতির হারের তুলনায় এবার বেশি হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ।
বিগত বছর অগ্রগতির হার ছিল ০ দশমিক ১৯ শতাংশ। চলতি বছর একই সময়ে অগ্রগতির হার ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। প্রকল্পে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ২৬২৫৮ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের প্রায় সাড়ে সাত বছর পেরিয়ে গেলেও ক্রমপুঞ্জিত ব্যয়ের হিসেবে কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ১৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রজেক্ট (এলএআইএসই) : ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৮ সালের সেপ্টেম্বরে। এই প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩০৪০৮ লাখ টাকা। এডিপি বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪০০০০ লাখ টাকা।
পরবর্তীতে সংশোধিত বরাদ্দে অর্থের পরিমাণ কমিয়ে ধরা হয় ৩৪১১২ লাখ টাকা। চলতি বছরের প্রথম আট মাস ব্যয় হয়েছে ৫১৫ লাখ টাকা। বিগত বছরের একই সময়ে অগ্রগতির হার পাওয়া যায়নি। প্রকল্পে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ৭০৬ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয়ের হিসাবে প্রকল্পে মোট কাজ হয়েছে ০ দশমিক ২১ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :