ঢাকা রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

ইসরায়েলকে একঘরে করার ডাক

সেলিম আহমেদ ও এফ এ শাহেদ
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ১২:৩১ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

এ যেন এক মহাজনসমুদ্র। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকে মানুষ আর মানুষ। ৬৮ একরের বিশাল মাঠে কোথাও তিলধারণের ঠাঁই ছিল না। উদ্যান দূরের কথা পাশের রমনা পার্ক পেরিয়ে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার দূরেও দাঁড়ানোর জায়গা পেলেন না অনেকে। 

সোহরাওয়ার্দীর উদ্দেশে আসা সবার হাতে উড়ছিল ফিলিস্তিনি পাতাকা, কণ্ঠে নিপীড়িত ফিলিস্তিনের পক্ষে নানা স্লোগান। চৈত্রের তপ্ত গরম আর তীব্র যানজট পেরিয়ে সংহতি প্রকাশ করতে আসা কারো চোখেমুখে ছিল না ক্লান্তির চাপ। 

জনসমাগমের দিক দিয়ে সাম্প্রতিককালের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে যান্ত্রিক নগরী ঢাকা পরিচয় পেল ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ভালোবাসার টানে সব বিভেদ ভুলে একমঞ্চে দাঁড়ালেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারাও। 

ভৌগোলিকভাবে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ ফিলিস্তিন হলেও মনে হচ্ছিল ঢাকা যেন আরেক আল-আকসা, গাজা কিংবা ফিলিস্তিন। 

বাংলাদেশের মানুষও যেন তাদের মতো বর্বরভাবে নির্যাতিন আর নিপীড়িত। সমাবেশ থেকে ইসরায়েলের বর্বর নির্যাতন বন্ধের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন সবাই। 

একই সঙ্গে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলকে একঘরে করতে সক্রিয় কূটনৈতিক অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া কর্মসূচি থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। 

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশের আয়োজনে পূর্বঘোষিত মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৩টায়। কিন্তু ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই দলে দলে ছোট-বড় মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন মানুষ। 

দুপুরের দিকেই কানায় কানায় ভরে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠ। রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বিভিন্ন ইসলামি দলের ব্যানারে মিছিল শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আসে অনুষ্ঠানস্থলে। 

গতকাল শহরের সব জনস্রোত যেন গিয়ে মিশেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আশপাশের শাহবাগ, নীলক্ষেত, হাইকোর্ট মোড়ের সড়কজুড়ে মানুষের চাপে তিলধারণের ঠাঁই ছিল না। 

জায়গা না পেয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ আশ্রয় নেয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু, শাহবাগ থেকে রমনা পার্কে যা শেষ পর্যায়ে পরিণত হয় আরেকটি জনসমুদ্রে। পুরুষের পাশাপাশি হাজারো নারী ও শিশুরা অংশ নেয় এ কর্মসূচিতে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি শক্ত অবস্থানে ছিল সেনাবাহিনী। 

চৈত্রের দুপুরে তপ্ত রোদ, ভাপসা গরম, যানজট, গাড়ি না পেয়ে দীর্ঘপথ হেঁটে এলেও কারো চোখেমুখে ছিল না ক্লান্তির চাপ। সবার স্বতঃফূর্ত  ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগানে দিনভর মুখরিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকা। 

ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে সমাবেশে ঢোল বাজিয়ে ফিলিস্তিনি শিশুর প্রতীকী লাশ নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে আসা সবার মাথায়-হাতে ছিল দুই হাজার কিলোমিটার দূরের ভূমি ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা। 

গণহত্যার প্রতিবাদে সঙ্গে ছিল বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। বিশাল এই মানুষের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। 

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে গতকাল শনিবার সোয়া ৩টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুহাম্মাদ আবদুল মালেক। 

ইতিহাস সৃষ্টি করে সব বিভেদ ভুলে শুধু ফিলিস্তিনের জন্য এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন দল-মতের নেতারাও। 

রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের রেজাউল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, এবি পার্টিও চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। রাজনৈতিক নেতারা ছাড়াও জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী, ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহসহ অনেক ধর্মীয় বক্তা ও নেতারাও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাতে হাত ধরে একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা যায়।

এই অনুষ্ঠানে শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়া কেউ বক্তব্য দেননি। ইসলামিক বক্তা মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে ফিলিস্তিন থেকে অনেকটা দূরে অবস্থান করলেও প্রত্যেক বাংলাদেশির হৃদয়ে একেকটা আল-আকসা ও গাজা বাস করে। 

তিনি বলেন, আজকের এ জনসমুদ্র বাংলাদেশের জনগণের আল-আকসার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আমরা ভৌগোলিক দিক দিয়ে ফিলিস্তিন থেকে অনেক দূরে। তবে আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে বাস করে একেকটা আল-আকসা, একেকটা গাজা।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের সব দল, মত, চিন্তা-দর্শনের মানুষ মজলুম ফিলিস্তিন ও মজলুম গাজার পাশে আছে, সহাবস্থান করছে। 

আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে আজ বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিতে চাই, আমাদের মধ্যে বিভিন্ন চিন্তা, মতগত পার্থক্য, ভিন্নতা থাকতে পারে; কিন্তু মজলুম ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা, ভূমির অধিকারের দাবিতে আমরা প্রত্যেকটা বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে আমরা প্রত্যেকে তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।’

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক এই কর্মসূচি থেকে জায়নবাদী ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিশ্চিত করা এবং গণহত্যা বন্ধে কার্যকর সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছে। 

ঘোষণাপত্রে ফিলিস্তিনিদের ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী ভূমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও লেখক মাহমুদুর রহমান।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনায় কাঁদলেন লাখো মানুষ
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও শান্তি কামনায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আবদুল মালেক পরিচালিত মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো মানুষের চোখে ছিল অশ্রু। 

ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা, শিশু ও নারীদের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকার করুণ বাস্তবতা হৃদয়ে নিয়ে মানুষ প্রার্থনা করেন শান্তির জন্য। 

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এই বিশেষ মোনাজাতে বলা হয়, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা মানবতার ওপর চরম আঘাত। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যেন তিনি নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ষা করেন এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতার আলো দেখান। 

একই সঙ্গে মোনাজাতে গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা বন্ধ হওয়া, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধার ও আহতদের সুস্থতা, শিশু ও নিরীহ নাগরিকদের জীবন রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ, বিশ্বনেতাদের বিবেক জাগ্রত হওয়া, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত আগ্রাসনের বিচার চেয়ে দোয়া করা হয়।

মার্চ ফর গাজায় ছিল মানবিক উদ্যোগও 
গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছিল মানবিক নানা উদ্যোগও। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রায় সহস্রাধিক মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয় ১০টি মেডিকেল বুথ, যেখানে দিনব্যাপী চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন তারা। এ ছাড়া গরমে ক্লান্ত মানুষদের মাঝে বিনা মূল্যে শরবত ও পানি বিতরণ করতে দেখা গেছে অনেককে। 

দুপুর ১টার দিকে সোহওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন মৎস্য ভবন মোড়ে ট্রাকে করে হাফ লিটারের ৫ হাজার বোতল পানি বিতরণ করা হয়। পানি বিতরণ করতে আসা বনশ্রীর যুবক সাব্বির আহমেদ বলেন, ফিলিস্তিনে মুসলিম ভাই-বোনদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। 

আমরা কিছুই করতে পারছি না। বাংলাদেশের আলেমসমাজ আজ মার্চ ফর গাজার ডাক দিয়েছেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছি। আমরা কয়েক বন্ধু নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে ৫ হাজার বোতল পানি নিয়ে এসেছি। পিপাসার্ত মানুষের মধ্যে এই পানি বিতরণ করছি। 

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মানুষের কাছে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ করছে বিভিন্ন সামাজিক ও ছাত্রসংগঠন। লিফলেটে সবাইকে ইসরায়েলি স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানির পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

 ‘আহত ফিলিস্তিনি’র বেশে যোগ দেয় শিশুরা, হুইলচেয়ারে আসেন জুলাই বিপ্লবে আহতরাও
সব বয়সি মানুষের এই গণজমায়েতে সবার দৃষ্টি কাড়ে একদল শিশু। তারা কেউ মাথায় ব্যান্ডেজ, কেউ হাত-পা বেঁধে, কেউ বা হাতে করে নিয়ে এসেছিল ছোট কফিনে মোড়ানো ‘শিশুর লাশ’। 

এভাবেই ‘আহত ফিলিস্তিনি’র সাজে মিছিলে অংশ নেয় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী নামক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিশুশিল্পীরা। শিশুরা সাদামাটা অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তুলে ধরে গাজার শিশুদের যন্ত্রণাদায়ক বাস্তবতা। একজন শিশু ‘বাবা’ সেজে কাঁধে করে নিয়ে আসেন নিজের সন্তানের প্রতীকী মরদেহ। 

এসব দৃশ্য দেখে অনেক পথচারী আবেগে কেঁদে ওঠেন, কেউ কেউ ফেলেছেন চোখের পানি। আবার এমন দৃশ্যে কেউ বা গগনবিদারী চিৎকারে দিয়েছেন ‘নারায়ে তাকবির,আল্লাহু আকবর’ স্লোগান। এ ছাড়া তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো। 

এ ছাড়া কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন জুলাই বিপ্লবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরাও। ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে মিছিল-সমাবেশে যোগ দেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন জুলাই বিপ্লবে আহতরা। 

এ সময় সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদেরকেও নারায়ে তাকবিরসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। নিজে আহত হয়েও কেন এসেছেন জানতে চাইলে জরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা হয়তো হাঁটতে পারছি না, কিন্তু গাজার মানুষের পাশে দাঁড়াতে শরীর নয়, লাগে মন। সেই মন আমাদের এখানে এনেছে।

রক্তের দাগ হাতে ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর ছবি প্রদর্শন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং আরব বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের হামলায় নিশ্চুপ থাকার ঘটনা নিয়ে প্রদর্শনী করেছেন কয়েকজন ছাত্র। 

প্রদর্শনীতে দেখা যায়, নেতানিয়াহুর মুখোশ পরা একজন রক্তের বাটি হাতে নিয়ে হাঁটছেন, যার পুরো শরীরে ফিলিস্তিনি মানুষের রক্ত। তার পাশেই ট্রাম্পের মুখোশ পরা একজন নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। 

তারও শরীরজুড়ে রক্তের দাগ। অন্যদিকে আরব নেতারা তাদের দুজনের আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন এবং তাদের হাতে চুমু খাচ্ছেন, আনুগত্য প্রকাশ করছেন। 

তা ছাড়া, তাদের ঠিক পেছনেই সাদা কাফনে মোড়ানো অসংখ্য লাশের প্রতিকৃতি রাখা হয়, যা নেতানিয়াহু, ট্রাম্প ও তার সহযোগী আরব বিশ্বের নেতারা টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন।