ঢাকা বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

আওয়ামী লীগের গোপন মিশন: মাঠে সক্রিয় ‘ব্রিগেড ৩২’

শহিদুল ইসলাম রাজী ও মোস্তাফিজুর রহমান
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম
রূপালী বাংলাদেশ

দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দা ফেলতে নতুন মিশনে নেমেছে সাবেক ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে পালিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের বড় নেতারা। বর্তমানে তারা বিদেশে বসে দেশে নানা ধরনের অস্থিরতা ও নৈরাজ্য তৈরি করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। বিদেশে পালিয়ে থাকাদের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে ‘ব্রিগেড-৩২’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এই গ্রুপটি সরকারের সফলতাকে বিতর্কিত করতে, দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বিশেষ বিশেষ সময়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে গোপনে দলবদ্ধভাবে হামলা-ভাঙচুর ও আগুনসন্ত্রাস চলাবে। গ্রুপটি সাইবার জগতে দেশ, দেশের মানুষ, বর্তমান সরকার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের টাকায় গড়ে তোলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সাইবার যোদ্ধারা গুজব ছড়িয়ে দেশকে অনবরত অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পহেলা বৈশাখের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়ার নেপথ্যে ‘ব্রিগেড ৩২’ এর যোগসাজশ রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ভারতীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থা ও সে দেশের গদি মিডিয়াকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ নিয়ে অনবরত ষড়যন্ত্র, গুজব ও মিথ্যাচার অব্যাহত রয়েছে।

বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাদের হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়াই মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি সারা দেশে লুকিয়ে থাকা নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে শক্তির জানান দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের ব্রিগেড ৩২ নামের গোপন সংগঠনের সাথে যুক্ত সরকারের বিভিন্ন পদে থাকা কর্মকর্তারা। তারা নানা তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে। স্বৈরাচার হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দোসররা সরকারি কর্মচারীরা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত- এমন তথ্য সরকারের একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এরইমধ্যে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যদিও সরকার সতর্কতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় এখন প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশ বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে, যাতে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

আওয়ামী লীগের দেশ-বিদেশে পলাতক নেতারা রাজধানী ঢাকায় বড় আকারের শক্তি প্রদর্শনের পরিকল্পনা করছে দীর্ঘদিন ধরে। উদ্দেশ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলা। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ভারতের পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়াকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও দেশের জনগণকে নিয়ে অনবরত মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য এবং গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফ্যাসিস্ট হাসিনার অডিও রেকর্ড প্রচার করে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছেÑ আবারও দেশে ফিরবে, ড. ইউনূসসহ সবার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। হাসিনার প্রতিশোধ ও হিংসাত্মক বক্তব্য দেওয়ার কারণে জনগণ উত্তেজিত হয়ে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ডিএমপির প্রতিটি সদস্য ২৪ ঘণ্টা সতর্ক রয়েছেন। যেকোনো ধরনের নাশকতা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। দেশ ও দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা সর্বোচ্চটাই করছি।

সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, দেশের মধ্যে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা যাতে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে না পারে সেজন্য তাদের সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিটি থানায় থানায় এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে ছাত্র-জনতা হত্যাযজ্ঞের মামলার আসামি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশসহ অন্য বাহিনীগুলো। ঈদের আগে থেকেই দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারাকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধরতে সারা দেশে একাধিক বিশেষ অভিযান চলমান।

গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সারা দেশে সহিংস ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক শূন্যতা এবং পুলিশের দুর্বল মনোবল এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বাড়ছে সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নের ঘটনা। এরইমধ্যে তারা গোপনে নানা ছদ্মবেশে ঢাকায় ঢুকে পড়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরিচয় লুকিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা আবারও প্রত্যাবর্তন করবেন এই আশায়। ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশে ঢুকলে ঢাকা দখলে লাখ লাখ নেতাকর্মী দরকার শোডাউন বা শক্তির জানান দিতে, এ আশায় তারা ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন। এ প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষভাবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পুলিশ রুটিন মাফিক রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের চলাচল পর্যবেক্ষণ এবং বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে। সদর দপ্তর থেকে দেশের প্রতিটি থানাকে দৈনিক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে, যাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করা যায়।

গত শনিবার ভোররাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও তদন্ত করে দেখতে পায়, আগুন দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা সূর্যসেন হলে থাকা আরবি বিভাগের আবাসিক ছাত্র রাকিব। শনাক্ত হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চট্টগ্রাম ডিসি হিলে ‘সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ’র মঞ্চ ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এর পেছনেও ব্রিগেড ৩২ গ্রুপের সদস্যদের হাত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু রূপালী বাংলাদেশকে জানান, চট্টগ্রাম জেলায় যেকোনো ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি রুখতে আমরা সচেষ্ট। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যারাই ষড়যন্ত্রে যুক্ত হবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিদিন বিভিন্ন মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পুলিশ ২৪ ঘণ্টা তৎপর রয়েছে।

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ঢাকা-১১ আসন, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এই মিছিল করেন তারা। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তার ফেসবুকে মিছিলটির ভিডিও পোস্ট করে লিখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহার আনামের নেতৃত্বে স্থানীয় নেতাকর্মীদের আয়োজনে আজ বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা প্রধান সড়কে এই প্রতিবাদী মিছিল করা হয়।  এ সময় তারা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মুখরিত ছিল। এ ছাড়াও তারা ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘অবৈধ সরকার, মানি না মানব না’, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকে।

ঢাকাসহ সারা দেশে ব্রিগেড ৩২ বা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, যাদের নামে মামলা আছে, তাদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে অবস্থান শনাক্ত ও গ্রেপ্তার, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো, নৌঘাট, রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে নজরদারি বাড়ানো, বিএনপি ও জামায়াতপন্থিদের সহায়তায় ঢাকামুখী যাত্রা প্রতিহত করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করে উসকানিদাতাদের শনাক্তকরণ, অর্থদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ভাড়ায়চালিত গাড়ি ও স্ট্যান্ডগুলোর ওপর বিশেষ নজরদারি করতে পুলিশের ওপর মহল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অপরাধ দমনে কাজ করছে। রাজধানীজুড়ে পেট্রলিং, চেকপোস্ট স্থাপন এবং মিনি টিম গঠন করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ছাড়াও যেকোনো ধরনের হুমকি বা গুজব দমন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কেননা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকাতে চাচ্ছে ব্রিগেড ৩২।

পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের পেশাগত দায়িত্বই হচ্ছে জনজীবনের এবং সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা। দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টিকারী বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের পুলিশ আইনের আওতায় নিয়ে আসছে। এরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে কেউ উদ্যত হলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সাইবার পেট্রোলিং অব্যাহত রেখেছে।

এরইমধ্যে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এবং দেশের আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা মিলে একাধিক গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে। এসব বৈঠকে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্রমাগত অস্থিরতা এবং সম্ভাব্য ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা অনলাইনে নিয়মিত দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বৈঠকে তিনি দেশে ফিরে আসার ইচ্ছা জানাচ্ছেন। সে জন্য নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে জোটবদ্ধ থেকে প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ করেছেন।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, প্রথমত সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত যেকোনো আদেশ পালনে র‌্যাব সদা সচেষ্ট। দেশের নিরাপত্তায় র‌্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়ন বদ্ধপরিকর।