ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে রাজধানীবাসীর বাড়ি ফেরা নিয়ে ততই বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে স্বস্তিতে বাড়ি যাওয়া যাবে কি না- সেই চিন্তা এখন সবার মনে। কারণ ঢাকা থেকে সিলেট, উত্তরবঙ্গ, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন সড়কে কাজ চলমান থাকা, ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় গার্মেন্টস-ফ্যাক্টরিতে অসন্তোষে নিয়মিত সড়ক অবরোধসহ ভাঙাচোরা রাস্তা ভোগাবে যাত্রীদের।
শুধু তাই নয়, সড়ক-মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই আতঙ্কও ভর করেছে সবার মনে। রক্ষা মিলবে না রেলপথেও। লক্কড়ঝক্কড় ইঞ্জিন, বগির কারণে রেলপথেও ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদযাত্রায় যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বড় কোনো ভোগান্তি হবে না বলেও দাবি তাদের।
এদিকে আসন্ন পবিত্র ঈদ উৎসবে সড়কপথে ঘরেফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। ঈদযাত্রা উপলক্ষে নতুন সেতু ও সড়ক খুলে দিয়েছে সরকার। যানজট নিরসন, যাত্রী নিরাপত্তা, টিকিটের অতিরিক্ত দাম ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
ঈদ উপলক্ষে ২৫ মার্চ থেকে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। ২০ মার্চ থেকে বিআরটিসির ডিপো থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে এবং আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদ সার্ভিসের বাস চলাচল করবে। সঙ্গে বাস রিজার্ভের সুবিধাও রেখেছে বিআরটিসি।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, এবারের ঈদে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে যাবেন। দেশের এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরও ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি মানুষের যাতায়াত হবে, যার ৭৫ শতাংশ সড়কপথে, ১৭ শতাংশ নৌপথে এবং ৮ শতাংশ রেলপথে যাতায়াত হবে।
রাতে সড়ক-মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্কের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি জানিয়েছেন, মহাসড়কে যেসব জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেসব জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করছে। রমজান ও ঈদ ঘিরে ডাকাতি আর ছিনতাই রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুর পার হওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ: ঈদে ঘরমুখো মানুষকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর পার করাই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে পুলিশ। এবার গাজীপুরের আলোচিত টঙ্গী থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে যানজটে কোনো শঙ্কা নেই। তবে বিআরটি প্রকল্পের কারণে বিভিন্ন স্থান সংকুচিত হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও নানা কারণে নবীনগর-চন্দ্রা ও আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়ক যানজটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়াও দেশের অধিকাংশ গার্মেন্টস-ফ্যাক্টরিও এই গাজীপুরে। ঈদের সময় বেতন-বোনাস না পেলেই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন শ্রমিকরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
এবারো শ্রমিক অসন্তোষ থাকায় সড়ক অবরোধ সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকায় জায়ান্ট নিট ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরা কারখানা বন্ধ করে দেওয়া এবং শ্রীপুরে নয়নপুর এলাকায় এক্সিস নীটওয়্যারস্ লিমিটেডের এক শ্রমিককে মারধরের বিচারের দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। কয়েক ঘণ্টার এই বিক্ষোভে দীর্ঘ যানজট দেখা যায় ওই সড়কে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৩৭টি জেলায় যানবাহন চলাচল করে টঙ্গীর ওপর দিয়ে। তবে এবার টঙ্গীতে যানজটের শঙ্কা কম থাকলেও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে কয়েকটি পয়েন্টে চলছে আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ। সড়কটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে সড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বাজার।
যত্রতত্র গণ ও মালবাহী পরিবহন, রাস্তা দখল ও বাধাহীনভাবে দাপিয়ে বেড়ানো অবৈধ অটোরিকশার কারণে যানজটের শঙ্কা রয়েছে। একই অবস্থা আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কে। সড়কটির উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় কোথাও পানি, কোথাও আবার কাদা জমে একাকার। যত্রতত্র সড়ক উন্নয়নের চলমান কাজের মালামাল রাখায় সরু হয়ে আছে সড়ক।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানিয়েছেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে যেতে পারেন সেজন্য জেলা পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশেষ করে গণপরিবহনগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে।
ময়মনসিংহের পথেও ভোগান্তির শঙ্কা: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহ অংশে অন্তত ১৫টি স্থানে যানজট ও ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে। পরিবহন চালকরা বলছেন, শিকারিকান্দা, চুরখাই, বৈলর, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, রাঘামারা, ভরাডোবা, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, হবিরবাড়ি, সিডস্টোর, মাস্টারবাড়ি ও জৈনাবাজারসহ অনেক স্থানে মহাসড়ক দখল করে অবৈধ কাঁচাবাজার, দোকানপাট, চায়ের স্টল, গ্যারেজ, গাড়ির পার্কিং গড়ে তোলা হয়েছে।
এ ছাড়া মহাসড়কের চুরখাই এলাকায় রাস্তার দুপাশে সারিবদ্ধভাবে দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দাঁড় করানো থাকে বালুর শত শত ট্রাক। এতে প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খাইরুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহ অংশের ১২-১৫টি স্থানে যানজট হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও স্বস্তি মিলবে না: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এবারে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির কারণ হতে পারে নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীর ১৩ পয়েন্ট। সূত্র জানায়, প্রতিবছর এই মহাসড়কটির নরসিংদী জেলা অংশে ভোগান্তি তুলনামূলক কম হতো। তবে এবার সেই চিত্র দেখা যেতে নাও পারে। কারণ মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলমান।
এই কারণে যানজট ও বিকল্প চলাচলের রাস্তা অপ্রশস্ত হওয়ায় রোজার শুরু থেকে যানবাহনকে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে। মহাসড়কের মাধবদী, পাঁচদোনা, ভেলানগর, ইটাখোলা, মরজাল, বারৈচাসহ ৭ পয়েন্টে যানজট দেখা দিচ্ছে। ঈদের সময় গাড়ির চাপ বাড়লে যানজটও বাড়তে পারে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানান, রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের সার্বক্ষণিক ৩টি পেট্রল টিম কাজ করছে।
উত্তরবঙ্গে ঈদযাত্রায় এবারও ভোগান্তির আশঙ্কা: সড়কপথে ঈদযাত্রায় গাড়ির ধীরগতি ও যানজট নতুন কিছু নয়। দেশের সড়ক পথগুলোর মধ্যে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ অন্যতম দীর্ঘ ও ব্যস্ততম রুট। এই পথে যাত্রীর চাপ বরাবরই বেশি থাকে। ঈদের সময় ভোগান্তিও বেশি হয় এই রুটে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যানজটের কারণে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের যেকোনো জেলায় যেতে কখনো কখনো অতিরিক্ত ১০-১২ ঘণ্টা বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। এতে ঈদযাত্রা কিছুটা মলিন হয়ে যায়। এবারও এমন ভোগান্তির আশঙ্কা আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে বাইপাইল ও চন্দ্রা মোড়ে সবচেয়ে বেশি যানজটের কবলে পড়ে সড়কপথের গাড়িগুলো। বাইপাইল থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক পার হতে গাড়িগুলোর কখনো কখনো দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। পাশাপাশি গোড়াই মিলগেট, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এবং যমুনা সেতু পূর্ব গোলচত্বরেও ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যমুনা সেতু পূর্ব গোলচত্বর পর্যন্ত প্রায় ঘণ্টাব্যাপী যানজটে পড়তে হয়।
ভোগান্তি বাদ যাবে না ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাড়িগুলো সাধারণত কাঁচপুর ব্রিজ দিয়েই চলাচল করে। ফলে এ রুটের গাড়িগুলো ঢাকা পার হতে যানজটে পড়তে পারে, সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ডে, কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব ঢালে এবং মদনপুর মোড়ে।
এদিকে কাঁচপুর থেকে মেঘনা ব্রিজের আগ পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ আছে, যেগুলোর কারণে জট হতে পারে। এ ছাড়াও কুমিল্লা অংশের দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা থেকে চৌদ্দগ্রামে আমজাদের বাজার পর্যন্ত অংশে বাইপাস, চৌমুহনী, বাজার ও বাসস্টপেজগুলোতে ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষদের ভোগান্তিতে ফেলতে পারে।
লক্কড়ঝক্কড় ইঞ্জিন, অপর্যাপ্ত টিকিট ভোগাবে যাত্রীদের: লক্কড়-ঝক্কড় ইঞ্জিনের কারণে বিভিন্ন রোডে প্রায়ই ইঞ্জিন বিকল হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকছে। ঈদের সময় সেই ইঞ্জিল বিকলের শঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়াও চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত টিকিট এবং স্পেশাল ট্রেনের শঙ্কা কমিয়ে দেওয়ায় এবার ঈদযাত্রায় রেলপথেও ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ১৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এবারো শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তথ্য বলছে, প্রতিটি টিকিটের জন্য ২০০ থেকে ২৫০ জন ব্যবহারকারী অনলাইনে টিকিটের খোঁজ করছেন।
রেলে চাহিদার তুলনায় খুবই নগণ্য টিকিট কাটতে পারছেন যাত্রীরা। এ ছাড়াও এবারের ঈদে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা কমিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত বছরগুলোতে ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু থাকলেও এবার তা কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে। এতে ট্রেনে ঘরমুখো মানুষের চাপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত এক দশকে রেলে লক্ষাধিক কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। কিন্তু রেলের যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বাড়েনি। বরং কোনো কোনো ট্রেনে কোচ কমেছে, বগি কমেছে। কোথাও স্টেশন বন্ধ হয়েছে। ফলে যাত্রী চাহিদা থাকলেও আসন সংখ্যা বাড়েনি। মানুষের চাহিদা রেল পূরণ করতে পারছে না বলেই একটা টিকিটের জন্য ২০০ জন মানুষকে সংগ্রাম করতে হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, এবারের ঈদযাত্রাকে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ করছে। নিরাপদ ভ্রমণকে অনিরাপদ করে তোলে ছাদে ওঠা যাত্রীরা।
এবার যেন ছাদে ও বিনা টিকিটে কেউ ভ্রমণ করতে না পারে সেক্ষেত্রে আমরা কঠোর হব। বিশেষ করে কমলাপুর, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর স্টেশনে আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা সেটি বাস্তবায়ন করবেন।
সড়কে যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ: আসন্ন পবিত্র ঈদ উৎসবে সড়কপথে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সড়কপথে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সারা দেশে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের হাইওয়ে ও ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ।
সারা দেশে তাদের কাজকে আরও গতিশীল করতে সড়ক-মহাসড়কে কাজ করবে জেলা পুলিশ, যা অন্যবারের চেয়ে ব্যতিক্রম। আর ঈদে যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে ঢাকার মূল সড়কগুলোয় ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখবে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সারা দেশের ৩ হাজার ৯৯১ কিলোমিটার মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ ৩৭৭টি চেকপোস্ট এবং জেলা পুলিশ ১১৪টি চেকপোস্ট ও ৫২৭টি টহল দল পরিচালনা করবে।
যানজট নিরসনে সারা দেশে ৬৪টি ‘ব্লাক স্পট’ চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এসব এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য কাজ করবে। এ ছাড়া যেসব এলাকায় সংস্কারকাজ ও বাজারের জন্য যানজট লেগে যায়, সেসব এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।