বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

রঙিন উৎসবে বর্ণিল কেনাকাটা

রহিম শেখ

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ১১:২৩ এএম

রঙিন উৎসবে বর্ণিল কেনাকাটা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আর ক’দিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। উৎসব ঘিরে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে বহুগুণে। ঈদের কেনাকাটায় সঙ্গি হচ্ছে পছন্দের ক্রেডিট কার্ড। যে কার্ড দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা এনে দিয়েছে। জরুরি প্রয়োজনের সময় নির্দিষ্ট অঙ্কের নগদ অর্থ চলে আসছে হাতের মুঠোয়। ক্রেডিট কার্ড শুধু দৈনন্দিন কেনাকাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে না; বিল পরিশোধ, দেশ-বিদেশে অনলাইন পেমেন্ট, কিস্তিতে কেনা বা বিভিন্ন ছাড়ের সুবিধা পাওয়ার কাজেও লাগছে। 

সব মিলিয়ে এ সময়ের মানুষের খরচের অভ্যাস, আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ জীবনধারায় পরিবর্তন এনেছে এটি। এ বাস্তবতায় ক্রেডিট কার্ড এখন আর বিলাসিতা নয়। উচ্চবিত্ত তো বটেই, সচ্ছল মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্যও তা হয়ে উঠছে এক অপরিহার্য আর্থিক হাতিয়ার। ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি উৎসব রাঙাতে প্রস্তুত বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়ের মতো এমএফএস।

এমএফএস থেকে পেমেন্ট করেও উপভোগ করতে পারবেন নানা ছাড়। ডিজিটাল কেনাকাটায় গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে ব্যাংকগুলোর চালু করা অ্যাপভিত্তিক ব্যাংকিংও। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেনাকাটা মানে নগদ টাকা বহনের নিরাপত্তা ঝুঁকি শূন্যের মাত্রায় নামিয়ে আনা।

দেশে ডিজিটাল লেনদেনের উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে এটিএম বুথ, পিওএস মেশিন, সিডিএম, সিআরএম, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, প্রিপেইড কার্ড, অ্যাপভিত্তিক ব্যাংকিং ও এমএফএস সেবা। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর ইস্যুকৃত মোট ডেবিট কার্ড ছিল ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮২টি। দেশে কার্যরত প্রায় সব ব্যাংকই গ্রাহকদের জন্য ডেবিট কার্ড ইস্যু করছে। তবে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা ব্যাংকের সংখ্যা প্রায় ৪০। দেশের একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। 

চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ইস্যুকৃত ক্রেডিট কার্ড ছিল ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৮২টি। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও প্লাস্টিক মানির অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে প্রিপেইড কার্ড। বাজারে এখন ব্যাংকগুলোর ইস্যুকৃত ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫৫টি প্রিপেইড কার্ড রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু হয় ১৯৫০ সালে। আর বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করে। এরপর বিভিন্ন ব্যাংক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কার্ড সেবা নিয়ে আসে। 

এসব কার্ডের মধ্যে ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিসকভার, জেবিসি ও ইউনিয়ন পে উল্লেখযোগ্য। পরিসংখ্যান বলছে, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেন সুপারমার্কেট ও রিটেইল আউটলেটে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, দেশের ব্যাংকগুলোর কার্ড সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ছিল ৩৯ হাজার ১৮২ কোটি টাকা।

 আর ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৫০২ কোটি ও প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে ৫১২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সব মিলিয়ে কেবল জানুয়ারি মাসে কার্ডভিত্তিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা। এটিএম বুথ, সিআরএম, পিওএস মেশিন ও ই-কমার্সের মাধ্যমে এ অর্থ লেনদেন হয়।

দেশে জনপ্রিয়তার দিক থেকে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভিসা ব্র্যান্ডের ক্রেডিট কার্ড। মোট লেনদেনের বড় অংশই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এ কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। দেশের ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা অন্য ক্রেডিট কার্ডগুলো হলো মাস্টারকার্ড, এমেক্স, ডিনারস, জেসিবি, কিউক্যাশ ও ইউনিয়ন পে। অর্থনীতির আকার, জনসংখ্যার পরিমাণ, ক্রয়ক্ষমতা ও মধ্যবিত্তের সংখ্যা বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা খুবই কম বলে মনে করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। 

তারা বলছেন, দেশে ক্রেডিট কার্ডের বাজারের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিশেষ এ কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে নানা শর্ত, প্রতিবন্ধকতা ও ব্যবহারকারীদের অনভিজ্ঞতা এর বাজার সংকুচিত করে রেখেছে।

এ প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, গ্রাহক সহজেই সেবা নিতে চায়। ব্যাংকগুলোও সেদিকে ঝুঁকছে। ফলে বাড়ছে ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার। ডলার সংকট এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ফলে মানুষের ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি বেড়েছে। 

সেই সঙ্গে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মানুষের কেনাকাটাও বেড়েছে। এ ছাড়া অধিকাংশ মানুষ ক্যাশ লেনদেন ছেড়ে কার্ডে লেনদেন করছে। এসব কারণেই কার্ডের লেনদেন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তিনি বলেন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক সব সময়ই গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে। তরুণ প্রজন্মের আগ্রহের জায়গা থেকে আমরা চলতি বছর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। 

কারণ তরুণরাই আজকে দেশটাকে নতুন করে বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছে। আমরা সেই পরিবেশটা তৈরি করতে চাই, তরুণরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী সেবা পাবে। এ জন্য আমরা সম্প্রতি একটা ডিজিটাল ওয়ালেট চালু করেছি, যেখানে এমন কিছু নেই যা পাওয়া যাবে না। এটা পুরোপুরি হয়ে গেলে বড় ঋণের লেনদেন ছাড়া দিনের যাবতীয় সব কাজই গ্রাহক এই কার্ড থেকেই করতে পারবেন। উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে কার্ডের লেনদেন কিছুটা বেড়েছে বলেও মনে করেন তিনি। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, বর্তমানে মানুষের জীবনযাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক ধারায় ফিরেছে। আবার অর্থনীতির কর্মচাঞ্চল্যও ফিরে এসেছে। তাই মানুষ খরচও বেশি করছে। শহরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ এখন নগদ লেনদেনের পরিবর্তে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্ডে লেনদেন বেড়েছে। 

জানা গেছে, ক্রেডিট কার্ডে এখন সবচেয়ে এগিয়ে আছে বেসরকারি খাতের দ্য সিটি ও ব্র্যাক ব্যাংক। পর্যায়ক্রমে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ইউসিবিএল, ইস্টার্ন, ডাচ্-বাংলা, ন্যাশনাল, সাউথইস্ট ও ব্যাংক এশিয়া রয়েছে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের তালিকায়। ডেবিট কার্ডে এখন শীর্ষে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। 

পর্যায়ক্রমে ব্যাংক এশিয়া, দ্য সিটি, সোনালী, ইউসিবিএল, ব্র্যাক, যমুনা, ট্রাস্ট ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক রয়েছে তালিকায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের বেশিরভাগই তিনটি ব্র্যান্ডের ভিসা, মাস্টারকার্ড এবং অ্যামেক্স ১০ শতাংশ। দেশে ও বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই ক্রেডিট কার্ডের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের বিল পরিশোধে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এ লেনদেনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশই হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কেনাকাটায়। রিটেইল আউটলেট সার্ভিসেস, ইউটিলিটি বিল, কাপড়, ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটায়ও ব্যবহার হয়েছে ক্রেডিট কার্ড। প্লাস্টিকের এ কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহক বিপদের সময় এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকাও তুলছেন। পাশাপাশি ভ্রমণের সময় ভাড়া ও সেবার মাশুলও পরিশোধ করছেন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকরা গত জানুয়ারি মাসে বিদেশে ৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন।

দেশের ১৬ বছরের ঊর্ধ্বের যেকোনো নাগরিক ক্রেডিট কার্ডসেবা নিতে পারেন। তবে তার নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা থাকতে হয়। পরিবারের অন্য কেউ উপার্জনক্ষম হলে তার বিপরীতেও কার্ড দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এ কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া যায়। কার্ডের ব্যবহার সহজ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংযুক্ত করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি।

ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনাকাটা ও ঋণ নিতে পারেন। দেশে ইস্যু করা দ্বৈত মুদ্রার ক্রেডিট কার্ড বিদেশেও ব্যবহার করা যায়। এ কারণে টাকার পাশাপাশি ডলারেও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বাড়ছে। দেশে-বিদেশে কার্ড ব্যবহার করে হোটেল বুকিং, থাকা-খাওয়া, ভ্রমণ, বিমান ভাড়া, রেস্তোরাঁ ও কেনাকাটার বিল পরিশোধে মিলছে নানা ছাড় ও পয়েন্ট জেতার সুযোগ। 

ক্রেডিট কার্ডে নেওয়া ঋণের বিপরীতে ৪৫ দিন পর্যন্ত কোনো সুদ পরিশোধ করতে হয় না। অবকাঠামো সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের বড় অংশই এখনো রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোয় সীমাবদ্ধ। তবে ব্যাংকগুলো এখন জেলা শহরগুলোয়ও এ কার্ড ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। জেলা শহরগুলোর মার্কেট ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় যদিও এখনো পিওএস মেশিনে বিল পরিশোধের সুযোগ খুবই কম। এটিকে ক্রেডিট কার্ডের বাজার সম্প্রসারণের অন্তরায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা যে খুবই কম তা বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়েও ফুটে উঠেছে। বিশ্বের ১২১টি দেশের জনসংখ্যা ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে র‌্যাংকিং তৈরি করেছে বৈশ্বিক অর্থনীতির তথ্য-উপাত্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যাটিস্টা’। এর তথ্যমতে, ১২১টি দেশের ১৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে। 

সেখানে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। ১২১টি দেশের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫তম। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও প্রাপ্তবয়স্কদের ৪ দশমিক ৬২ শতাংশের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। এমনকি নেপালেরও ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ মানুষ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে নেপালের অবস্থান ১০৩তম। 

থাইল্যান্ডের ২২ দশমিক ৬১ শতাংশ মানুষের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের দিক থেকে সবার শীর্ষে কানাডা। দেশটির প্রাপ্তবয়স্কদের ৮২ দশমিক ৭৪ শতাংশের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। এ তালিকায় শীর্ষস্থানে থাকা অন্য দেশগুলোর মধ্যে জাপানের ৬৯ দশমিক ৬৬, সুইজারল্যান্ডের ৬৯ দশমিক ২১, দক্ষিণ কোরিয়ার ৬৮ দশমিক ৪৪, যুক্তরাষ্ট্রের ৬৬ দশমিক ৭ ও যুক্তরাজ্যের ৬৬ দশমিক ১১ শতাংশ মানুষ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে।

গত এক দশকে দেশের ডিজিটাল লেনদেনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এমএফএস। মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে পরিচিত এ ব্যবস্থায় এখন প্রতি মাসে লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত জানুয়ারি মাসে এমএফএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। 

বর্তমানে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ২ হাজার ১৯১। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে দেশে ডিজিটাল কেনাকাটা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যেমন গত জানুয়ারি মাসে এমএফএসের মাধ্যমে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মার্চেন্ট পেমেন্ট হয়েছে। এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের ছাড়সহ অফার ঘোষণা করছে। 

ঈদকে কেন্দ্র করে এমএফএসের মাধ্যমে পণ্যের দাম পরিশোধ করলে ৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। আবার এমএফএসের বিকল্প হিসেবে ব্যাংকগুলো মোবাইল অ্যাপ নিয়ে এসেছে, যা ব্যবহার করেই যাবতীয় ব্যাংকিং লেনদেন করা যাচ্ছে। যেমন ইসলামী ব্যাংকের অ্যাপ ‘সেলফিন’-এর মাধ্যমে দৈনন্দিন লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। অন্য ব্যাংকগুলোও নিজেদের অ্যাপ জনপ্রিয় করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের অফার ঘোষণা করছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!