ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

কঠিন চালেঞ্জে দেশের অর্থনীতি

রহিম শেখ
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত আট মাসে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। 

এতে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে, থেমেছে রিজার্ভে পতন। বেড়েছে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়। কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজস্ব আয়ে ঘাটতি, বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়া। শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমে যাওয়ায় উৎপাদন খাতেও স্থবিরতা চলছে। 

সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পার হয়েছে বর্তমান সরকারের আট মাস। এরমধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে সামনে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ক। যদিও এই শুল্কের একটা রফাদফা করতে দেনদরবার শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার ভঙ্গুর অর্থনীতির দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও এখনো কাক্সিক্ষত স্থিতিশীলতা আসেনি। 

বরং বহুমাত্রিক সংকট, অবকাঠামো ঘাটতি, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও নীতিনির্ধারণের সীমাবদ্ধতার সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হচ্ছে। তবে কার্যকর ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিলে এই সরকারের পক্ষেই সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতার পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। 

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, বৈশ্বিক অস্থিরতা ও দেশীয় সংকটের চাপ কাটিয়ে এখনো উঠতে পারেনি অর্থনীতি। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। 

প্রবাসী আয় রিজার্ভে কিছুটা স্থিতিশীলতা এনেছে, তবে রাজস্ব ঘাটতি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক ঋণ প্রত্যাশিত হারে আসছে না, অথচ সুদ পরিশোধের ব্যয় বেড়েছে। 

এতে নিয়মিত সরকারি কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। ব্যাংক খাতে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তবে তারল্য সংকট ও বিনিয়োগ অনিশ্চয়তা কাটেনি। 

এর মধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে সামনে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ক। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা ইতিবাচক। 

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বা টিকফার মতো প্ল্যাটফর্মও ব্যবহার করে যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা করা দরকার। 

পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারি পণ্য ক্রয় বৃদ্ধি, বেসরকারি আমদানি উৎসাহিত করা এবং শুল্ক যৌক্তিকীকরণের সম্ভাবনা বিচার করে নিজেদের প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা দরকার।

পতন থেমেছে রিজার্ভে
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অর্থনীতির কিছু প্রতিকূলতার মধ্যেও রিজার্ভে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। থামানো গেছে পতন। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে দেশে ২ হাজার ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। 

গত বছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭০৭ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে ১৩০ কোটি ডলার।

এ ছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেকর্ড ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের মার্চ মাসে ছিল ১৯৯ কোটি ডলার। 

অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের মার্চে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৭ কোটি ডলার। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধির কারণে দেশে ডলারের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের অস্থিরতা কিছুটা কমিয়েছে। 

এই বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভও বেড়েছে। চলতি বছর মার্চে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলারে।

রাজস্ব ঘাটতির চাপে বাড়ছে দুশ্চিন্তা
সরকারের জন্য খরচ মেটানো এখন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে; কারণ, অর্থসংকট বেড়েই চলেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। 

এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৮১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা; অর্থাৎ এ সময়ে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৭১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় তিন হাজার ৮৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে; যা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।

রাজস্ব কর্মকর্তাদের মতে, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। 

পুরো অর্থবছরের জন্য এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের মাঝপথে এসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি করা হয়।

বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধিতে পতন
ব্যাংক থেকে সরকার বেশি ঋণ নেওয়ায় বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বেশির ভাগ সময়েই বেসরকারি খাতে কমেছে ঋণের প্রবৃদ্ধি। চলতি অর্থবছরেও একই ধারা বহাল রয়েছে। 

এই অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই হার গত সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। কমেছে বিনিয়োগ, জিডিপিতে প্রভাব নতুন বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি। কিন্তু গত সাত মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি বাড়েনি, উল্টো কমেছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে আমদানি এলসি খোলার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৬২ শতাংশ বেড়েছে। 

এই সময়ে ভোগ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামালসহ (ইন্ডাস্ট্রিয়াল র ম্যাটেরিয়াল) বেশকিছু খাতে আমদানি বেড়েছে। তবে মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারিজ) আমদানি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। পাশাপাশি ইন্টারমিডিয়েট গুডস ও পেট্রোলিয়াম আমদানিও কমেছে।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ অবস্থানে রয়েছেন, ফলে নতুন বিনিয়োগ আশানুরূপভাবে আসছে না। এই কারণে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা ও ব্যবসা উপযোগী পরিবেশের বিরাট ঘাটতি ও আস্থার সংকট দৃশ্যমান। তাই প্রবৃদ্ধির খাত গার্মেন্টস থেকে শুরু করে সব ধরনের শিল্প, কৃষি, সেবা, পর্যটন খাতসহ সর্বত্র এখন হতাশার ছাপ স্পষ্ট। 

ব্যাংকঋণের সুদহার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর সঙ্গে আরও বহুমাত্রিক সংকট যোগ হয়েছে। এতে বেশির ভাগ শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। 

এসবের নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে অর্থনীতির প্রতিটি খাতে। কমছে মোট দেশজ উৎপাদন। ক্ষয় হচ্ছে অর্থনীতি। 

ঋণের চাপে সরকার: বর্তমান অর্থনৈতিক চাপ এবং বিপুল রাজস্ব ঘাটতির কারণে সরকারকে ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ নিতে হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সাড়ে আট মাসেই (১ জুলাই-১০ মার্চ) বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ ৮৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নেয়নি সরকার। 

উল্টো আগের নেওয়া ঋণের প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকার মতো পরিশোধ করেছে। ফলে আলোচ্য সময়ে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নেওয়া নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে নিট ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ছিল মাত্র সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা।

উন্নয়ন প্রকল্পে স্থবিরতা: বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রকল্প পরিকল্পনায় ধীরগতি, অর্থছাড়ে বিলম্ব এবং লোকবল নিয়োগে দেরিসহ নানা কারণে দেশে এই সংকট নিয়মিতই দেখা মেলে। তবে চলতি বছর এর বাড়তি সংযোজন ঘটেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এডিপি বাস্তবায়নের দিক থেকে এবারই গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়েছে। গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে মাত্র ২৪ দশমিক ২৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এর আগে জুলাই-ফেব্রুয়ারি হিসাবে কোভিডের বছরে (২০২০-২১ অর্থবছর) ৭২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। 

পরের দুই বছরের প্রায় ৮২ থেকে ৮৪ হাজার কোটি টাকা করে খরচ হয়েছিল। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন; ক্ষমতার পটপরিবর্তন এবং ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের খুঁজে না পাওয়া- সবকিছুর প্রভাব পড়েছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে।

 চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। অবশ্য এখন তা সংশোধন করে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এর আগে কখনো এডিপি এতটা কাটছাঁট করা হয়নি। 

বিদেশি সহায়তা কম: চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়নের পরিমাণ কমেছে ১৭ শতাংশের বেশি। অপরদিকে এ সময়ে পুরোনো ঋণের পরিশোধ বেড়েছে ৩০ শতাংশের মতো। 

বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে সরকার এরইমধ্যে প্রকল্প সংখ্যায় কাটছাঁট ও বরাদ্দ যাচাই-বাছাই করে অর্থছাড় করতে শুরু করেছে। এতে অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় কমেছে। এ কারণে বিদেশি অর্থায়নও কমেছে বলে তুলে ধরেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা। 

বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৮ মাসে প্রকল্প ঋণ ও অনুদান বাবদ বিদেশি অর্থ ছাড় হয়েছে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার বা ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ কম। 

ট্রাম্পের শুল্কারোপ, শঙ্কায় পোশাক খাত: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ নীতির অংশ হিসেবে শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর সম্প্রতি যে নতুন শুল্কারোপ করা হয়েছে তাতে গোটা বিশ্বঅর্থনীতি এখন টালমাটাল।

 এতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে। এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, এখন নতুন করে আরও ৩৭ শতাংশ শুল্ক বাড়ায় এটি দাঁড়িয়েছে ৫২ শতাংশে।

অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দিতে হবে ৫২ টাকা, এতদিন যা ছিল গড়ে ১৫ টাকা। তাতে করে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের পণ্যের দাম বাড়বে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। 

যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা, ব্র্যান্ড কোম্পানি, খুচরা বিক্রেতা ও তাদের প্রতিনিধিদের কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন।