ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

মঙ্গল শোভাযাত্রায় থাকবে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বার্তা

সেলিম আহমেদ
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৫, ০৫:২৩ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উদ্যাপন বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে এবার নববর্ষ উদ্যাপন হবে কি না, তা নিয়ে ছিল নানা শঙ্কা।

তবে শেষমেশ সেই শঙ্কা কাটিয়ে বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে নববর্ষের অনুষ্ঠান এক দিনের পরিবর্তে দুই দিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অনুষ্ঠানমালায় আনা হয়েছে নানা বৈচিত্র্য। 

একই সঙ্গে রীতি অনুযায়ী পহেলা বৈশাখের সকালে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বার্তা দেবে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা। 

শোভাযাত্রা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নববর্ষ আয়োজনের জন্য জেলা-উপজেলায় বরাদ্দও দ্বিগুণ করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। 

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় এবারের উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। এর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন অনেকেই। তবে এখনো নাম পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন চারুকলার ডিন আজহারুল ইসলাম। 

এ ছাড়া সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী গত ২৩ মার্চ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেও এখন বলেছেন, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে কি না, এ বিষয়ে আগামী ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। 

কেননা, শোভাযাত্রার আয়োজক তারাই। এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার প্রথমবারের মতো সরকার জাতীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারোসহ অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। 

এই আয়োজনে রাখা হয়েছে বর্ণাঢ্য নানা অনুষ্ঠানমালা। সেই সব অনুষ্ঠান সফল করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। 

সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এসব আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে সভা করেছে সরকার। 

সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, এ বছর ব্যাপকভাবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হবে। বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তাও আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।

 নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তার সবই করা হচ্ছে। তা ছাড়া নববর্ষের শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্যও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শোভাযাত্রার সামনে-পেছনে পুলিশ থাকবে কি না- এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শোভাযাত্রাসহ নববর্ষ উদ্যাপনের পুরো বিষয়টি আয়োজন করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারাই নির্ধারণ করবে কারা কোথায় থাকবে। 

তিনি বলেন, পুলিশ তো বাংলাদেশেরই নাগরিক। সবাই যদি আনন্দ শোভাযাত্রা করতে পারে, তবে পুলিশ বাহিনীও তা করতে পারবে।

দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালায় যা থাকছে
বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারোসহ অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর নববর্ষ উদ্যাপন ঘিরে অনুষ্ঠানমালায় এবার আনা হয়েছে নানা বৈচিত্র্য। 

অনুষ্ঠানমালায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কার্যবিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আবশ্যিকভাবে ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান। 

পহেলা বৈশাখের দিন সকাল ৯টায় প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজন করবে মঙ্গল শোভাযাত্রার। 

এ বছর বাঙালি জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, মনিপুরী ও অন্যানা জাতিগোষ্ঠী এবং নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সর্বজনীন শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। 

প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির লোকজ সংগীত ও বাদ্যযন্ত্রে নিজস্বতা ফুটিয়ে তুলবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পার্বত্য জেলার জাতি-গোষ্ঠীসহ অন্য সব জাতি-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দলকে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের বিষয়টি সমন্বয় করবে। 

পহেলা বৈশাখের ভোর সোয়া ৬টায় রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে ছায়ানট। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ, সুরের ধারা, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, উৎসব উদ্যাপন পরিষদ, ব্যান্ড এফ মাইনর, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, গারো সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

পহেলা বৈশাখের দিন ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চে সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে সুরের ধারা। এই আয়োজনে সহযোগিতা করবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলায়ও পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা প্রতিযোগিতা ও লোকজ মেলা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। 

অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বরাদ্দও বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। এবার জেলা পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকার জায়গায় ১ লাখ টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩০ হাজার টাকার জায়গায় ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রেখেছে মন্ত্রণালয়। 

এ ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের কথা জানিয়েছে সংস্কিৃতি মন্ত্রাণলয়। মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের আলোকে নববর্ষ উদ্যাপনের জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। 

নববর্ষকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সুবিধাজনক সময়ে সাত দিনব্যাপী নববর্ষের মেলা, আলোচনা সভা ও অন্যান্য অনুষ্ঠান আয়োজন করতে বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। 

এই মেলায় নকশিকাঁথা, জামদানি শাড়িসহ অন্যান্য হস্ত ও বস্ত্রশিল্পের স্টল বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাগিদ দিয়েছে। 

চৈত্রসংক্রান্তিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কনসার্টের আয়োজন করবে শিল্পকলা একাডেমি; যেখানে মাইলস, ওয়ারফেজ, দলছুট, এভোয়েড রাফা, ভাইকিংস ও স্টোন ফ্রি ব্যান্ড দল গান পরিবেশন করবে। 

চারুকলায় চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। 

বাকি কাজও যথাসময়ে শেষ হবে। আয়োজনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বার্তা দেবে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা।

অন্যদিকে চারুকলা অনুষদের ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এবারের বৈশাখের আয়োজনকে ‘স্বজনপ্রীতিদুষ্ট ও দেশের পরিবর্তনকালীন রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী’ আখ্যায়িত করে চারুকলার এই আয়োজন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে মঙ্গল শোভাযাত্রা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সন্দিহান কেউ কেউ। 

চারুকলার রীতি অনুযায়ী এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের। তবে এ বিষয়ে চারুকলার ডিন আজহারুল ইসলাম চঞ্চল বলেছেন, ২৬ ব্যাচ এখন প্রাক্তন, তারা এখন আর রানিং শিক্ষার্থী নন। আর রানিং শিক্ষার্থীরা মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজের সঙ্গে আছেন।

চারুকলায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ-বেতের কারুকাজে দুই শিংওয়ালা দৈত্যের আদলে তৈরি করা হচ্ছে স্বৈরাচারের প্রতীক। এটাই এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল মোটিফ বা অবকাঠামো হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এবার শোভাযাত্রার মোটিফের মধ্যে স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি, বড় আকৃতির একটি ইলিশ মাছ, সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পীদের কাঠের বাঘ আর শান্তির পায়রা। 

এগুলোর নির্মাণকাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন শিল্পীরা। বাঁশ-কাঠের কাজ প্রায় শেষ। এখন চট বা কাপড় বসিয়ে তাতে রং লাগিয়ে চূড়ান্ত করা বাকি।

ফ্যাসিস্টের দৈত্যাকৃতির প্রতিকৃতির উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। ইলিশ মাছ, বাংলার বাঘ ও পায়রার উচ্চতা হবে ১৬ ফুট। 

চারটি মোটিফের পাশাপাশি মীর মুগ্ধের স্মৃতি স্মরণ করে একটি পানির বোতলও তৈরি করা হতে পারে। তবে কোন মোটিফ শেষ পর্যন্ত থাকবে কিংবা কোন মোটিফ কীভাবে উপস্থাপন করা হবে, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে বলে জানালেন চারুকলার ডিন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ থেকে ছয়টি মোটিফ করার কাজ করছি। সবকিছু চূড়ান্ত করেই আনুষ্ঠানিকভাবে বলব।’
শোভাযাত্রার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, হাতি, বাঘ, প্যাঁচাসহ পশুপাখির মুখোশও থাকবে। চারুকলা প্রাঙ্গণে এখন সেই সব মুখোশ তৈরি হচ্ছে। 

এ ছাড়া চারুকলার সীমানাপ্রাচীর সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী শখের হাঁড়ির নকশা দিয়ে। ফুল-পাখি-লতাপাতা দিয়ে নান্দনিক করে তোলা হচ্ছে দেয়াল।

চারুকলার বকুলতলায় বিগত বছরের মতো এবারও বাংলা বছরের শেষ দিন চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান থাকবে। বিকেল ৪টা থেকে নাচ-গানের এই আয়োজন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। থাকবে যাত্রাপালার মঞ্চায়নও। 

সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম চঞ্চল বলেন, আনন্দঘন পরিবেশে এবারও বাংলা নতুন বছরকে বরণ করা হবে। 

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়েই চারুকলার শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের অনেক গুণী শিল্পীও যুক্ত হয়েছেন মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে। পুরোদমে চলছে প্রস্তুতির কাজ। তবে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, এবারের উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। আমাদের প্রস্তুতিও ব্যাপক। ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। কেননা, শোভাযাত্রার আয়োজক তারাই।