মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২৫

অর্থনীতির অগ্রগতিতেও এনবিআর স্থির

হাসান আরিফ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৫, ০৬:০১ এএম

অর্থনীতির অগ্রগতিতেও এনবিআর স্থির

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশের শিল্প খাতের অগ্রগতির ফলে অর্থনীতি আগের জায়গায় থেমে নেই। তারপরও আট বছর ধরে দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির তুলনায় কর আহরণ এখনো মাত্র ৭ দশমিক ৬ শতাংশের মতো। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী রাজস্ব আয় বাড়াতে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কোনো অগ্রগতি নেই। 

রাজস্ব কার্যক্রম সংস্কারের লক্ষ্যে এনবিআর ভেঙে রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আলাদা করার উদ্যোগ নিলেও তা কর্তৃত্বের জটিলতায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ফলে এই সংস্কার বাস্তবায়নেরও দৃশ্যমান অগ্রগতি থমকে আছে।

এনবিআরের এই জটিল অবস্থায় আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি আগামী জুন মাসে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। 

তারপরও আইএমএফের দেওয়া শর্তের কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তার মূল্যায়ন করবে আন্তর্জাতিক এই সংস্থা। এনবিআরের একাধিক সূত্র থেকে রূপালী বাংলাদেশ এসব বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে।

৬ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত এই মিশনকালীন ৬৭টি মিটিং করছে অর্থনীতিবিদ ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যর আইএমএফের মিশন। এর মধ্যে একজন ওয়াশিংটন থেকে অনলাইনে অংশগ্রহণ করছেন।

এখনো সক্ষম সব করদাতা এবং প্রযোজ্য সব খাত করজালের আওতায় আসেনি। ফলে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়েনি। যেকোনো দেশে জিডিপির অন্তত ১৫-১৬ শতাংশ কর হিসেবে আহরণ করা হয়। 

কিন্তু বাংলাদেশে কর-জিডিপির অনুপাত ৭-৮ শতাংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ঘোরাফেরা করছে। ফলে এখনো জিডিপির অনুপাত হিসেবে কর আহরণ হচ্ছে না। 

এতে ৫-৬ শতাংশের একটা ঘাটতি রয়েই যাচ্ছে। সার্কভুক্ত দেশ নেপালে ১২-১৩ শতাংশ আর ভারতে প্রায় ১৭-১৮ শতাংশ।

এর অন্যতম কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনবিআর অনেক বেশি কর অব্যাহতি দিয়ে থাকে। তাই কর ব্যবস্থাপনায় অসংগতি দূর করতে প্রশাসনিক সংস্কার, তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর আয়কর বিভাগ বিনির্মাণের সংস্কার, আইন ও বিধি সংস্কার এবং সব অংশীজনের দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার প্রয়োজন।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফের মূল ফোকাস হচ্ছে ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়ানো, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আর একটু স্থিতিশীল করা, তারপর বাজেটে ঘাটতি কমানো এগুলো মেইন ফোকাস। আর রাজস্ব হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে ইম্পরটেন্ট ইস্যু। 

বাংলাদেশের শিল্প বাণিজ্যের উন্নয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটা বিরাট ভূমিকা আছে এবং তাদের কাজ হচ্ছে রেভিনিউ কালেক্ট করা। কিন্তু রাজস্ব আদায়টা যেন ম্যাক্সিমাম হয়, মানুষের যাতে কষ্ট না হয়। নিয়মমাফিক হয় তা বিবেচনায় রাখা হবে।

রাজস্ব আয় বাড়াতে আইন প্রয়োগের ওপর জোর দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, যারা করদাতা নন, তারাও কর দেন। গৃহিণী, ছাত্রছাত্রী, তারাও ব্যাংকে টাকা রাখেন। তাদের মুনাফা থেকেও কর আদায় হয়। এটা প্রত্যক্ষ কর। 

এখনো রাজস্ব আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ আসে পরোক্ষ কর থেকে। তার মানে এখনো গরিব মানুষেরা বাংলাদেশে কর দেন। এটাই সত্য। ৫৩ বছর ধরে ঘাটতি বাজেট চলছে। প্রচুর ঋণ হয়েছে। ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করা এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এনবিআর ভেঙে রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আলাদা করার উদ্যোগ উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইনের একটা খসড়া করা হয়েছে। সেটি অচিরেই উপদেষ্টা পরিষদে উঠবে এবং জারি হবে বলে জানা যাচ্ছে। 

সেখানে বিশদভাবে এনবিআর যা চাচ্ছে বা সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা হলো রাজস্বনীতির একটা বিভাগ হবে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, যেটা এনবিআরের প্রধান কাজ, আইন প্রয়োগ করা, সেটার জন্য আলাদা একটা বিভাগ হবে। 

এই দুটো বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কিছু সমন্বয়ের ব্যবস্থা থাকবে। কিছু বাইরের লোকও থাকবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যারা অভিজ্ঞ, তারাই এই কাজগুলো করবেন।

কিন্তু এনবিআর দুই বিভাগকেই নিজেদের অধীন রাখতে চাচ্ছে। কিন্তু অর্থ বিভাগ চাচ্ছে, এনবিআর শুধু রাজস্ব আদায় করবে আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) নীতি তৈরি করবে। যা এনবিআর কর্মকর্তারা মানছেন না। তারা চান দুই বিভাগই তাদের অধীন রাখতে।

বর্তমানে এনবিআর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলেট ট্রাইব্যুনাল এবং ট্যাক্সেস আপিলেট ট্রাইব্যুনাল আইআরডির অধীনে রয়েছে।

এদিকে আজ আইএমএফ এনবিআরের সঙ্গে যেসব বিষয় জানতে চাইবে তার মধ্যে রয়েছেÑ চলতি অর্থবছরে রাজস্ব কর্মক্ষমতা এবং আগামী অর্থবছর (২০২৫-২৬) থেকে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর জন্য করব্যবস্থায় কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

আয়কর ডিজিটালাইজেশনের জন্য ডিপিপির অবস্থা এবং করপোরেট ই-ফাইলিং এবং ই-পেমেন্ট শুরু করার সময়সীমার বিষয়ে জানতে চাইবে। 

২০২৫ সালের জুনের শেষের দিকে কাঠামোগত মানদণ্ড সম্পন্ন করার অগ্রগতি সম্ভাব্য প্রোগ্রাম বেঞ্চমার্ক, যার মধ্যে রয়েছে- ন্যূনতম কর সংস্কার, বর্তমান ভিন্ন করদাতা আইডি একীভূত করা, উৎসে কর্তনকৃত, কর প্রশাসনকে শক্তিশালী করা এবং আয়কর বৃদ্ধির উপায় জানতে চাইবে।

আইএমএফ আরো জানতে চাইবে সম্মতি উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং কর ব্যয় প্রতিবেদনের ওপর ফলো-আপ। ভবিষ্যতের প্রোগ্রাম পর্যালোচনার জন্য সম্ভাব্য কাঠামোগত মানদণ্ড। 

কর ব্যয় মূল্যায়ন, করনীতি নির্ণয়, রাজস্ব প্রশাসনের ওপর ফলো-আপ। আগামী অর্থবছরে নতুন কাস্টমস-সম্পর্কিত ব্যবস্থা এবং রাজস্বের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব। জাতীয় শুল্কনীতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি। 

সম্মতি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনার অবস্থা। কর ব্যয় মূল্যায়নের অবস্থা। কর ব্যয় মূল্যায়নের ওপর ফলো-আপ, করনীতি নির্ণয়, রাজস্ব প্রশাসনের অবস্থা। 

২০২৫ অর্থবছরে ভ্যাট আউটটার্ন। ২০২৫ অর্থবছরে ১২০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধির জন্য সাম্প্রতিক ভ্যাট ব্যবস্থার মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যতের সংস্কারের জন্য কী কী শিক্ষা কার্যকর হতে পারে। এমএলটিআরএসের অবস্থা। 

সম্মতি উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং কর ব্যয় প্রতিবেদনের ওপর ফলো-আপ। ভ্যাট প্রশাসন সংস্কারের অগ্রগতি বিষয়ে আইএমএফ গুরুত্ব দেবে। 

পরিকল্পলা কমিশনের সঙ্গে বৈঠবে যেসব বিষয় উঠে আসবে- আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি সংশোধনের পরিকল্পনা এবং প্রক্রিয়া। আইএমএফ সমর্থিত কর্মসূচি (ইসিএফ/ইএফএফ এবং আরএসএফ) ব্যবস্থার অধীনে পিআইএম সংস্কার অ্যাজেন্ডার অগ্রগতি। 

চলতি ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে অতিরিক্ত ১০টি ব্যয় খাতে এসএসপি এবং এমডব্লিউপিআইপি সরঞ্জামগুলো চালু করা। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করতে এবং প্রকল্প মূল্যায়ন সম্পাদনের জন্য কর্মীদের ক্ষমতা জোরদার করা।

অর্থ বিভাগের সঙ্গে বৈঠতে জানতে চাওয়া হবে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থায়িত্ব বিবেচনা। আর গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র থেকে শুরু করে প্রধান অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর মূল্যায়নে জলবায়ু বিবেচনাগুলোকে একীভূত করা। 

একই সঙ্গে মঞ্জস্যপূর্ণ প্রধান অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর নির্বাচন এবং অগ্রাধিকারের মানদণ্ড নির্দিষ্ট করা। ধারণা নেওয়া হবে কারিগরি সহায়তা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা। 

চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আউটপুটের সমন্বয়। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য আর্থিক কর্মক্ষমতা মানদণ্ডের ওপর প্রযুক্তিগত আলোচনা: প্রাথমিক ভারসাম্য, কর রাজস্ব, বহিরাগত পরিশোধ বকেয়া এবং দেশীয় পরিশোধ বকেয়া পর্যালোচনা। 

একই সঙ্গে জানতে চাওয়া হবে আগামী অর্থবছরের জন্য সামাজিক ব্যয় এবং মূলধন ব্যয় লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। জানতে চাওয়া হবে সম্পদ গুণমান বিষয়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে উঠে আসবে জামানত মূল্যায়নের ব্যবস্থাসহ চলমান অবস্থা। পরামর্শদাতাদের কাজের পরিধি, বিবির কাজের পরিপূরক কি না জানতে চাইবে আইএমএফ। 

যেহেতু পরামর্শদাতা এবং ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বিবির যোগাযোগের ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়ার পরিচালনা রয়েছে ঋণ এবং জব্দকৃত সম্পদের পরিধির। মূল্যায়ন এবং পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা এবং এর পরবর্তী পদক্ষেপ। 

পরিধি, তহবিল, মূল মাইলফলকগুলোর জন্য প্রত্যাশিত সময় বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। আর্থিক খাত সংস্কার কৌশলের প্রস্তুতি কী অবস্থায় রয়েছে সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেবে আইএমএফ। 

মোট আন্ডারক্যাপিটালাইজেশনের একটি উচ্চ স্তরের অনুমানের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও জানতে চাওয়া হবে। এর সমাধান তহবিল উৎস এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়। 

এ ছাড়া তত্ত্বাবধান, আইনি এবং একটি পাবলিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির সম্ভাব্য প্রতিষ্ঠাসহ সম্পদ পুনরুদ্ধার সর্বাধিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কী তা-ও জানতে চাওয়া হবে। আর প্রতিষ্ঠান পুনরুদ্ধার এবং সমাধান পরিকল্পনা।

আজও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হবে। এসব বৈঠকে জানতে চাওয়া হবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর অনুযায়ী মুদ্রানীতি কার্যক্রমের আধুনিকীকরণ, অবস্থা, রিজার্ভের গড়, ফ্রিকোয়েন্সি এবং সময়কাল, সূক্ষ্ম সমন্বয় কার্যক্রম, স্ট্রিমলাইনিং, ব্যাংকগুলো কী ধরনের প্রতিক্রিয়া থেকে এসেছে তা। 

দেশীয় মুদ্রায় বিবির অ-মানক আধা-রাজস্ব কার্যক্রমের পরিমাণ, স্ট্যান্ডার্ড আর্থিক কার্যক্রমের বাইরে তারল্যব্যবস্থা, আধা-রাজস্ব ঋণ প্রকল্পের সম্পূর্ণ আপডেট করা তালিকা (উদ্দেশ্য, সময়কাল, হার, আয়তন) পরবর্তী ১২ মাসের জন্য প্রস্তাবিত কাঠামোগত মানদণ্ড কী। টেকসই অর্থায়ন এবং সবুজ বন্ড-নীতি বাস্তবায়ন এবং নতুন উদ্যোগ বিষয়েও জানতে চাইবে আইএমএফ।

বৈঠকে আরও জানতে চাওয়া হবে খসড়া ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ চূড়ান্তকরণ এবং কার্যকরীকরণের বিষয়ে। মুদ্রা বিনিময় হারে উন্নয়ন বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব থাকবে আইএমএফের। নতুন বিনিময় হার ব্যবস্থায় রূপান্তর সম্পর্কিত উদ্বেগ নিয়েও জানতে চাওয়া হবে।

 এ ছাড়া বিনিময় হার সংস্কারের পূর্ববর্তী পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ এবং ক্রলিং পেগ ব্যবস্থার কার্যকারিতা সম্পর্কিত সমস্যা ও নতুন ব্যবস্থার প্রক্রিয়া গুরুত্ব পাবে। 

আন্ত ব্যাংক এবং ক্লায়েন্ট এফএক্স বাজারের উন্নয়নে ইউএসডি এবং নন-ইউএসডি আন্ত ব্যাংক লেনদেন, লেনদেন রেফারেন্স হার গণনার জন্য ডেটা সংগ্রহ পরবর্তী ১২ মাসের জন্য প্রস্তাবিত কাঠামোগত মানদণ্ড এবং বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদের স্টকের সম্প্রসারণ (বিপিএম৬ সংজ্ঞা অনুসারে বিবির বৈদেশিক রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত নয়), এ ধরনের কার্যক্রমে বৈদেশিক তারল্যব্যবস্থার খরচ, গড় সময়কাল, প্রত্যাশিত ভবিষ্যতের উন্নয়ন সরকারি লেনদেন এবং ইডিএফসহ বৈদেশিক রিজার্ভকে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য কার্যক্রমের (রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল) বিষয়ে বিশদভাবে জানতে চাওয়া হবে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!