ঈদকে ঘিরে আজ থেকেই ঘরমুখো মানুষের ঢল নামবে সড়ক-মহাসড়কে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভগি করতে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। ফলে ঈদ যতই এগিয়ে আসছে ততই সড়ক-মহাসড়কে বাড়ছে ডাকাত আতঙ্ক।
প্রায়ই রাতে মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন কৌশলে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকার থামিয়ে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে লুটে নিচ্ছে নগদ অর্থ ও মালামাল। শুধু রাতেই নয়, দিনদুপুরেও সড়কে যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে, গাছ ফেলে হানা দিচ্ছে ডাকাতরা।
ঈদ ঘিরে ডাকাতদের অপতৎপরতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলা হলেও কার্যত তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তাদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘নিষ্ক্রিয়তা’ ও ‘ঢিলেঢালা টহল’ ব্যবস্থার কারণেই মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।
এ অবস্থায় রাতে মহাসড়কে নিরাপত্তায় সেনা টহলের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি, টহল বাড়ানো ও গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি লাঘব এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী।
সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডাকাতদলের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন পেশায় জড়িত। কেউ গার্মেন্টসে খণ্ডকালীন কাজ করেন। আবার কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন বা অটোরিকশা চালান। এরাই রাতের বেলা হয়ে ওঠে ভয়ংকর। ফোন করে হুমকি দেন। নিয়মিত মাসোহারা না পেলে গাড়ি থামিয়ে লুট করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক রুটের এক পরিবহন ব্যবসায়ী বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মদনপুর, কাঁচপুর, সোনারগাঁও ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঘোড়াশাল টোলপ্লাজা থেকে ইটাখোলা মোড় পর্যন্ত পয়েন্টে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। এদের নিয়মিত মাসোহারা দিতে হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে রাত্রকালীন টহলের কথা বলা হলেও তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। এ অবস্থায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাতে মহাসড়কে সেনাবাহিনীর টহল থাকলে নিরাপদ হবে সড়ক-মহাসড়ক।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সূত্র জানায়, ঈদ ঘিরে রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলায় একটি বাস দিনে অন্তত তিনটি করে ট্রিপ দেবে। প্রতি ট্রিপে গড়ে ৪০ জন যাত্রী থাকলে ১০ হাজার বাসে দিনে ৮ লাখ যাত্রী পরিবহন করা হবে। এবার ডাকাত আতঙ্ক নিয়েই যাত্রীসেবা দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সড়ক পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে, বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা টাঙ্গাইল, ঢাকা সিলেট, ঢাকা মানিকগঞ্জ, ঢাকা রাজশাহী, ঢাকা রংপুর, ঢাকা পাবনাসহ দেশের সব মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ সদর দপ্তরের উচ্চপর্যায় কয়েক দফা বৈঠকের পর ঈদকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন থেকেই বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া শুরু হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সমন্বয় করে নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
নতুন করে ৭০০ ফোর্স বাড়ানো হয়েছে। ৩ হাজার ৯০০ কিলোমিটার মহাসড়ক সাড়ে ৩০০র বেশি টহলদল কাজ করছে। ঈদ যত সন্নিকটে আসবে এই টহল সংখ্যা তত বাড়বে। তারা ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে। এদিকে মহাসড়কে ১৩৯টি হাটবাজার রয়েছে। সেগুলোর অধিকাংশই ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অপসারণ করা হয়েছে। আর কিছু রয়েছে, যা অপসারণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
গত ২৪ মার্চ সোমবার রাত ৮টার দিকে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলন্ত বাসের ভেতর যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িত সন্দেহে মানিকগঞ্জগামী শুভযাত্রা পরিবহনের বাসের চালক, তার সহকারী ও হেলপারকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন যাত্রীরা।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় পৌঁছালে অন্তত পাঁচজন ব্যক্তি যাত্রীবেশে বাসে ওঠে। দেশীয় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে তারা। যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে সিঅ্যান্ডবি স্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে যায় ডাকাতরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাহাঙ্গীরনগর, সিঅ্যান্ডবি ও রেডিও কলোনি এলাকায় মাঝে মাঝেই ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনকে এই এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে গত ২ মার্চ সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকার সেতু থেকে একটু সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সে সময় অন্তত ২০ থেকে ২৫ যাত্রীর মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকাগামী শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সে সময় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অন্তত তিনজন আহত হন।
একই দিন গত সোমবার মধ্যরাতে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বরগুনার বেতাগী উপজেলার গলাচিপা এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ইমরান পরিবহনের বাস থেকে যাত্রীদের মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এ ঘটনার পর থেকে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ইমরান পরিবহনে থাকা যাত্রী হেমায়েত উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তিনটি যাত্রীবাহী বাস বরগুনার বেতাগী উপজেলার গলাচিপা এলাকায় পৌঁছালে সড়কে পড়ে থাকা গাছের কারণে গতি কমাতে হয়।
ঠিক তখনই দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতদল বাসে প্রবেশ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং ১২ থেকে ১৫ জন যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়।
ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাতে সড়কে কোনো পুলিশ দেখা যায়নি। তবে ঈদের সময়ে রাতে সড়কে সেনা টহল থাকলে মানুষ বিপদে পড়বে না বলে দাবি করেন তিনি।
হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদ নিরাপত্তায় মঙ্গলবার থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশকে আরও অতিরিক্ত ৭শ’ ফোর্স পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়া হয়েছে।
ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধ রোধে নিয়মিত মহাসড়কে সাড়ে ৩০০র বেশি টহল টিম কাজ করছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে এই টহল সংখ্যা আরও বাড়বে। তারা কোনো ঘটনা ঘটলে ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছবে।
তিনি বলেন, একটি অ্যাপসের মাধ্যমে টহল টিম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। অ্যাপসের নম্বর হাইওয়ে পুলিশেও দেওয়া আছে। চাইলে পরিবহন শ্রমিক, মালিকরা ও যাত্রীরা অ্যাপসে সংযুক্ত হতে পারবেন। তাহলে তারা দেখতে পারবেন হাইওয়ের কোথায় কোথায় পুলিশের টহল টিম আছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, অ্যাপসে আমাদের নম্বরটা দেওয়া আছে। হোয়াটসঅ্যাপে অন করলেই ভুক্তভোগী কিংবা সাহায্যপ্রত্যাশী ব্যক্তি টহল পার্টির অবস্থান জানতে পারবেন। টহল পুলিশও জানতে পারবে যাত্রীর অবস্থান। মফস্বল বা জেলা শহরে যাওয়ার সময় আমরা সেখানকার টহল পার্টিকে জানিয়ে দেই স্কট করে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
গত ৯ মার্চ রোববার রাতে সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কোনাবাড়ীতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদল মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীদের মোবাইল ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার গভীর রাতে পাবনা-সাঁথিয়া আঞ্চলিক সড়কের ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে বাস-ট্রাকে গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১৫টি গাড়িতে ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখে ডাকাত দলের সদস্যরা। এতে কিছু সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার ও হায়েস মাইক্রোবাসসহ প্রায় ৪০টি গাড়ি আটকে পড়ে। এ সময় ২০ থেকে ৩০ জন হাঁসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে ডাকাতি চালায়।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। নতুন করে ৭০০ ফোর্স বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশের সমন্বয় করে নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
তিনি জানান, মহাসড়কের নিরাপত্তা ও নিরাপদ যান চলাচল নিশ্চিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১ হাজার ৪০০ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ১ হাজার ৩৫০ ক্যামেরা চালু আছে। ঢাকা-মাওয়া সড়কে সড়ক কর্তৃপক্ষের স্থাপিত ক্যামেরার সার্ভারে কানেকশন নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কে ঘুরছে ড্রোন। ড্রোন ব্যবহারে মহাসড়কের কোথায় কী অবস্থা সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মহাসড়কে নামল সেনাবাহিনী: ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি লাঘব এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে দায়িত্ব নামছে সেনাবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ছাড়াও লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লা সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং সম্ভাব্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে ডিভিশনের প্রায় তিন শতাধিক সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের এই যাত্রা যেন সুখকর হয় সেজন্য সেনাবাহিনী সব বাস মালিক সমিতি ও চালকদের ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে না নামানো এবং অধিক গতিতে গাড়ি না চালনোর অনুরোধ করছে।
পাশাপাশি যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানো, অযথা লেন পরিবর্তন, ক্লান্তি নিয়ে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতেও সচতেন করা হচ্ছে পরিবহন শ্রমিকদের।
এ ছাড়া মহাসড়কের দুই পাশে যাতে ভাসমান দোকান বসিয়ে রাস্তা সংকীর্ণ না করা হয় সে বিষয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা- নোয়াখালী, কুমিল্লা-চাঁদপুর, কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে অবস্থিত সব বাজার মালিক সমিতিকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রায় বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো কারণ প্রতিহত করতে সেনাবাহিনী তার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে।