দেশে চলমান চার দিনের বিনিয়োগ সম্মেলনের তিন দিনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরেছে সরকার। প্রথম দুই দিন দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত কারখানা পরিদর্শন করেছেন বিদেশি উদ্যোক্তারা।
এতে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা এবং ব্যাবসায়িক পরিবেশ সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। এ জন্য দেশে ফ্রি ট্রেড জোন স্থাপনের চিন্তা করছে সরকার।
সম্মেলনের তৃতীয় দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই দেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন। সেই সম্ভাবনা যেন সম্মেলনের মধ্যেই ফুটে উঠেছে ঐতিহাসিক বেশকিছু চুক্তির মাধ্যমে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাথে ‘আর্টেমিস চুক্তি’ সই করেছে। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর বড় বড় দেশ বিনিয়োগের জন্য চুক্তি করেছে। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) বাংলাদেশে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
হাজার কোটি টাকার বড় বিনিয়োগ পেয়েছে পণ্য বিপণনকারী দেশি উদ্যোক্তা একটি প্রতিষ্ঠান। সরকার আশা করছে, দুই-এক বছরে দেশে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
সম্মেলনে ১০০-১২০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা দিয়েছে বিশ্বখ্যাত স্টারলিংক। যারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদনও পেয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে ৭ এপ্রিল শুরু হয়েছে এই বিনিয়োগ সম্মেলন। চার দিনের এই সম্মেলনে দেশের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ সুযোগ এবং সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংস্কার তুলে ধরা হচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে।
বিনিয়োগ সম্মেলনে আসা বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা প্রথম দুইদিন চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন।
এই সময়ে তাদের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে প্রধান বাধা সরকারি সেবার মান, ইউটিলিটি সেবার অপ্রতুলতা, দুর্নীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরকারি সংস্থাগুলোর বোঝাপড়ায় ঘাটতি।
তা ছাড়া বিনিয়োগকারীরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতার আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে যখন বিনিয়োগে নামেন তখন ভিন্ন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন, সরকারের নিম্নস্তরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুত সহযোগিতা পান না।
এসব বাধা কীভাবে সরকার সমাধান করবে, তার উত্তর চেয়েছেন তারা। এ ছাড়া বিনিয়োগ করলে সরকার তাদের কী সুবিধা দেবে, তাও জানতে চেয়েছেন।
তবে বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ ছিল লালফিতার দৌরাত্ম্য নিয়ে। সরকার ইতিমধ্যে এ সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আয়োজিত এক সেমিনারে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে ভালো জায়গা। আমরা বিনিয়োগের বাধাগুলো দূর করতে কাজ করছি। দেশে বিনিয়োগের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকারের আগ্রহ রয়েছে।’
গতকাল বুধবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে দেশ পরিবর্তনের আগ্রহ কারো থাকলে, তাদের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে সেই জায়গা।
তার ভাষায়, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে দুনিয়া পরিবর্তনের পাগলাটে ধারণাগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে। বিনিয়োগ বাড়াতে দেশে ফ্রি ট্রেড জোন স্থাপনের চিন্তা করছে সরকার।
গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও অনেকেই চলে আসেন। আগামী দুই-এক বছরে দেশে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে কাজ করা বহুজাতিক কোম্পানির ব্যাবসায়িক কার্যক্রম ও তাদের মুনাফা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ধারণা দিচ্ছিলেন।
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের রিটার্ন গ্লোবাল গড় রিটার্নের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ভোক্তা বাজার রয়েছে। এখানে বিনিয়োগ করলে পার্শ্ববর্তী সেভেন সিস্টারসহ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন ও শ্রীলঙ্কাতেও পণ্য রপ্তানি করার সহজ সুযোগ আছে।এর
আগে গত মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠানরত বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, পাঁচটি বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) আগামী এক বছরে বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার তহবিল সহায়তা দেবে।
সংস্থাটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে দেশে বিশাল বিনিয়োগের দুয়ার খুলতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ব্রিকসের ১০০ কোটি ডলারের মধ্যে এরই মধ্যে এনডিবি বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। আমরাও তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, হাসপাতাল, হাউজিংসহ সামাজিক অবকাঠামোতেও তাদের তহবিল সরবরাহ করার সুযোগ রয়েছে।’
চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আমেরিকা থেকে একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল এসেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন আজ জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন।’ ওইদিন সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা তার বাসভবনে আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বৈঠকে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা, কীভাবে তাদের আরও সহায়তা করা যায় এবং কীভাবে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যেতে পারে, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে সম্মেলনের তৃতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিনিয়োগে অবদান রাখার জন্য ৪ ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলোÑ ওয়ালটন (দেশি বিনিয়োগকারী) বিকাশ (বিদেশি বিনিয়োগকারী), স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস ও ফেব্রিকস। এ ছাড়া বিশেষ ক্যাটাগরিতে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।
এদিন চীনের খ্যাতনামা পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে সম্মেলনে জানানো হয়।
এ বিনিয়োগের মধ্যে ১০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় টেক্সটাইল ও ডাইং খাতে এবং ৫ কোটি ডলার রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) গার্মেন্টস শিল্পে বিনিয়োগ করা হবে।
১৩০০ কোটি টাকার বড় বিনিয়োগ পেল দেশীয় প্রতিষ্ঠান
পণ্য বিপণনকারী দেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ‘শপআপ’ ও সৌদি আরবের একই ধরনের প্রতিষ্ঠান ‘সারি’ একীভূত হয়ে গঠন করল ‘সিল্ক গ্রুপ’।
এরই মধ্যে গ্রুপটি ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বড় বিনিয়োগ পেয়েছে বলে গতকাল বুধবার শপআপ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে।
সৌদি সরকারের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ তহবিল পিআইএফের সানাবিল ইনভেস্টমেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারী পিটার থিয়েলের কোম্পানি ভ্যালার ভেঞ্চার্সের কাছ থেকে এই বিনিয়োগ এসেছে।
ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চলমান বিনিয়োগ সম্মেলনে দেশি প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোট বাঁধার খবরটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান।
শপআপ বলেছে, সিল্ক গ্রুপ পণ্য বিপণন ও অর্থায়ন নিয়ে কাজ করবে। জোট গঠন করলেও নিজ নিজ নামে নিজ দেশে ব্যবসা করবে শপআপ ও সারি। তবে সিল্কের অবকাঠামো ব্যবহার করবে উভয় প্রতিষ্ঠানই। নিজ অঞ্চলের বাইরে সিল্ক গ্রুপ নামে কার্যক্রম চালাবে।
সৌদি আরবের রিয়াদভিত্তিক পণ্য বিপণনকারী কোম্পানি সারি সৌদি আরব, মিশর ও পাকিস্তানে ব্যবসা করে। শপআপ ও সারি এখন পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি খুচরা বিক্রেতা, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে ও পাইকারদের নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে এসেছে।
বিনিয়োগ সম্মেলনে স্টারলিংকের ইন্টারনেট-সেবা, গতি ১০০-১২০ এমবিপিএস
বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট-সেবা চালু করেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট-সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে গতকাল বুধবার স্টারলিংকের ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
আগামীকালও সবার জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে; অর্থাৎ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুদিন স্টারলিংক বিনা পয়সা বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের ইন্টারনেট-সেবা দিচ্ছে।
মূলত বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) সেখানে স্টারলিংকের ইন্টারনেট-সেবা প্রদর্শন করছে। এর মাধ্যমে সম্মেলনে আসা অতিথি ও দর্শনার্থীরা সরাসরি স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন।
বিএসসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ এপ্রিল থেকেই তাঁরা স্টারলিংকের ইন্টারনেট চালুর জন্য কাজ করছিলেন। আজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু হয়েছে। তবে দেশে পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর বিষয়ে সরকার বা স্টারলিংকের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
গত ২৯ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। যেখানে প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যক্রম শুরু করার জন্য ৯০ কর্মদিবস সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট-সেবা দিতে হলে স্টারলিংককে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অর্বিট) নিবন্ধন নিতে হবে।
এই নিবন্ধনের জন্য চলতি সপ্তাহে বিটিআরসিতে আবেদন করেছে কোম্পানিটি। বিনিয়োগ সম্মেলনস্থলে সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলনের মূল প্রবেশপথের একটি স্থানে বুথ বসিয়ে সবাইকে স্টারলিংকের ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে বিএসসিএল। এ কারণে বুথটির সামনে দুপুরের পর থেকেই উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
বুথে উপস্থিত বিএসসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিনিয়োগ সম্মেলনে চারটি টার্মিনালের মাধ্যমে পাঁচটি ওয়াই-ফাই সংযুক্ত করে এ ইন্টারনেট-সেবা দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিটি রাউটারের বিপরীতে একই সময়ে ৭০-১০০ জন ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন। তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিটিআরসির নিয়ম অনুসারে, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংক ইন্টারনেট চালু করতে হলে তার গেটওয়ে স্টেশন স্থাপন করতে হবে।
আপাতত মালয়েশিয়ার গেটওয়ে ব্যবহার করে বিনিয়োগ সম্মেলনে ইন্টারনেট-সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিএসসিএলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বিনিয়োগ সম্মেলনস্থলে স্টারলিংকের ইন্টারনেটে ডাউনলোড গতি ছিল ১০০-১২০ এমবিপিএসের কাছাকাছি। তবে গ্রাহকের চাপ বেশি থাকলে এই গতি কিছুটা কমে যেতে দেখা গেছে।